১৭ দফা ঢাকা ঘোষণার মধ্যদিয়ে শেষ হলো ১৪ দেশের পুলিশ প্রধানদের সম্মেলন। পুলিশ প্রধান ছাড়াও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ সম্মেলনে অংশ নেন। প্রথমবারের মতো এ সম্মেলনের অঙ্গীকার জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসসহ আন্তঃদেশীয় অপরাধ দমন।
গেলো ১২ মার্চ ঢাকায় হোটেল সোনারগাঁওয়ে ৩ দিনের এ সম্মেলন শুরু হয়।
আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা (ইন্টারপোল) ও বাংলাদেশ পুলিশের যৌথ উদ্যোগে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো এ সম্মেলন আয়োজন করা হয়। তিনদিনের এ পুলিশ প্রধান সম্মেলনে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
মঙ্গলবার গণমাধ্যমে পাঠানো বাংলাদেশ পুলিশের গণমাধ্যম ও জনসংযোগ শাখার এআইজি সোহেলী ফেরদৌসের সই করা বিবৃতিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
পুলিশ প্রধান সম্মেলনের ঘোষণাপত্রে সই করেন, আফগানিস্তান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র ডেপুটি মিনিস্টার আব্দুল রহমান, অস্ট্রেলিয়ার ফেডারেল পুলিশের সিনিয়র লিঁয়াজো অফিসার স্টুয়ার্ট ডেভিড অ্যালেন, রয়্যাল ভুটান পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ প্রধান নিংরা ওয়াংদি ও রয়্যাল ব্রুনাই পুলিশের অ্যাসিসটেন্ট পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ হাসান আহমেদ।
ঘোষণাপত্রে বলা হয়, দক্ষিণ এশীয় দেশগুলোর সীমান্ত অঞ্চলে পুলিশের পারস্পরিক বোঝাপড়া ও সহযোগিতা বৃদ্ধি করা হবে। একইসঙ্গে সহিংসতা ও সীমান্তে সংঘবদ্ধ অপরাধ দমনে কাজ করতে পারস্পরিক সহযোগিতা দরকার।
৪ টি উদ্দেশ্যে এই সম্মেলনের আয়োজন করা হয় বলে জানানো হয়।
১. সন্ত্রাস দমনের লক্ষ্যে নিজেদের মধ্যে সম্পর্কোন্নয়ন এবং অন্যান্য দেশের নিরাপত্তা সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ তৈরি। ২. সীমান্তে সংঘবদ্ধ অপরাধ ও সহিংসতা রোধে সম্মিলিত কৌশল তৈরি। ৩. আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মাঝে তথ্য আদান-প্রদানের ক্ষেত্র তৈরি। ৪. সন্ত্রাস মোকাবিলায় একটি সাধারণ প্ল্যাটফর্মে সবাইকে একত্রিত করা।
এছাড়াও সম্মেলনে কাউন্টার ভায়োলেন্ট টেরোরিজম, মানব পাচার, মাদক চোরাচালান, অস্ত্র পাচার বিষয়ক অপরাধের উপর বেশি জোর দেয়া হয়। বলা হয়, বর্তমান বিশ্ব সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াই করছে। এই অঞ্চল ও বিশ্বের অন্যান্য সংস্থাগুলোরও এই সমস্যা মোকাবিলায় একত্রিত হওয়া দরকার।
এইচটি/এমকে