সোমবার, ১২ মে ২০২৫ , ১২:০১ পিএম
ভারত-পাকিস্তান সংঘাতের কারণে পিএসএল খেলতে গিয়ে নিরাপত্তা শঙ্কায় ভুগছিলেন দুই টাইগার ক্রিকেটার রিশাদ হোসেন ও নাহিদ রানা। তবে টুর্নামেন্ট স্থগিত হওয়ায় দুবাই হয়ে দেশে ফিরেছেন তারা। এরপরই পাকিস্তানের অবস্থান করা সময়ে আতঙ্কগ্রস্ত একাধিক বিদেশি ক্রিকেটারের অভিজ্ঞতা জানিয়েছিলেন রিশাদ।
সেগুলো নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করা হয় অসংখ্য গণমাধ্যমে। তবে বেশ কিছু বিভ্রান্তিও সৃষ্টি হয়েছে। যার ফলে ক্ষমা চেয়েছেন রিশাদ। রোববার (১২ মে) রাতে নিজের অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজে বিভ্রান্তি নিরসনের লক্ষ্যে একটি বিবৃতি দিয়েছেন এই স্পিন অলরাউন্ডার। একইসঙ্গে তার মন্তব্য সংবাদমাধ্যমে অতিরঞ্জিত করে প্রচার হয়েছে বলেও অভিযোগ তোলেন তিনি।
দুবাইয়ের ট্রানজিটে ক্রিকবাজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রিশাদ বলেন, স্যাম বিলিংস, ড্যারিল মিচেল, কুশল পেরেরা, ডেভিড ভিসা, টম কারান…সবাই ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন। দুবাইয়ে নামার পর মিচেল বললেন, তিনি আর কখনও পাকিস্তানে যাবেন না, বিশেষ করে এমন পরিস্থিতিতে।
এ ছাড়াও ইংল্যান্ডের টম কারানকে নিয়ে রিশাদ বলেন, বিমান ধরার জন্য এয়ারপোর্টে গিয়ে তিনি (কারান) শুনতে পান সেটি বন্ধ হয়ে গেছে। যা শুনে ছোট বাচ্চার মতো কাঁদতে শুরু করেন কারান। ওই সময় তাকে সামলাতে দুই-তিনজন লোক লেগেছিল।
আর রিশাদের এসব মন্তব্যকে দাবার গুটি হিসেবে ব্যবহার করতে থাকে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম। এরপর দেশি-বিদেশি গণমাধ্যমেও তা ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু সেখানে বাড়িয়ে বলায় বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে জানিয়ে রিশাদ।
তিনি বলেন, আমি জানতে পেরেছি আমার সম্প্রতি করা কিছু মন্তব্য নিয়ে গণমাধ্যমের ভুল ব্যাখ্যায় বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে। দুবাই বিমানবন্দরে বাংলাদেশি সাংবাদিকদের দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে সেই মন্তব্য করেছিলাম। এটাতে পুরো প্রসঙ্গ উঠে আসেনি এবং অনিচ্ছাকৃতভাবে আবেগকে অতিরঞ্জিত করে তুলে ধরা হয়েছে।
সেই সঙ্গে সতীর্থদের কাছে দুঃখপ্রকাশ করে রিশাদ বলেন, আমার কারণে সৃষ্ট ভুল বোঝাবুঝির জন্য আমি অনুশোচনা প্রকাশ করছি। কারান এবং মিচেলের কাছেও নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছি আমি। সতীর্থদের জন্য আমার মধ্যে গভীর শ্রদ্ধা রয়েছে এবং আমি (লাহোর) কালান্দার্সের ভ্রাতৃত্ববোধকে ধারণ করি- যেখানে আমরা সবাই যেকোনো পরিস্থিতিতে একে অপরের পাশে দাঁড়াই। পাকিস্তান সুপার লিগ আবার শুরু হলে আমি নিজের দলে যোগদানের জন্য মুখিয়ে আছি।
প্রসঙ্গত, গত ৮ মে পিএসএলের ভেন্যু রাওয়ালপিন্ডি স্টেডিয়ামের পাশে ভারতের ড্রোন বিস্ফোরণ হয়। ফলে তাৎক্ষণিকভাবেই স্থগিত হয়ে যায় সেদিনের পূর্বনির্ধারিত পেশোয়ার জালমি ও করাচি কিংসের ম্যাচ। পরদিন স্থগিত করা হয় আসরের বাকি ৮ ম্যাচও। নিরাপত্তা শঙ্কা তৈরি হয় বিদেশি ক্রিকেটারদের। যদিও তাৎক্ষণিকভাবে তাদের দুবাই হয়ে দেশে ফেরার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
আরটিভি/এসআর