ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে শীর্ষে থাকা লিভারপুলের ঘাড়ে নিশ্বাস ফেলছে আর্সেনাল। তবে ইংলিশ কারাবাও কাপের সেমিফাইনালের নিউক্যাসল ইউনাইটেডের কাছে হেরে বিদায় নিতে হয়েছে গানারদের। দুই লেগ মিলিয়ে মিকেল আরতেতার দলকে ৪-০ ব্যবধানে হারিয়ে ফাইনালে চলে গেছে নিউক্যাসেল।
প্রথম লেগের ঘরের মাঠে ২-০ গোলে হারের পর দ্বিতীয় লেগে বড় প্রত্যাশা নিয়ে মাঠে নেমেছিল আর্সেনাল। কিন্তু প্রতিপক্ষের মাঠেও হতাশ হয়ে ফিরতে হয়েছে গানারদের।
বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতে সেন্ট জেমস পার্কে শুরুতেই এগিয়ে যায় স্বাগতিকরা। ১৯ মিনিটে আলেক্সান্ডার আইসাকের শট পোস্টে লেগে ফিরে আসলে পাল্টা শট নিয়ে বল জালে পাঠান। এর গোল শোধ করতে মরিয়া হয়ে ওঠে সফরকারীরা।
প্রথমার্ধে গোলের জন্য প্রতিপক্ষের দ্বিগুণ ছয়টি শট নিয়ে একটির বেশি যদিও লক্ষ্যে রাখতে পারেনি আর্সেনাল। এতে ৩-০ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতি যায় নিউক্যাসেল।
দ্বিতীয়ার্ধে চতুর্থ মিনিটে ব্যবধান হতে পারত আরও বড়। আর্সেনালের গোলরক্ষক দাভিদ রায়া পোস্ট ছেড়ে ডি-বক্সে বাঁ দিকে অনেক এগিয়ে ছিলেন। সেই সময় তারা নিজেদের সীমানায় পজেশনও হারিয়ে বসে, বল পেয়ে যান গর্ডন; তবে ৩৫ গজ দূর থেকে তার শট একটুর জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।
তিন মিনিট পর অবশ্য আর ভুল করেননি গর্ডন। ৫২তম মিনিটে বক্সে ফাঁকায় বল পেয়ে প্রথম ছোঁয়ায় প্লেসিং শটে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন এই ইংলিশ ফরোয়ার্ড। এতে ফাইনালের টিকেটও প্রায় নিশ্চিত হয়ে যায় নিউক্যাসলের। এতে পুরো ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় নিউক্যাসল।
১৯৫৫ সালের পর বড় শিরোপা জিততে না পারা নিউক্যাসেল আগামী মাসে ওয়েম্বলিতে লিভারপুল অথবা টটেনহাম হটস্পারের বিপক্ষে ফাইনাল খেলবে। ২০২৩ সালের ফাইনালে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের কাছে হারের হতাশা কাটিয়ে এবার শিরোপা জিততে চায় তারা।
নিউক্যাসেলের ব্রাজিলিয়ান অধিনায়ক ব্রুনো গুইমারেস বলেন, আমি খুব খুশি ছিলাম ওডেগার্ড মিস করায়। এটি তাদের বড় সুযোগ ছিল এবং তারপর আমরা দ্রুতই গোল করি। এটি ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেয়।
তিনি আরও বলেন, আমি ম্যাচের আগে খুবই নার্ভাস ছিলাম। আর্সেনাল শীর্ষ দল। কিন্তু আমরা যখন এভাবে খেলি, তখন আমরা অসাধারণ একটি দল হয়ে উঠি। এভাবে খেলতে পারলে আমরা বড় স্বপ্ন দেখতে পারি।
আরটিভি/এসআর/এআর