images

খেলা / ফুটবল

চুমুকাণ্ডে সমালোচনা, ক্ষমা চাইলেন স্পেনের ফুটবলপ্রধান

মঙ্গলবার, ২২ আগস্ট ২০২৩ , ১২:০১ এএম

images

ইতিহাস গড়ে প্রথমবার নারী ফুটবল বিশ্বকাপের শিরোপা জিতেছে স্পেনের মেয়েরা। এমন অবিস্মরণীয় সাফল্যের পর দেশটির ফুটবলারদের মতো উচ্ছ্বসিত দেশটির ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন প্রধান লুইস রুবিয়ালস। তবে সেই উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে গিয়ে কিছুটা লাগাম হারিয়েছিলেন তিনি। আনন্দের আতিশয্যে চুমু দিয়ে ফেলেন এক নারী ফুটবলারকে। অবশেষে সমালোচনার মুখে এই ঘটনার জন্য ক্ষমা চেয়েছেন স্পেনের ফুটবলপ্রধান। 

রোববার (২০ আগস্ট) সিডনির স্টেডিয়াম অস্ট্রেলিয়ায় স্পেন ও ইংল্যান্ড—দুই দলই নারী ফুটবল বিশ্বকাপে প্রথম শিরোপা জয়ের লক্ষ্যে মুখোমুখি হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত ইংল্যান্ডকে ১-০ গোলে হারিয়ে ২০২৩ নারী ফুটবল চ্যাম্পিয়ন হয় স্পেন। ফাইনালে শেষ বাঁশি বাজার পরই আনন্দ-উদ্‌যাপনে মেতে উঠেন স্প্যানিশ ফুটবলারেরা।স্পেনের মেয়েরা বিশ্বকাপ জেতার পর পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে পদক নিতে আসা স্প্যানিশ মিডফিল্ডার হেনিফার হেরমোসোকে ঠোঁটে চুমু দেন রুবিয়ালেস।

মুহূর্তের মধ্যেই এই দৃশ্য ভাইরাল হয়ে যায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। যা নিয়ে নেট দুনিয়ায় বেশ সমালোচনা হয়েছিল। এরপরও নীরব ছিলেন স্পেনের ফুটবলপ্রধান। শেষ পর্যন্ত চুমুর ঘটনায় ক্ষমা চেয়েছেন তিনি। রুবিয়ালেস বলেন, ‘এখানে বাজে কোনো উদ্দেশ্য ছিল না। তখন বেশ রোমাঞ্চিত ছিলাম। আমরা এটাকে (চুমু) স্বাভাবিকভাবে নিয়েছি। তবে এটা নিয়ে বেশ সমালোচনা হয়েছে। আমি পুরোপুরি ভুল ছিলাম। এটা স্বীকার করতেই হচ্ছে।’ 

এর আগে এই ঘটনার পর হারমোসোকে জিজ্ঞেস করা হলে তখন বিরক্তি প্রকাশ করেছিলেন। নারী দলের মিডফিল্ডার বলেছিলেন, ‘আমি উপভোগ করিনি।’ তবে এখন তিনি রুবিয়ালসের পক্ষে কথা বলেছেন। স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশনের বরাতে এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘বিশ্বকাপ জয়ের আনন্দে স্বতঃস্ফূর্তভাবেই এটা (চুম্বন) হয়েছে।’ 

ফুটবল বিশ্বকাপ ইতিহাসে এখন পর্যন্ত দুই দলের পুরুষ ও নারী-দুই দলের বিশ্বকাপ জয়ের রেকর্ড আছে। জার্মানির পর দ্বিতীয় দল হিসেবে এই কীর্তি করেছে স্পেন। ২০১০ ফুটবল বিশ্বকাপে শিরোপা জিতেছিল স্পেনের ছেলেদের ফুটবল দল।