রোববার, ২০ অক্টোবর ২০২৪ , ০১:১৩ পিএম
Failed to load the video
অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই উন্নয়নের পথে হাঁটছে ব্যাংক খাত। ঋণের নামে লুটপাট বন্ধ হওয়ায় আমানতে আস্থা ফিরছে গ্রাহকদের। ফলে কাটতে শুরু করেছে তারল্য সংকট।
স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গেল প্রায় ১৬ বছরের আওয়ামী দুঃশাসনে চলেছে অর্থ লুটপাট আর পাচারের মহোৎসব। যার বড় অংশই দলের নেতাকর্মীরা ভুয়া কোম্পানির ঋণের নামে ব্যাংক থেকে তুলে নিয়েছে। এমন অস্বাভাবিক লুটপাটে ভল্ট খালি হয়ে দেউলিয়ার মুখে এখন বেশ কিছু ব্যাংক।
তবে আশার কথা, অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে ব্যাংক খাত। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যে, গত আগস্ট মাস শেষে ৬১টি তফসিলি ব্যাংকের মধ্যে ৪৩টি ব্যাংকে রয়েছে অতিরিক্ত তারল্য, যার পরিমাণ ১ লাখ ৯০ হাজার ৩০৬ কোটি টাকা।
রাষ্ট্রায়ত্ত পাঁচটি ব্যাংকে অতিরিক্ত তারল্য ৬৩ হাজার ৬৭০ কোটি টাকা। এর মধ্যে কেবল সোনালী ব্যাংকেই রয়েছে ৪৯ হাজার ৪৩ কোটি। ৩১ বেসরকারি ব্যাংকে রয়েছে ৯১ হাজার ৬৭৪ কোটি টাকা। এছাড়া বিদেশি ৯ ব্যাংকে অতিরিক্ত তারল্য ৩৪ হাজার ৬৭৭ কোটি টাকা।
ব্যাংক খাত বিশেষজ্ঞ তৌফিক আহমেদ চৌধুরী বলেন, মালিক পক্ষ বা বোর্ডের লোকেরা সব কর্মচারীদের দিয়ে ডিপোজিট সংগ্রহ করত। এরপর সেগুলো ওনারা ভাগাভাগি এবং ঋণের নাম দিয়ে নিত। এসব বন্ধ হওয়ায় গ্রাহকদের আস্থা ফিরে আসছে। এর ফলে ব্যাংকগুলোতে ডিপোজিটও বাড়ছে।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সিনিয়র রিসার্চ ফেলো তৌফিকুল ইসলাম খান বলেন, সার্ভিকভাবে এতদিন ব্যাংকিং খাতে যে লুকোচুরির খেলা চলেছে সেটা থেকে বেরিয়ে না এলে মানুষের বিশ্বাস তৈরি হবে না।
আগামীতে শক্তিশালী ব্যাংক খাত গড়ে তুলতে ব্যাংকিং কমিশন প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের (বিআইআইএসএস) গবেষণা পরিচালক ড. মাহফুজ কবির।
কোনো ব্যাংকে টাকা রাখার আগে গ্রাহকদের ওই ব্যাংকের আর্থিক কাঠামো সম্পর্কে খোঁজ নেওয়ার পরামর্শ বিশ্লেষকদের।
আরটিভি/আরএ/এআর