সোমবার, ১৩ আগস্ট ২০১৮ , ০৬:২৭ পিএম
আরবি জিলহজ মাস শুরু হয়েছে। নানা ঘটনা ও ত্যাগের জন্য এই মাস মুসলিম উম্মাহ’র কাছে মহিমান্বিত ও তাৎপর্যময়। এ মাসের ৯ তারিখে হাজি সাহেবরা আরাফাতের ময়দানে উপস্থিত হয়ে সবকিছু অর্পন করে খোদা দরবারে হাজির হন। আর নিজের ভেতরের পশুত্ব বিসর্জন দিতে ১০ তারিখ কুরবানি করেন। একইসাথে সমস্ত মুসলিম উম্মাহও কুরবানি করবে।
আল্লাহর নির্দেশ পালনে নিজের প্রাণপ্রিয় সন্তান হজরত ইসমাইল (আ.) কে কুরবানির মাধ্যমে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন হজরত ইবরাহিম (আ.)। আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহর মাঝে হজরত ইবরাহিম (আ.) আত্মত্যাগকে অবশ্য পালনীয় করেছেন। যা কেয়ামত পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। এ মাসে যাবতীয় যুদ্ধ-বিগ্রহকেও হারাম ঘোষণা করেছেন।
আল্লাহ তাআলা জিলহজ মাস ও এ মাসের প্রথম ১০ দিনের ফজিলত ও মর্যাদাকে বাড়িয়ে দিয়েছেন-
যেসব কারণে মর্যাদাসম্পন্ন জিলহজ মাস
প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, আল্লাহর কাছে এ দিনগুলোর আমলের চেয়ে অন্য কোনো দিনের আমল অধিক প্রিয় নয়। সাহাবায়ে কেরাম জানতে চাইলেন, ‘আল্লাহর পথে জিহাদও নয়? উত্তরে প্রিয়নবি বললেন, ‘না’, আল্লাহর পথে জিহাদও নয়। তবে হ্যাঁ যদি কোনো ব্যক্তি নিজের জান ও মাল নিয়ে আল্লাহর রাস্তায় জিহাদে বের হন এবং সে কোনো কিছু নিয়ে ফিরে না আসেন। (বুখারি)
আল্লাহ তাআলা সুরা ফজরের শুরুতেই জিলহজের প্রথম দশ রাতের কসম খেয়েছেনে। তিনি বলেন, ‘কসম ফজরের এবং দশ রাতের।’ এই দশ রাত দ্বারা জিলহজ মাসের প্রথম দশকই প্রমাণিত। জিলহজ মাসের প্রথম দশকের দিনগুলোর মর্যাদা এত বেশি যে, ৯ জিলহজকে হজে অংশগ্রহণকারী সব মানুষকে নিষ্পাপ হিসেবে কবুল করে নেয়ার দিন।
আবার ৯ জিলহজ দিবাগত রাতকে (মুজদালিফার রাত) শবে কদরের চেয়েও মর্যাদা সম্পন্ন হিসেবে মনে করা হয়। এ রাতের ইবাদত বন্দেগিতে আল্লাহ তাআলা জুলুমকারীকেও ক্ষমা করে দেন।
-------------------------------------------------------
আরও পড়ুন : কুরবানি সংক্রান্ত কিছু প্রয়োজনীয় মাসআলা
-------------------------------------------------------
মুসনাদে আহমদে এসেছে, ‘জিলহজ মাসের প্রথম দশকের শেষ দুদিন অর্থাৎ ‘ইয়াওমে আরাফা ও ইয়াওমে নাহর (কুরবানির দিন)’হওয়ায় তা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। জিলহজ মাসের মর্যাদা বেশি হওয়ার আরও দুটি কারণ হলো- এ মাসেই হজ ও কুরবানি আদায় করতে হয়। যা মর্যাদাপূর্ণ মাস রমজানেও আদায় করা সম্ভব নয়।
এ মাসে মুসলিম উম্মাহর করণীয়
আরও পড়ুন :
এমকে