মিরপুরে গত ৩০ ডিসেম্বর জমকালো আয়োজনে পর্দা উঠেছিল বিপিএলের ১১তম আসরের। আর মাত্র ২৪ ঘণ্টা পর শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচ দিয়ে পর্দা নামবে দেশের ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টের। যেখানে লড়াই করবে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ফরচুন বরিশাল ও চিটাগং কিংস।
এই ম্যাচের আগে আলোচনায় কে হচ্ছে এবারের টুর্নামেন্ট সেরা কে হতে যাচ্ছে। এই আলোচনায় সবার আগে যার নামটি আছে তিনি হলেন মোহাম্মদ নাইম। এবারের আসরে শুরু থেকেই ব্যাট হাতে দুর্দান্ত পারফরম করে আসছেন খুলনা টাইগার্সের এই ওপেনার।
দ্বিতীয় সেমিফাইনাল থেকে বাদ পড়েছে তার দল খুলনা। তবে এই আসরে সবগুলো ম্যাচেই সুযোগ পেয়েছেন তিনি। ৪২ গড়, ১টি সেঞ্চুরি ও ৩ ফিফটিতে ১৪ ম্যাচে ৫১১ রান করে সবার ওপরে রয়েছেন তিনি। ১২ ম্যাচে ৪৮৫ রান করে দ্বিতীয় স্থানের রয়েছে গ্রুপ পর্বে বাদ পড়া ঢাকা ক্যাপিটালসের ওপেনার তানজিদ তামিম।
তৃতীয় স্থানে রয়েছে রাজশাহী এনামুল হক বিজয়। ১২ ম্যাচে ৩৯২ রান করেছেন তিনি। একটি সেঞ্চুরিও রয়েছে তার। ৩৮৯ রান করে চারে জাকির হাসান, ৩৭৮ রান করে পাঁচে গ্রাহাম ক্লার্ক, ৩৬৮ রান করা লিটন ছয়ে এবং ১৩ ম্যাচে ৩৫৯ রান করে সাতে রয়েছেন তামিম ইকবাল।
ফাইনালে ওঠা ক্রিকেটারদের মধ্যে সাত জনের তালিকায় রয়েছেন কেবল দুইজন ক্রিকেটার। বরিশালের তামিম ও চিটাগংয়ে গ্রাহাম ক্লার্ক। শীর্ষে থাকা নাঈমকে ধরতে হলে ফাইনালে তামিমকে ১৫০ এবং গ্রাহামকে ১২৪ রান করতে হবে। যা অনেকটায় কঠিন।
তাই সর্ব্বোচ রান করার পুরস্কার নাঈমের হতে উঠতে যাচ্ছে তা নিশ্চিত ভাবেই বলা যায়। এদিকে টুর্নামেন্ট সেরার লড়াইয়েও রয়েছে নাঈম। খুলনাকে সেমিফাইনালে তুলতে তার বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। তবে ফাইনালে তামিম ও গ্রাহাম যদি ম্যাচে প্রভাব না ফেলতে পারে তাহলে এই পুরস্কারটাও পেতে পারেন নাঈম।
এদিকে সর্ব্বোচ উইকেট শিকারি পুরস্কার যে তাসকিন তা নিশ্চিত ভাবেই বলা যায়। দল বাদ পড়লেও ১২ ম্যাচে ২৫ উইকেট শিকার করে বার শীর্ষে রয়েছেন এই টাইগার পেসার।
১১ ম্যাচে ২০ উইকেট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে আকিভ জাভেদ। সমান ম্যাচ খেলে তিনে রয়েছেন ফাহিম আশরাফ। ১৩ ম্যাচে ২০ উইকেট নিয়ে চারে রয়েছেন খালেদ আহমেদ। সেরা পাঁচে থাকা বোলারদের মধ্যে কেবল ফাইনালে বল করবেন তিনিই। তাই ওপরের ওঠার সুযোগ রয়েছে এই ডান হাতি পেসারের। পাঁচে থাকা খুশদিল শাহর উইকেট ১৭টি।
আরটিভি/এসআর/এআর