মঙ্গলবার, ২৮ মার্চ ২০১৭ , ০৭:০৭ পিএম
তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে শ্রীলঙ্কাকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়েছিল বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ম্যাচে টাইগারদের চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলো স্বাগতিকরা। ডাম্বুলায় সফরকারীদের ৩১২ রানের টার্গেট দিয়েছে লঙ্কানরা। নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৬.২৪ গড়ে এ রান করতে হবে সফরকারীদের।
মঙ্গলবার ডাম্বুলায় টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক উপুল থারাঙ্গা। ম্যাচের গোড়াপত্তন করতে নামেন থারাঙ্গা ও দানুষ্কা গুনাথিলাকা। তবে তাদের শুরুটা ভালো হয়নি। দলীয় ১৮ রানে বাংলাদেশ ক্যাপ্টেন মাশরাফি বিন মর্তুজার দুর্দান্ত ডেলিভেরিতে মুশফিকুর রহিমের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন গুনাথিলাকা (৯)।
এরপর কুশল মেন্ডিসকে নিয়ে শুরুর ধাক্কা সামলে ওঠেন থারাঙ্গা। দলীয় ১২৯ রানে মুস্তাফিজুর রহমানের 'নো বলে' রান নিতে গিয়ে রানআউট হয়ে ফেরেন লঙ্কান অধিনায়ক। ফেরার আগে নিজের ২০০তম ম্যাচে ৭৬ বলে ৯ চারে ৬৬ রান করেন তিনি। মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের ডিরেক্ট হিটের বদৌলতে ১১১ রানের জুটি ভাঙে থারাঙ্গা ও কুশলের।
উপুল থারাঙ্গার বিদায়ের পর দিনেশ চান্দিমালকে নিয়ে এগিয়ে যান কুশল মেন্ডিস। দলের রানের চাকা গতিশীল করেন তারা। একের পর এক বাউন্ডারিতে দলের রান বাড়িয়ে চলেন এ দু’জন। তবে ২১২ রানে দিনেশ চান্দিমালকে (২৪) এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলে সাজঘরে ফেরান কাটার মাস্টার মুস্তাফিজুর রহমান। এর আগে কুশলের সঙ্গে ৮৩ রানের জুটি গড়েন চান্দিমাল।
তবে দমে যাননি কুশল মেন্ডিস। একপ্রান্ত আগলে রেখে দলকে বড় স্কোরের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন তিনি। এ যাত্রায় তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন অসেলা গুনারত্নে। এরই মধ্যে কুশল তুলে নেন সেঞ্চুরি। তবে সেঞ্চুরির পর বেশিক্ষণ ক্রিজে স্থায়ী হতে পারেননি তিনি। দলীয় ২১৬ রানে ১০৭ বলে ৯ চার ও ১ ছক্কায় ১০২ রানের বিস্ফোরক ইনিংস খেলে ফেরেন কুশল।
তার ফেরার পর দলের রানের চাকা গতিশীল রাখেন গুনারত্নে ও সিরিবর্ধনে। দলীয় ২৭১ রানে মেহেদী হাসান মিরাজের বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন সিরিবর্ধনে (৩০)। তার বিদায়ের পর যাওয়া-আসার মধ্যেই থাকেন শ্রীলঙ্কার ব্যাটসম্যানরা। তবে রানের চাকা থেমে থাকেনি। দলীয় ২৮০ রানে মুশফিকুর রহিমের হাতে রানআউটের শিকার হয়ে সাজঘরে ফেরেন থিসেরা পেরেরা (৯)। আর ৩০০ রানে সেই মুশফিকের হাতে রানআউট হয়ে ফেরেন দিলরুয়ান পেরেরা (৯)।
প্রথম ইনিংসের ৪৯ ওভার পর্যন্ত বাংলাদেশ বোলারদের ওপর শ্রীলঙ্কার ব্যাটসম্যানরা স্টিম রোলার চালালেও ৫০ ওভারে দেখা যায় এর উল্টো চিত্র। ইনিংসের শেষ ওভারে জ্বলে ওঠেন বাংলাদেশের তারকা পেসার তাসকিন আহমেদ। ওই ওভারের তৃতীয় বলে সৌম্য সরকারের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন গুনারত্নে (৩৯)। এর পরের বলে মুস্তাফিজের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন সুরঙ্গা লাকমল (০)। আর তার পরের বলে নুয়ান প্রদীপকে বোল্ড করে ক্যারিয়ারের প্রথম হ্যাটট্রিক করেন পেস সেনসেশন।
এদিন ৪১তম ওয়ানডে ও পঞ্চম বাংলাদেশি বোলার হিসেবে হ্যাটট্রিকসহ ৪ উইকেট তুলে নেন বাংলাদেশ পেস সেনসেশন তাসকিন আহমেদ। এছাড়া অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা, কাটার মাস্টার মুস্তাফিজুর রহমান ও মেহেদী হাসান মিরাজ নেন ১টি করে উইকেট।
বাংলাদেশ দল: তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকার, সাব্বির রহমান, মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসান, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, মেহেদী হাসান মিরাজ, মাশরাফি বিন মর্তুজা, তাসকিন আহমেদ ও মুস্তাফিজুর রহমান।
শ্রীলঙ্কা দল: ধানুষ্কা গুনারত্নে, উপুল থারাঙ্গা, কুশল মেন্ডিস, দিনেশ চান্ডিমাল, আসেলা গুনারত্নে, মিলিন্দা সিরিবর্ধনে, থিসারা পেরেরা, দিলরুয়ান পেরেরা, সুরঙ্গা লাকমল, নুয়ান কুলাসেকেরা, নুয়ান প্রদীপ।
ডিএইচ