বুধবার, ১১ জুন ২০২৫ , ০৭:১১ পিএম
সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের ম্যাচের পর সমালোচনা হচ্ছে মিতুল মারমাকে নিয়ে। সমালোচনার মুখে নিজের ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চাওয়া মিতুল মারমার মধ্যে দায়িত্ববোধের পরিচয় আছে। সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে দুই গোলেই তার কিছুটা ভূমিকা ছিল, বিশেষ করে বল ক্লিয়ার করতে না পারা ও ভুল ফিস্টিং—দুটি বড় মুহূর্ত। তবে ২১ বছর বয়সী একজন গোলরক্ষকের জন্য এ রকম চাপের ম্যাচে কিছু ভুল হওয়াটা অস্বাভাবিক না।
গোলরক্ষক পজিশনে অভিজ্ঞতা খুব গুরুত্বপূর্ণ, আর এসব ম্যাচই তরুণদের শেখায়। মিতুলের প্রকাশ্য ক্ষমা ও আরও ভালোভাবে ফেরার প্রতিশ্রুতি ইতিবাচক ইঙ্গিত দেয়। ভক্ত-সমর্থকদেরও উচিত এই সময় তাকে সমালোচনার পাশাপাশি মানসিকভাবে সমর্থন দেওয়া, যাতে ভবিষ্যতে আরও আত্মবিশ্বাস নিয়ে খেলতে পারেন। এখন দরকার সঠিক কোচিং, মানসিক প্রস্তুতি, আর ধারাবাহিক ম্যাচ টাইম।
ম্যাচের ৪৪তম মিনিটে প্রথম গোল হজম করে বসে বাংলাদেশ। এরপর ৫৯তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করে ঢাকা স্টেডিয়ামের গোটা গ্যালারিকে স্তব্ধ করে দেন সিঙ্গাপুরের স্ট্রাইকার ইখসান ফান্ডি। মঙ্গলবার(১০ জুন) কানায় কানায় পূর্ণ ঢাকার জাতীয় স্টেডিয়াম। দুর্বল ফিনিশিংয়ে বেশ কিছু সুযোগ হাতছাড়ার পাশাপাশি ভাগ্যও সঙ্গ দেয়নি স্বাগতিকদের। অনেক উল্লাস ও উচ্ছ্বাস সত্ত্বেও শেষ বাঁশির বাজার পর ভক্ত-সমর্থকদের হতাশ হয়ে ফিরতে হয়।
এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের সিঙ্গাপুর-বাংলাদেশ ম্যাচের ফলাফলের জন্য দেশের মানুষের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন জাতীয় ফুটবল দলের গোলকিপার মিতুল মারমা। বুধবার (১১ জুন) সামাজিক মাধ্যম ভেরিফায়েড ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি এ কথা বলেন।
মিতুল মারমা লিখেছেন, আমার জীবনের সবচেয়ে দুঃখজনক মুহূর্ত আমার ওপর গভীর প্রভাব ফেলেছে। আমাকে এমন কিছুর মুখোমুখি হতে হয়েছে, যা আমার হৃদয় ভেঙে দিয়েছে। আমার বড় ভাইয়ের মৃত্যুতে সত্যি আমি কষ্ট পেয়েছি। ভাইকে হারানোর এই দুঃসংবাদের মধ্যেও আমি নিজের সর্বোচ্চটা দেয়ার চেষ্টা করেছি। দলের জন্য কিছু করতে চেয়েছিলাম, কিন্তু পারিনি—এ জন্য আমি সত্যিই দুঃখিত এবং ক্ষমা প্রার্থনা করছি। আমার জন্য সত্যিই এটি কঠিন সময় ছিল।
শক্তিশালী হয়ে ফেরার বার্তা দিয়ে তিনি আরও বলেন, আবারও বলছি, ভুলের জন্য আমাকে ক্ষমা করবেন। বিশ্বাস রাখুন, আমি আরও শক্তিশালী হয়ে ফিরে আসব।
শেষ মুহূর্তে শাহরিয়ার ইমনের হেডটা ছিল গোলের হওয়ার মতোই, কিন্তু দুর্দান্ত সেভ করে তা ঠেকিয়ে দেন সিঙ্গাপুরের গোলরক্ষক। সেই মুহূর্তে গোল হলে ২-২ সমতা আসতো। আর ম্যাচের ফলাফল বদলাতে পারত। এটা প্রমাণ করে, বাংলাদেশ শেষ পর্যন্ত লড়াই করেছে। তবে ভাগ্য ও সুযোগ কাজে লাগাতে না পারাই মূল পার্থক্য গড়ে দিয়েছে। এই ম্যাচে ছোট ছোট ভুলগুলোই বড় হয়ে উঠেছে।
আরটিভি/এসকে