শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪ , ০৬:৩২ পিএম
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ মঞ্চে বাংলাদেশের ইতিহাস মোটেও সুখকর নয়। ক্রিকেটের এই বিশ্ব আসরের প্রতিটি পর্বে অংশ নিলেও সেরা চারে কখনো পৌছাতে পারেনি লাল-সবুজের ছেলেরা। গেল ৮ আসরে টাইগারদের সর্বোচ্চ অর্জন, শুধুই নক-আউট পর্ব।
২০০৭ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম আসর বসে দক্ষিণ আফ্রিকায়। সেই আসরে সুপার এইটে থামে বাংলাদেশ। এরপর টানা তিন আসর গ্রুপ পর্বেই হোঁচট খেয়েছে বাংলার বাঘরা।
২০১৪ সালে আয়োজক হলেও সেবার ঘরের মাঠের সুবিধা কাজে লাগিয়ে বাজিমাত করতে পারেনি মুশফিকুর রহিমের দল। এই আসর থেকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অংশ নেওয়া দলের সংখ্যা ১২ থেকে বেড়ে দাঁড়ায় ১৬-তে। আর বাংলাদেশ থামে সেরা দশের তলানির দল হয়ে।
২০১৬-র বিশ্বকাপেও বাংলাদেশ বিদায় নেয় সুপার টেনের গণ্ডি পেরোনোর আগেই।
বৈশ্বিক মহামারী করোনার কারণে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পরবর্তী আসরটি মাঠে গড়াতে অপেক্ষায় থাকতে হয় পাঁচ বছর। ২০২১ সালে আবারও জমে উঠে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মহারথ। তবে সময় বদলালেও বদলায়নি বাংলাদেশের গল্প। এই আসরেও বাংলাদেশ বিদায় নক আউট থেকেই।
তাসমান সাগর পাড়ে আয়োজিত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সবশেষ আসরেও গর্জে উঠার আগেই সুপার টুয়েলভ থেকে বিদায় নিয়ে দেশের পথে উড়ে টিম টাইগার্স।
এবার আমেরিকা ও ক্যারিবীয় দ্বীপ অঞ্চলে আয়োজিত হতে যাওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে কি, পুরো বিশ্বকে তাক লাগিয়ে নতুন ইতিহাস গড়তে পারবে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। নাকি আবারও ব্যর্থতার ঝুড়ি নিয়ে নিয়ে ঘরে ফিরবে, লাল-সবুজের ছেলেরা!