শনিবার, ০১ আগস্ট ২০২০ , ০১:৩০ এএম
আজ (শনিবার) ত্যাগ আর উৎসর্গের মহিমায় উদ্ভাসিত মুসলমানদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা। মুসলিম বিশ্বের খুশির বার্তা নিয়ে বছর ঘুরে আবারও ফিরে এসেছে এই দিনটি। এদিন দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা ত্যাগের মহিমায় উদ্বুদ্ধ হয়ে ঈদের নামাজ শেষে মহান আল্লাহর নামে পশু কোরবানি দেবেন।
বিশ্বজুড়ে প্রাণঘাতী করোনা মহামারির সঙ্গে বন্যার আঘাতে বিপর্যস্ত দেশের বিভিন্ন এলাকার মানুষ। তাই এবার ঈদ এসেছে এক ভিন্ন প্রেক্ষাপটে। ইতোমধ্যে করোনাভাইরাস তিন হাজারের বেশি মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। লাখো মানুষ জীবিকা হারিয়েছে। তাই এবারের ঈদ প্রান্তিক মানুষের বাড়তি আনন্দের পরিবর্তে বিষাদময় করে তুলেছে। কারণ পরিবারের সবাইকে নিয়ে আনন্দঘন পরিবেশে ঈদ উদযাপন করার পরিস্থিতি তাদের নেই। তবুও জীবনের গতি থেমে থাকে না কোনো বাধাতেই। যত দুর্যোগই থাকুক, ঈদ বলে কথা! সবকিছুর পরও এই দিনটিতে একে অন্যকে শুভেচ্ছা জানাবে মানুষ। সাধ্যমতো দান, খয়রাত, কোরবানির মাংস বিলি, খাওয়া-দাওয়া হবে। দুঃসহ দিনে কিছুটা হলেও আনন্দের সুযোগ তৈরি হবে।
পবিত্র কোরআনের বর্ণনা অনুযায়ী, চার হাজার বছর আগে আল্লাহর নির্দেশে হজরত ইব্রাহিম (আ.) তার সবচেয়ে প্রিয় বস্তু নিজ সন্তান হজরত ইসমাইল (আ.)-কে কোরবানি করার উদ্যোগ নেন। কিন্তু আল্লাহর কুদরতে হজরত ইসমাইল (আ.)-এর পরিবর্তে একটি দুম্বা কোরবানি হয়। হজরত ইব্রাহিম (আ.)-এর এই ত্যাগের মনোভাবের কথা স্মরণ করে প্রতিবছর মুসলমানরা কোরবানি করে থাকেন।
উল্লেখ্য, জিলহজ মাসের ১০ তারিখ পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হলেও ১০, ১১ ও ১২ তারিখের যে কোনো দিন পশু কোরবানি দেয়া যায়। সে হিসেবে কাল রোববার ও পরশু সোমবারও কোরবানি করা যাবে।
পি