গাজীপুরের টঙ্গীতে র্যাব সদস্য ওমর আলীর স্ত্রী সালমা সুলতানা ওরফে সাথীকে খুনের দায়ে ২ ব্যক্তির ফাঁসির আদেশ দিলেন আদালত। একই সঙ্গে উভয়কে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
দণ্ডিতরা হলেন, আবুল বাশার হাওলাদার ও মো. হারুন ঘরামী ওরফে বাবুল।
১০জন সাক্ষীর সাক্ষ্য নেয়া শেষে বুধবার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় এ দু’জনকে দণ্ড দেন আদালত। অন্য ৩ জনের বিরুদ্ধে করা অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদেরকে খালাস দেয়া হয়।
বুধবার দুপুরে গাজীপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক এ.কে.এম এনামুল হক এ রায় দেন। এসময় আবুল বাশার কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। হারুনসহ মামলার অপর আসামিরা পলাতক রয়েছেন।
বাশার পটুয়াখালীর সিকেওয়া বুনিয়া গ্রামের নাসির হাওলাদার ও হারুন একই জেলার তিওকাটা গ্রামের আপ্তের আলী ঘরামী ওরফে আফতাবের ছেলে।
মামলা বিবরণে জানা গেছে, গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর থানার বাকসাখোলার মৃত আব্দুল লতিফ শেখের ছেলে শেখ ওমর আলী বিজিবি-এর নায়েক পদে কর্মরত ছিলেন। পরে তিনি প্রেষণে র্যাব-৪-এ সাভারের নবীনগরের ক্যাম্পে যোগ দেন। এখানে কর্মরত থাকাকালে ২০১৪ সালের ৮ নভেম্বর দুপুরে খবর পান টঙ্গীর বড়দেওড়া খাঁপাড়া রোড এলাকার বাসায় তার স্ত্রী সালমা সুলতানা ওরফে সাথী দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে খুন হন।
ওইদিনই ওমর আলী বাদি হয়ে অজ্ঞাতনামা ২ জনকে আসামি করে টঙ্গী থানায় মামলা করেন। পরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এএসপি মো. সামসুল হক ওই মামলায় বাশার, হারুন, মো. সোনা মিয়া, রাজীব মোল্লা ও পনু মিয়ার বিরুদ্ধে ২০১৫ সালের ১৫ আগস্ট আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
রাষ্ট্রপক্ষে গাজীপুরের পিপি মো. হারিছ উদ্দিন আহম্মদ এবং আসামি পক্ষে মো. আসলাম সিকদার মামলা পরিচালনা করেন।
কে/জেএইচ