বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫ , ১১:১৪ এএম
সিরিজ জয়ের লক্ষ্য নিয়ে আরব আমিরাতের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে নেমেছিলেন অধিনায়ক লিটন দাস। কিন্তু প্রত্যাশা ও প্রাপ্তির মধ্যে যোজন যোজন পার্থক্য রয়েছে তা হাড়েহাড়ে টের পেয়েছেন তিনি। প্রথম ম্যাচ জিতলেও পরের দুই ম্যাচে রীতিমতো বিধ্বস্ত হয়েছে তার দলকে। সেই সঙ্গে দুটি লজ্জার বিশ্বরেকর্ড গড়েছে বাংলাদেশ।
বুধবার (২১ মে) তৃতীয় ম্যাচে আগে ব্যাট করতে নেমে আরব আমিরাতকে ১৬২ রানের লক্ষ্য দিয়েছিল বাংলাদেশ। জবাব দিতে নেমে ৭ উইকেট আর ৫ বল হাতে রেখেই জয় তুলে নিয়েছে আরব আমিরাত। এতে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ ঘরে তুলেছে স্বাগতিকরা।
আর এই হারে দুটি লজ্জার বিশ্বরেকর্ড গড়েছে টাইগাররা। সবমিলিয়ে সহযোগী দেশের বিপক্ষে এটি ১১তম হার। অফিসিয়াল ম্যাচের হিসেবে ১০ম ম্যাচে। সিরিজ বিবেচনায় তৃতীয় সিরিজ হার। সবশেষ এক বছরের মধ্যে দুবার আইসিসির সহযোগী দেশের কাছে হেরেছে বাংলাদেশ।
এর আগে ২০২৪ সালে ২১ মে তারিখেই যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে সিরিজ হেরেছিল বাংলাদেশ। ২০২৫ সালে এসেও ২১ মে তারিখেই আরব আমিরাতের কাছে সিরিজ হারলো।
টেস্ট ক্রিকেটের শীর্ষস্তরে বা টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ খেলা ৯ দেশের মধ্যে প্রথম দেশ হিসেবে সহযোগী সদস্যদের কাছে ১০ টি-টোয়েন্টি হেরেছে বাংলাদেশ। ৫ হারের রেকর্ডও অবশ্য অন্য কোনো দেশের নেই। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪ টি-টোয়েন্টি হেরেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
সহযোগী সদস্যদের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে পরাজয়
ক্রম | দেশের নাম | ম্যাচ হারের সংখ্যা |
১ | বাংলাদেশ | ১০ |
২ | ওয়েস্ট ইন্ডিজ | ৪ |
৩ | ইংল্যান্ড | ৩ |
৪ | পাকিস্তান | ২ |
৫ | দক্ষিণ আফ্রিকা | ২ |
এখানেই শেষ নয়, জিম্বাবুয়ে ব্যতীত একমাত্র টেস্ট খেলুড়ে দেশ হিসেবে সহযোগী দেশের কাছে একাধিক টি-টোয়েন্টি সিরিজ হেরেছে বাংলাদেশ। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ খেলা দেশগুলোর কথা বিবেচনা করলে অবশ্য টাইগাররাই সহযোগী দেশগুলোর কাছে হারের একমাত্র শিকার।
সহযোগী দেশের কাছে টি-টোয়েন্টি সিরিজ হার
ক্রম | দেশের নাম | ম্যাচ হারের সংখ্যা |
১ | জিম্বাবুয়ে | ৬ |
২ | বাংলাদেশ | ৩ |
আরটিভি/এসআর