images

অন্যান্য / ধর্ম

ইসলামে দোয়া কবুলের সেরা ১০টি সময়

বৃহস্পতিবার, ২৫ আগস্ট ২০২২ , ০৭:১৩ পিএম

images

বিনয়ের সঙ্গে দোয়া করা, মিনতিভরা কণ্ঠে দোয়া করা, মিনতি ও নম্রতার সঙ্গে দোয়া ইবাদত হিসেবে গণ্য হয়। দোয়া সব ইবাদতের মজ্জা ও সারাংশ। আল্লাহ তাআলা মুমিন বান্দার দোয়া সবসময় কবুল করে থাকেন। তারপরও বিশ্বনবি (সা.) সুনির্দিষ্ট কিছু সময়ের কথা হাদিসে উল্লেখ করেছেন। তা হলো—

রাতের শেষ তৃতীয়াংশে
রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘প্রতিদিন রাতের শেষ তৃতীয়াংশে আমাদের রব সবচেয়ে নিচের (প্রথম) আসমানে নেমে আসেন এবং বলেন, কে আছ, আমাকে ডাকো; আমি তোমার ডাকে সাড়া দেব। কে আছে, আমার কাছে চাও; আমি তোমাকে দান করব। কে আছ, আমার কাছে ক্ষমা প্রার্থনাকারী; আমি তোমাকে ক্ষমা করে দেব।’ (বোখারি)

আজান ও ইকামতের মধ্যবর্তী সময়ের দোয়া
রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘আজান ও ইকামতের মধ্যবর্তী সময়ের দোয়া ফিরিয়ে দেওয়া হয় না।’ (আবু দাউদ)

জুমার দিনের দোয়া
রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘জুমার দিনে একটি সময় আছে যে সময়টা কোনো মুমিন নামাজ পড়া অবস্থায় পায় এবং আল্লাহর কাছে কোনো কিছু প্রার্থনা করে, আল্লাহ অবশ্যই সে চাহিদা পূরণ করবেন। এবং তিনি তার হাত দিয়ে ইশারা করে সে সময়ের সংক্ষিপ্ততার ইঙ্গিত দেন।’ (বুখারি)

সেজদার সময়ের দোয়া
রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে সময়টাতে বান্দা আল্লাহর সবচেয়ে কাছে চলে যায়, তাহলো সেজদার সময়। সুতরাং, তোমরা তখন আল্লাহর কাছে বেশি বেশি চাও।’ (মুসলিম)

ফরজ নামাজের পরের দোয়া
রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘রাতের শেষ সময় এবং ফরজ নামাজের পরে দোয়া কবুল হয়।’ (মুসলিম)

কদরের রাতের দোয়া
রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি ঈমানের সঙ্গে সাওয়াব লাভের আশায় লাইলাতুল কদরে রাত জেগে দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করে, তার আগের (জীবনের) সব গোনাহ ক্ষমা করে দেয়া হয়।’ (বুখারি)

বৃষ্টি হওয়ার সময়ের দোয়া
রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘দুই সময়ের দোয়া ফেরানো হয় না। আজানের সময়ের দোয়া আর বৃষ্টি বর্ষণের সময়ের দোয়া।’ (আবু দাউদ)

আরাফাতের দিনের দোয়া
রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘দোয়ার মধ্যে শ্রেষ্ঠ হলো আরাফাতের দিনের দোয়া।’ (তিরমিজি)

জিলহজ মাসের প্রথম ১০ দিনের দোয়া
রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘জিলহজ মাসের প্রথম ১০ দিনের আমল অন্য যে কোনে দিনের আমলের চেয়ে উত্তম।’ (বুখারি)

রোজাদার ব্যক্তির ইফতারের সময়ের দোয়া
রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘তিন ব্যক্তির দোয়া কখনো ফিরিয়ে দেয়া হয় না। যখন রোজাদার ব্যক্তি ইফতার করে। ন্যায় পরায়ন শাসক। নির্যাতিত ব্যক্তির দোয়া।’ (মুসনাদে আহমাদ, তিরমিজি)