বৃহস্পতিবার, ১২ জুন ২০২৫ , ০৫:১৭ পিএম
আর মাত্র এক বছরের অপেক্ষা। ২০২৬ সালের ১১ জুন পর্দা উঠবে বিশ্ব ফুটবলের সবচেয়ে বড় আসর ফিফা বিশ্বকাপের। প্রথমবারের মতো ৪৮ দেশের অংশগ্রহণে তিনটি দেশে আয়োজিত হবে এই মহাযজ্ঞ যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকো। শুরু হয়ে গেছে আনুষ্ঠানিক ক্ষণগণনা।
এই প্রথমবার ফিফা বিশ্বকাপ হবে তিন আয়োজক দেশে। মূল আয়োজক যুক্তরাষ্ট্র, আর সহ-আয়োজক মেক্সিকো ও কানাডা। মেক্সিকো সিটির স্তাদে আজতেকায় অনুষ্ঠিত হবে উদ্বোধনী ম্যাচ। আর ১৯ জুলাই নিউ জার্সির ইস্ট রাদারফোর্ডে হবে ফাইনাল।
এবারের বিশ্বকাপে মোট ১৬টি ভেন্যুতে খেলা হবে নিউ ইয়র্ক, ডালাস, লস অ্যাঞ্জেলেস, হিউস্টন, ফিলাডেলফিয়া, সান ফ্রান্সিসকো, আটলান্টাসহ যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকোর বিভিন্ন শহরে চলছে জোর প্রস্তুতি। তিন আয়োজক দেশই নিজেদের মাঠে গ্রুপ পর্বের ম্যাচ খেলবে।
ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো আশাবাদী, এই বিশ্বকাপ হবে ইতিহাসের সবচেয়ে আধুনিক ও প্রযুক্তিনির্ভর আয়োজন। তিনি বলেন, “আমরা নতুন প্রজন্মকে ফুটবলের উন্মাদনায় যুক্ত করতে চাই। নিরাপত্তা, যোগাযোগ ও স্টেডিয়াম ব্যবস্থাপনায় থাকছে সর্বোচ্চ গুরুত্ব।”
এই আসর নিয়ে ফুটবল বিশ্বে তৈরি হয়েছে আগাম উত্তেজনা। ১৯৯৪ সালের পর যুক্তরাষ্ট্রে আবার বসতে যাচ্ছে ফুটবলের মহোৎসব, আর এবার সেটি আরও বড় ও জমকালো রূপে।
ফিফা সভাপতি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে এর আগে ১৯৯৪ সালে বিশ্বকাপ হয়েছে। অভিজ্ঞতা আছে মেক্সিকোর। তবে, কানাডা এবারই প্রথম আয়োজক হচ্ছে। প্রতিটি স্টেডিয়াম, প্রতিটি ভেন্যু আমরা কঠোরভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। আধুনিক স্টেডিয়াম, প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার থাকবে ২০২৬ বিশ্বকাপে। আমাদের লক্ষ্য আমরা নতুন প্রজন্মের মাঝে ফুটবলের উন্মাদনা ছড়িয়ে দিতে চাই। এবারের বিশ্বকাপে নিরাপত্তা, যোগাযোগ ব্যবস্থার দিকে আমরা বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছি।
আরটিভি/এসকে