নারী পাচারের অভিযোগে জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত নৃত্যশিল্পী সোহাগ গ্রেপ্তার
নারী পাচারকারী একটি চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত নৃত্যশিল্পী ও কোরিওগ্রাফার ইভান শাহরিয়ার সোহাগ।
বৃহস্পতিবার (১০ সেপ্টেম্বর) রাতে সিআইডির ঢাকা মেট্রো উত্তর বিভাগের কর্মকর্তারা গ্রেপ্তার করেন তাকে।
সিআইডির অতিরিক্ত উপ-মহাপরিদর্শক শেখ রেজাউল হায়দার আরটিভি নিউজকে এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেন।
দুবাই পুলিশের তথ্যের ভিত্তিতে, গত মাসে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) আজম খানসহ তার নারী পাচারকারী চক্রের ৫ সদস্যকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করে।
সিআইডি বলছে, গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে ৩ জনের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির ভিত্তিতে সোহাগকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজম খান ও তার সহযোগীরা স্বীকার করেছে, তারা মূলত ‘নৃত্যকেন্দ্রিক’ নারীদের পাচার করে থাকেন। কয়েকজন নৃত্য সংগঠক ও শিল্পী এই চক্রের সঙ্গে সম্পৃক্ত। এছাড়াও ছোটখাটো ক্লাবের কর্ণধারেরাও জড়িত আছে। চক্রটির মূল টার্গেট- ছোটখাটো ক্লাব বা প্রতিষ্ঠানের যেসব নৃত্যশিল্পী গায়েহলুদসহ বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে নাচ করেন তারাই। দেশের বেশ কিছু জেলায় তাদের নেটওয়ার্ক ছড়িয়ে আছে বলে তথ্য পাওয়া গেছে।
পাচারের শিকার ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথাবার্তার পর সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মৃণাল কান্তি সাহা গত ২ জুলাই লালবাগ থানায় একটি মামলা করেন। এজাহারে পাচারকারী আজমরা ৩ ভাই ছাড়াও আল আমিন হোসেন ওরফে ডায়মন্ড, মো. স্বপন হোসেন, নির্মল দাস (এজেন্ট), আলমগীর (দুবাই ক্লাবের সুপারভাইজার), আমান (এজেন্ট) ও শুভকে (এজেন্ট) আসামি করা হয়।
এজাহারে উল্লেখ করা তথ্য অনুযায়ী- আজম খান, তার দুই ভাইসহ মামলার আসামিরা দুবাইয়ের হোটেল ও ড্যান্স বারে মেয়েদের যৌনকর্মে বাধ্য করতেন। এই ৩ জনের প্রতিনিধিরা দেশের বিভিন্ন নাচের ক্লাব বা সংগঠন থেকে মেয়েদের সংগ্রহ করে কাজ দেওয়ার নামে তাদের দুবাই পাঠাচ্ছিলেন। দুবাই পুলিশের দেওয়া তথ্য ধরে সিআইডি গত জুলাই মাসে আজম খান এবং তার দুই সহযোগী ডায়মন্ড ও আনোয়ার হোসেন ওরফে ময়নাকে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তার হন আজমের এ-দেশীয় প্রতিনিধি নির্মল সরকার ও মো. ইয়াছিন।
‘ধ্যাততেরিকি’ সিনেমায় নৃত্য পরিচালনার জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান সোহাগ। 'নিত্যভূমি' নামে তার একটি নাচের দল আছে। দলের শিল্পীরা বিভিন্ন করপোরেট অনুষ্ঠানে নৃত্য পরিবেশন করেন।
কেএফ/জিএ
মন্তব্য করুন