শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারি ২০২৫ , ১০:৩৭ পিএম
Failed to load the video
চরম গ্যাস সংকটে রাজধানীবাসী। গত কয়েকদিনে বাসাবাড়িতে গ্যাসের এই সংকট আরও তীব্র হয়েছে। চুলা না জ্বলায় রান্না করতে না পেরে বিকল্প উপায় খুঁজতে হচ্ছে। সংকট বেড়েছে সিএনজি স্টেশনগুলোতেও। ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করেও সিলিন্ডার ভরছে না যানবাহনের। তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ জানায়, চাহিদামতো সরবরাহ না পাওয়ায় শিগগিরই সংকট কাটছে না।
প্রতিবছর শীত এলেই মিরপুর, বাসাবো, রামপুরাসহ ঢাকার আশপাশের এলাকার গ্যাসের সংকট তীব্র সংকট দেখা দেয়। কখনও ভোরে আবার কখনও গভীর রাতে গ্যাস আসে। তা-ও তা স্থায়ী হয় ঘণ্টাখানেক। এজন্য প্রতিমাসে গ্যাস বিল দেওয়াসহ বিকল্প জ্বালানির জন্য গুনতে হচ্ছে বাড়তি টাকা।
রাজধানীর পূর্ব রাজাবাজারের বাসিন্দা সাহরিনা সুলতানা। স্বামী আর তিন সন্তানের পরিবার। প্রতিদিন দুপুরের জন্য রান্না করার কথা থাকলেও সেই রান্নার জন্য গ্যাসের অপেক্ষায় থাকতে হয় মাঝ রাত পর্যন্ত।
সাহরিনা সুলতানার মতো ভোগান্তির শিকার রাজধানীর খিলগাঁও, বনশ্রী, রামপুরা, মোহাম্মদপুর, ধানমন্ডি, যাত্রাবাড়ী, মহাখালী, উত্তরাসহ বেশির ভাগ এলাকার মানুষ।
শুধু বাসা-বাড়িতেই নয়। গ্যাস সংকটের কারণে পাম্পগুলোতেও চাপ কম। ফলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় পার হচ্ছে পাম্পগুলোতে। ভাটা পড়েছে উপার্জনে।
সিএনজি চালিত যানবাহন চালকরা জানান, এভাবে চলতে থাকলে গাড়ি চালানোই কঠিন হয়ে যাবে।
গ্যাস সরবরাহকারী সংস্থা তিতাস জানায়, রাজধানীতে তাদের প্রতিদিনের চাহিদা সাড়ে ১৯ হাজার মিলিয়ন ঘনফুট। অথচ পাওয়া যাচ্ছে সাড়ে ১৫ হাজার মিলিয়ন ঘনফুট।
পেট্রোবাংলার তথ্য অনুযায়ী, উৎপাদনের শীর্ষে থাকা বিবিয়ানা গ্যাস ক্ষেত্র থেকে দুই বছর আগেও দিনে ১৩০ কোটি ঘনফুট গ্যাস পাওয়া যেতো, এখন পাওয়া যায় ৯৮ কোটি ঘনফুট।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, উৎপাদন না বাড়ালে ভবিষ্যতে গ্যাস সংকট আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
আরটিভি/আরএ/এআর