images

খেলা / ক্রিকেট

আফিফ জাদুতে সেমিতে বাংলাদেশ

বুধবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৩ , ০৩:১৮ পিএম

images

এশিয়ান গেমস ক্রিকেটের কোয়ার্টার ফাইনালে অপেক্ষাকৃত দুর্বল দল মালয়েশিয়ার কাছে হারতেই বসেছিল বাংলাদেশ। তবে রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে আফিফ হোসেনের ঘূর্ণি জাদুতে ২ রানের নাটকীয় জয় পেয়েছে টাইগাররা। এই জয়ে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করল সাইফ হাসানের দল। 

আগামী ৬ অক্টোবর সেমিফাইনালে ভারতের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ দল। ভারতের বিপক্ষে জিতলে বাংলাদেশের গেমসে অন্তত রৌপ্য পদক নিশ্চিত হবে। সেমিফাইনালে হারলে পরেরদিন ব্রোঞ্জের লড়াইয়ে নামতে হবে তাদের। 

বুধবার (৪ অক্টোবর) জিজিয়াং বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস গ্রাউন্ডে টস জিতে শুরুতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। কিন্তু ব্যাটিংয়ে নেমে স্কোর বোর্ডে ৩ রান তুলতেই তিন উইকেট হারিয়ে ফেলে তারা। ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয় ০, পারভেজ হোসেন ইমন ০ ও জাকির হাসান ১ রান করেন।

পরে অবশ্য অধিনায়ক সাইফ হাসান আর আফিফের ব্যাটে শুরুর বিপর্যয় সামাল দেয় টিম টাইগার্স। কিন্তু ১৪ বলে সমান দুটি করে চার-ছক্কায় ২৩ রান করে পবনদীপ সিংয়ের বলে সাজঘরে ফেরেন আফিফ।

এরপর একপ্রান্ত আগলে রেখে ৫২ বলে অপরাজিত ৫০ রান করে দলকে লড়াই করার মতো পুঁজি এনে দেন সাইফ। এ ছাড়া শাহাদাত হোসেন দীপু ২৬ বলে ২১ ও জাকের আলী অনিকের ১৪ বলে ১৪ রান করেন। এতে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটের বিনিময়ে ১১৬ রানেই থামে বাংলাদেশের ইনিংস।

বোলিংয়ে মালয়েশিয়ার হয়ে পবনদীপ সিং ২টি উইকেট শিকার করেন। এ ছাড়া বিজয় উন্নি ও আনোয়ার হোসেন পান একটি করে উইকেট।

এরপর বাংলাদেশের দেওয়া ১১৭ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১৮ রানে ৩ উইকেট হারায় মালয়েশিয়া। এরপর ওপেনার সাইদ আলী মোবারক ৩১ বলে ২০ রান করে ফেরেন। কিন্তু মিডল অর্ডারে ভিরানদিপ সিং বিজয় উন্নিকে সঙ্গে নিয়ে দুর্দান্ত ব্যাটিং করেন। তারা দু’জন দলকে ৭২ রান পর্যন্ত টেনে নিয়ে যান। 

এরপর আইনুল হাফিজকে সঙ্গে নিয়ে আবারও জ্বলে ওঠেন ভিরানদিপ সিং। ১১২ রান পর্যন্ত নিয়ে যান তার। ১৯ এবং ২০ তম ওভারে গিয়ে রিশাধ হোসেন এবং আফিফ হোসেন সেট দুই ব্যাটারকে তুলে নিলে জয় নিশ্চিত হয় বাংলাদেশের।

ভিরানদিপ সিং করেছিলেন ৩৯ বলে ৫২ রান। ম্যাচের শেষ ওভারে চতুর্থ বলে তাকে আউট করে দেন আফিফ হোসেন। তার আউটের পরই মূলত বাংলাদেশের জয় নিশ্চিত হয়। মালয়েশিয়া ২০ ওভারে ৮ উইকেটে করে ১১৪ রান।

আফিফের করা ম্যাচের শেষ ওভারে মালয়েশিয়ার দরকার ছিল মাত্র ৬ রান। দুর্দান্ত বোলিং করে আফিফ শেষ ওভারে মাত্র ৪ রান দিয়ে একটি উইকেট নিয়েছেন। মোট ৪ ওভার বল করে ১১ রান নিয়ে ৩ উইকেট নিয়ে দলের জয়ে বড় ভূমিকা রাখেন আফিফ।