মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫ , ০৪:১৬ পিএম
গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা এখন সময়ের দাবি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।
মঙ্গলবার (৩০ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে এক সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা এখন সময়ের দাবি। আমরা জানি, বাংলাদেশে কিছু রাজনৈতিক শক্তি আছে, কিছু সামাজিক শক্তি আছে। তারা অনেকেই তাদের নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থে কিংবা তাদের গোষ্ঠীর স্বার্থে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াটাকে বিলম্বিত করতে চায়। নানা কায়দায়, নানা কৌশলে তারা এই গণতন্ত্রের অভিযাত্রাকে বিলম্বিত করতে চায়। এতে তাদের স্বার্থ কতটা হাসিল হবে আমরা জানি না।
তিনি বলেন, আমরা শুনছি একটা নতুন কথা, যে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে স্থানীয় সরকার নির্বাচন করতে হবে। আমাদের তরফ থেকে কোনো অবজেকশন নেই। নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু নিরপেক্ষ করা আমাদের সবার দাবি। কিন্তু আপনারা জানেন এটা হবে নরমালি, জাতীয় নির্বাচনের পর। এতদিন ধরে আমরা তাই তো জানি। জাতীয় নির্বাচন হবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে। তাই এটা (স্থানীয় সরকার নির্বাচন) টেকনিক্যালি সম্ভব না।
তিনি আরও বলেন, আমি চাই ফ্যাসিবাদী সরকারের দোসর ছিল, যারা নেতৃত্ব দিয়েছে, যারা তাদের সঙ্গে ছিলো তাদের সবার বিচার অবশ্যই করতে হবে। কারণ তারা আমার বিরুদ্ধে, আমার পরিবারের বিরুদ্ধে, আমার বন্ধুর বিরুদ্ধে, আমার সহকর্মীর বিরুদ্ধে, আমার দেশবাসীর বিরুদ্ধে অপরাধ করেছে। অবশ্যই বিচার চাই। কিন্তু সেই বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচন করা যাবে না। এই প্রশ্ন যারা তোলে, তারা আসলে এই কথা বলে জনপ্রিয় কথার আড়ালে নির্বাচনটাকে বিলম্বিত করতে চায়।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, সংস্কার ও গণতন্ত্র পরস্পরবিরোধী না, এটা পরিপূরক। একটার জন্য আরেকটাকে আটকে রাখার সুযোগ নাই। সেজন্য আমরা বলি, বিচারও হতে হবে, সংস্কারও হতে হবে, নির্বাচনও হতে হবে এবং সবই যত দ্রুত সম্ভব হতে হবে।
তিনি বলেন, এই যে সংস্কার এবং নির্বাচনকে সামনাসামনি করে দেওয়া হচ্ছে, এটা তো আরেকটা অপরাধ, আরেকটা ভুল। আরে, গণতন্ত্র নিজেই তো একটা গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। এর আগে রাজতন্ত্র ছিলো, সামন্তবাদ ছিলো। গণতন্ত্র যে আসছে এটাও তো একটা সংস্কারের মধ্য দিয়ে এসেছে, একটা বিপ্লবের মধ্য দিয়ে এসেছে। আর সেই গণতন্ত্র সারা দুনিয়ায় অনেকভাবে কাজ করছে। গণতন্ত্র একেক দেশে একেক রকমভাবে কার্যকর হয়। এটাও একটা রিফর্মের প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে চলছে।
আরটিভি/এফএ/এস