• ঢাকা সোমবার, ১৩ জানুয়ারি ২০২৫, ২৯ পৌষ ১৪৩১
logo
কনস্টেবল সুজনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠালেন ট্রাইব্যুনাল
মোবাইল ইন্টারনেট নিয়ে সুখবর দিলো বিটিআরসি
মোবাইল ইন্টারনেটে বেঁধে দেওয়া ৪০টি প্যাকেজ অফারের লিমিট তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। এখন থেকে ঘণ্টা হিসেবেও প্যাকেজ কিনতে পারবেন গ্রাহকরা। পাশাপাশি গ্রাহককেন্দ্রিক বিভিন্ন মেয়াদের প্যাকেজও দিতে পারবে অপারেটররা। রোববার (১২ জানুয়ারি)  বিটিআরসির জারি করা মোবাইল ফোন অপারেটরসমূহের ডেটা এবং ডেটা-সংশ্লিষ্ট প্যাকেজ-সম্পর্কিত নির্দেশিকায় মুঠোফোন ইন্টারনেট প্যাকেজের ক্ষেত্রে এসব সুযোগ দেওয়া হয়েছে। এর ফলে প্রায় ১৫ মাসের মাথায় ইন্টারনেট প্যাকেজ বিক্রির ক্ষেত্রে অপারেটরদের ওপর থাকা শর্তগুলো শিথিল হলো। বিটিআরসি ২০২৩ সালের অক্টোবরে সর্বেশষ যে নির্দেশিকা দিয়েছিল, তাতে প্যাকেজের সংখ্যা সর্বোচ্চ ছিল ৪০ এবং মেয়াদ ৭ দিন, ৩০ দিন ও আনলিমিটেড (নির্দিষ্ট মেয়াদহীন) করা হয়, যা নিয়ে অপারেটররা অসন্তুষ্টি জানিয়ে আসছিল। নতুন নির্দেশিকায় অপারেটররা তিন ধরনের প্যাকেজ দিতে পারবে—১. নিয়মিত প্যাকেজ; যে প্যাকেজগুলো সব গ্রাহকের জন্য উন্মুক্ত থাকে ২. গ্রাহককেন্দ্রিক বিশেষ প্যাকেজ; গ্রাহকের ব্যবহার ও গ্রাহকপ্রতি গড় রেভিনিউর ওপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট ক্যাটাগরির গ্রাহকের জন্য ও ৩. রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট প্যাকেজ; বাজার যাচাই-বাছাই করতে এবং ধরন বুঝতে যে প্যাকেজ গ্রাহকদের দেওয়া হবে। নিয়মিত প্যাকেজগুলোর মেয়াদ সর্বনিম্ন ১৫ দিন, গ্রাহককেন্দ্রিক বিশেষ প্যাকেজের মেয়াদ সর্বনিম্ন ৩ দিন এবং রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট প্যাকেজ সর্বনিম্ন সাত দিন মেয়াদি হবে। এই তিন প্যাকেজের বাইরেও গ্রাহকের স্বার্থ এবং আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় অপারেটররা নিজস্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী প্যাকেজ নির্ধারণ করতে পারবে। তার আওতায় ঘণ্টাভিত্তিক এবং এক থেকে তিন দিন মেয়াদি প্যাকেজ করার সুযোগ দিয়েছে বিটিআরসি। নির্দেশনা অনুযায়ী প্রতি ঘণ্টার জন্য সর্বোচ্চ ২০০ এমবি (মেগাবাইট), এক দিনের জন্য সর্বোচ্চ ৩ জিবি (গিগাবাইট), দুদিনের জন্য সর্বোচ্চ ৫ জিবি এবং তিন দিনের জন্য সর্বোচ্চ ৮ জিবি প্যাকেজ দিতে পারবে অপারেটররা। গ্রাহক যাতে তার সুবিধা অনুযায়ী প্যাকেজ গ্রহণ করতে পারে, সে জন্য ‘ফ্লেক্সিবল প্ল্যান’ হিসেবেও একটি পাকেজ থাকবে। এ ছাড়া মেয়াদবিহীন অর্থাৎ আনলিমিটেড প্যাকেজও থাকবে। তবে সে ক্ষেত্রে সময়সীমা নির্ধারণ করে দিতে হবে। যেকোনো প্যাকেজের মেয়াদ শেষ হওয়ার এক দিন আগে গ্রাহককে এসএমএসের মাধ্যমে সে বিষয়ে জানাতে হবে। অবশ্য রাত ১২টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত ঘণ্টা-মিনিটভিত্তিক কোনো প্যাকেজ দেওয়া যাবে না। কোনো ডেটা প্যাকেজের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর অব্যবহৃত ডেটা থেকে গেলে, তা ‘ক্যারি ফরওয়ার্ড’ হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। অর্থাৎ মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই যদি গ্রাহক একই প্যাকেজ আবার কেনে, তাহলে পরের প্যাকেজে অব্যবহৃত ডেটা ব্যবহার করা যাবে। আরটিভি/এএ-টি 
টিউলিপের পর যুক্তরাজ্যে এবার আলোচনায় সালমানপুত্র শায়ান 
বিডিআর হত্যাকাণ্ড মামলার বিচারকাজ কেরানীগঞ্জে স্থানান্তর
ট্যাক্স-জিডিপি অনুপাত বাড়াতে ভ্যাটবৃদ্ধি: প্রেস সচিব 
সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে ভারতের কাছে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ 
এজেন্সিপ্রতি এক হাজার কোটা বহাল রেখেই সৌদির সঙ্গে হজ চুক্তি স্বাক্ষরিত
এজেন্সিপ্রতি এক হাজার কোটা বহাল রেখেই সৌদি আরবের সঙ্গে বাংলাদেশের ২০২৫ সনের হজ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। বাংলাদেশের পক্ষে ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন এবং সৌদি আরবের পক্ষে হজ ও ওমরাহ মন্ত্রী তওফিক বিন ফাওজান আল রাবিয়ার মধ্যে সৌদি আরবের জেদ্দায় রোববার (১২ জানুয়ারি) স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় এ দ্বিপক্ষীয় হজ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।  জেদ্দায় সৌদি ধর্ম মন্ত্রণালয়ের কনফারেন্স হলে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ধর্ম উপদেষ্টা বাংলাদেশের সার্বিক হজ ব্যবস্থাপনার অগ্রগতি নিয়ে সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেন। এ সময় ধর্ম উপদেষ্টা বাংলাদেশি হজ এজেন্সিপ্রতি সর্বনিম্ন হজযাত্রীর কোটা এক হাজার থেকে কমানোর বিষয়টি পুনর্বিবেচনার জন্য সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রীকে অনুরোধ করেন। কিন্তু সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রী এজেন্সিপ্রতি সর্বনিম্ন হজযাত্রীর কোটা এক হাজার বহাল রাখার বিষয়টি সৌদির সরকারের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দেন । ২০২৪ সালের অক্টোবরে সৌদি আরবের জেদ্দায় অনুষ্ঠিত দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে ধর্ম উপদেষ্টা সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রীকে এজেন্সি প্রতি ন্যূনতম হজযাত্রীর কোটা দুই হাজার থেকে কমিয়ে ২৫০ জন করার অনুরোধ করেন। তার অনুরোধের প্রেক্ষিতে সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় ২০২৫ সালের জন্য বাংলাদেশি এজেন্সিপ্রতি হজযাত্রীর ন্যূনতম কোটা দুই হাজার হতে কমিয়ে এক হাজার নির্ধারণ করে। তবে আগামীবছর এজেন্সিপ্রতি এই কোটা হবে দুই হাজার জন। এ সময়  ধর্ম সচিব এ কে এম আফতাব হোসেন প্রামাণিক, হজ অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মতিউল ইসলাম, সৌদি আরবে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত দেলোয়ার হোসেন, কনসাল জেনারেল মিয়া মোহাম্মদ মাইনুল কবির, কাউন্সিলর (হজ) মো. জহিরুল ইসলাম ও উপদেষ্টার একান্ত সচিব ছাদেক আহমদসহ রাজকীয় সৌদি হজ ও উমরা মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। আরটিভি/টিআই  
নতুন এইচএমপি ভাইরাস নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সতর্কতা
দেশে ইতোমধ্যে একজনের শরীরে হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস (এইচএমপিভি) শনাক্ত হয়েছে। যদিও ভাইরাসটি নিয়ে আগেই সতর্কতা জারি করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সম্প্রতি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে অধিদপ্তর জানায়, চীনসহ উপমহাদেশের বিভিন্ন দেশে এইচএমপি ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব এবং তীব্রতা উদ্বেগজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে ১৪ বছরের কম বয়সী শিশু এবং ৬৫ বছর বা তার বেশি বয়সী ব্যক্তিদের মধ্যে এই রোগের সংক্রমণ বেশি দেখা যায়। সেই সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদী স্বাস্থ্য সমস্যা যেমন— হাঁপানি বা ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, গর্ভবতী মহিলা এবং দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন ব্যক্তিদের জন্য উচ্চঝুঁকি সৃষ্টি হতে পারে।  পৃথিবীর অন্যান্য অনেক দেশের মতো বাংলাদেশেও এই রোগের সংক্রমণ দেখা যায়। সম্প্রতি চীন ও অন্যান্য দেশে এর প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়ায় বাংলাদেশে এর সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখা আবশ্যক। যে জন্য সব যন্ত্র সেবাকেন্দ্র এবং পয়েন্টস অব এন্ট্রিসমূহে স্বাস্থ্যবিধি জোরদার করা প্রয়োজন। এই প্রেক্ষিতে বাংলাদেশে এ ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে নিম্নে বর্ণিত নির্দেশনা অনুসরণ করা এবং জনগণের মধ্যে স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য অনুরোধ করা হলো। সংক্রমণ প্রতিরোধে নির্দেশনাসমূহ— ১। শীতকালীন শ্বাসতন্ত্রের রোগসমূহ হতে নিজেকে রক্ষার জন্য মাস্ক ব্যবহার করুন। ২। হাঁচি ও কাশির সময় গামছা বা টিস্যু দিয়ে নাক-মুখ ঢেকে রাখুন। ৩। ব্যবহৃত টিস্যুটি অবিলম্বে ঢাকনাযুক্ত ময়লা ফেলার ঝুড়িতে ফেলুন এবং হ্যান্ড স্যানিটাইজার অথবা সাবান পানি দিয়ে হাত ধুয়ে ফেলুন। ৪। আক্রান্ত হয়েছেন এমন ব্যক্তিদের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলুন এবং কমপক্ষে তিন ফুট দূরত্ব বজায় রাখুন। ৫। ঘন ঘন সাবান ও পানি কিংবা হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত ধৌত করুন (অন্তত ২০ সেকেন্ড)। ৬। অপরিষ্কার হাতে চোখ, নাক, মুখ ধরবেন না। ৭। আপনি জ্বর, কাশি এবং শ্বাসকষ্ট আক্রান্ত হলে সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত বাড়িতে থাকুন। প্রয়োজন হলে নিকটস্থ হাসপাতালে যোগাযোগ করুন। প্রসঙ্গত, রোববার (১২ জানুয়ারি) দেশে একজনের শরীরে হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস (এইচএমপিভি) শনাক্ত হয়েছে। সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) ভাইরোলজি বিভাগের প্রধান ডা. আহমেদ নওশের আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। উল্লেখ্য, এইচএমপিভি একটি সংক্রামক রোগ এবং যেভাবে এটি ছড়ায়, তার সঙ্গে সাদৃশ্য রয়েছে করোনার। বিজ্ঞানীরা বলছেন, করোনার মতোই হাঁচি, কাশি, আক্রান্ত রোগীর কাছাকাছি অবস্থান, করমর্দন এবং স্পর্শের মাধ্যমে ছড়ায় এ রোগটি। ২০০১ সালে চীনে ভাইরাসটির অস্তিত্বের প্রমাণ মিললেও এখন পর্যন্ত এর বিরুদ্ধে তৈরি হয়নি কার্যকর কোনো প্রতিষেধক। চলতি বছরের জানুয়ারির শুরুতে পূর্ব এশিয়ার দেশ চীনে নতুন করে ভাইরাসটির সংক্রমণ ধরা পড়ে। এরপর জাপানেও ভাইরাসটি শনাক্ত হয়। এখন এইচএমপিভির প্রাদুর্ভাব মালয়েশিয়া ও ভারতেও ছড়িয়ে পড়েছে। তবে, ভাইরাসটিকে নিয়ে এখনই আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই বলে অভিমত চিকিৎসক ও রোগতত্ত্ব বিশেষজ্ঞদের। তারা বলছেন, রোগটিকে প্রতিরোধ করা সম্ভব এবং এর প্রতিরোধের সঙ্গে করোনা বা কোভিডের প্রতিরোধ ব্যবস্থার সাদৃশ্যও রয়েছে।চীনের যেসব হাসপাতালে এইচএমপিভি রোগীরা ভর্তি হয়েছেন, তাদের চিকিৎসায় নির্দিষ্ট কোনো ওষুধ ব্যবহার না করে প্রচলিত ওষুধই দেওয়া হচ্ছে। রোগটি প্রতিরোধের ক্ষেত্রে চিকিৎসকরা যেসব পরামর্শ দিয়েছেন, সেগুলো হলো— নিয়মিত দিনে কয়েকবার সাবান দিয়ে হাত ধোয়া, আক্রান্ত রোগীর কাছ থেকে নিরাপদ শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং কোনো কিছু স্পর্শ করার পর হাত ভালোভাবে ধোয়া এবং শারীরিক অসুস্থতা বোধ করলে বাড়িতে অবস্থান করা। আরটিভি/এফএ
ভ্যাট বাড়লেও সাধারণ মানুষের ওপর খুব প্রভাব পড়বে না: প্রেস সচিব 
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, বিভিন্ন পণ্য ও সেবায় ভ্যাট বাড়লেও সাধারণ মানুষের উপরে খুব বেশি প্রভাব পড়বে না।  রোববার (১২ জানুয়াার) সন্ধ্যায় ফরেন সার্ভিস একাডেমির মিলনায়তনে এক বিফ্রিংয়ে এ কথা বলেন তিনি। প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, বাংলাদেশে ট্যাক্স জিডিপির যে অনুপাত হার, এটা ২০২১ সালের পর থেকে খুব নেমে যাচ্ছে। এই বছর পাঁচ মাসে আমাদের ট্যাক্স ঘাটতি রয়েছে ৪২ হাজার কোটি টাকা। আমাদের টার্গেট ছিল ১ লাখ ৬৯ হাজার কোটি টাকা। সেটা হয়েছে ১ লাখ ২৬ হাজার কোটি টাকার একটু বেশি। বাংলাদেশের গ্রোথের জন্য ট্যাক্সটাকে একটা জায়গায় নিতে হবে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে কিছু ভ্যাট আরোপ করা হয়েছে। ট্যাক্সের টাকা বাংলাদেশের উন্নয়নে ব্যয় হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।  তিনি আরও বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার আসার পর থেকে আমরা চেষ্টা করছি আমাদের খরচটা কীভাবে কমানো যায়। আগে ৩০০ জনের বহর নিয়ে বিদেশ যাওয়া হতো। এখন আমাদের ৪০-৫০ জনের বেশি হয় না। এ সময় প্রধান উপদেষ্টার উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার, অপূর্ব জাহাঙ্গীর, সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব ফয়েজ আহম্মদ, সহকারী প্রেস সচিব আশরোফা ইমদাদ, সুচিস্মিতা তিথি উপস্থিত ছিলেন।  আরটিভি/এমএ
এক বছরে সীমান্তে ১৭১৬৯ নাগরিক আটক, বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য জব্দ
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে সীমান্ত অতিক্রমের দায়ে ১৫৫ জন ভারতীয় নাগরিক, ১৪ হাজার ৩৩৬ জন মিয়ানমারের নাগরিক ও ২ হাজার ৬৭৮ জন বাংলাদেশি নাগরিককে আটক করেছে। আটকের পর তিন দেশের ১৭ হাজার ১৬৯ জনের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। এ সময়ে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্যও জব্দ করেছে তারা। রোববার (১২ জানুয়ারি) বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম এসব তথ্য জানান। তিনি জানান, বিজিবি ২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশের সীমান্ত এলাকাসহ অন্যান্য স্থানে অভিযান চালিয়ে মোট ২ হাজার ১৮৪ কোটি ২৮ লাখ ৫২ হাজার টাকা মূল্যের বিভিন্ন প্রকারের চোরাচালান পণ্যসামগ্রী জব্দ করতে সক্ষম হয়েছে। জব্দ চোরাচালান পণ্যের মধ্যে রয়েছে- ১৩১ কেজি ৪২৪ গ্রাম স্বর্ণ, ১৩৭ কেজি ২৮৯ গ্রাম রৌপ্য, ২ লাখ ১৪ হাজার ৮০৫টি শাড়ি, ২ লাখ ১০ হাজার ৬৩টি থ্রিপিস, লেহেঙ্গা, তৈরি পোশাক, ৩৩ লাখ ২২ হাজার ৩৬১টি কসমেটিকস সামগ্রী, ৭০ লাখ ১৫ হাজার ৮২৪ কেজি চিনি, ৫৮ হাজার ২৭৪ কেজি চা পাতা, ২ লাখ ৩৫ হাজার ৪৪৬ কেজি পেঁয়াজ, ৩ লাখ ৩৮ হাজার ৪৯৭ কেজি রসুন, ৬৫ হাজার ২৯৮ কেজি জিরা, ৮৯ হাজার ৩৬৫ কেজি মাছ, ৪ লাখ ৩১ হাজার ৪০৭ কেজি সুপারি, ৪৮ হাজার ৫৯৮ ঘনফুট কাঠ, ৬ হাজার ৫৩ ঘনফুট পাথর, ৭ লাখ ৩৭ হাজার ১৮০ কেজি কয়লা, ৬১ হাজার ১৪৪টি ইমিটেশন গহনা, ১৭টি কষ্টিপাথরের মূর্তি, ১৪ কেজি ৮১ গ্রাম সাপের বিষ, ৮ কেজি ৩৯৮ গ্রাম তিমির বমি (অ্যাম্বারগ্রিস), ৩৩ হাজার ১৩২ কেজি কারেন্ট জাল, ১২ লাখ ৬৭ হাজার ১৪৮ প্যাকেট বিড়ি ও সিগারেট, ২৫ হাজার ৬২৪ কেজি সার, ১২ হাজার ২৬২ লিটার ডিজেল, পেট্রোল, অকটেন, ৯ হাজার ৯০৭টি মোবাইল, ১ লাখ ৫টি মোবাইল ডিসপ্লে, ৩ লাখ ৬০ হাজার ২৮৮ পিস চশমা, ১০ লাখ ৩২ হাজার ৯৪ পিস চকলেট, ২ লাখ ৭৮ হাজার ২৫৩ প্যাকেট বিস্কুট, ২ হাজার ১৮০ প্যাকেট কীটনাশক, ৩৮ কেজি ৪০০ গ্রাম কচ্ছপের হাড়, ২ কোটি ৫১ লাখ ৬৪ হাজার ৫০৭ পিস আতশবাজি, ২০৭টি ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান, ৮টি বাস, ৪৭টি প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাস, ৯১টি পিকআপ, ৩৮৩টি সিএনজি ও ইজিবাইক, ৮৭৩টি মোটরসাইকেল এবং ২৩৫টি বাই-সাইকেল। একই সময়ে উদ্ধার হওয়া অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে- ৩৮টি পিস্তল, ৫টি এসএমজি, ১৮টি গ্রেনেড, ৮টি রাইফেল, ৬টি রিভলভার, ৫২টি বিভিন্ন ধরনের বন্দুক, ৮ হাজার ৮৫৯ রাউন্ড গোলাবারুদ, ৪৫টি ম্যাগাজিন, ৪টি মর্টার শেল, ৪১টি ককটেল, ১০.৪৪ কেজি গান পাউডার এবং ২৩৩টি ব্লাংক কার্টিজ। বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম আরও জানান, গত বছর বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্যও জব্দ করেছে বিজিবি। এ সময়ে ৯২ লাখ ১৬ হাজার ৮৭৮ পিস ইয়াবা, ৮৪ কেজি ৭৯১ গ্রাম ক্রিস্টাল মেথ, ৩১ কেজি আফিম, ২ লাখ ১৪ হাজার ২৮ বোতল ফেনসিডিল, ২ হাজার ৩৯ হাজার ৩৭২ বোতল বিদেশি মদ, ৭ হাজার ৭৭৯ লিটার বাংলা মদ, ১ লাখ ৮৪ হাজার ২৮০টি মদ তৈরির ট্যাবলেট, ১৩ হাজার ২৬৬ ক্যান বিয়ার, ১৫ হাজার ৭৮২ কেজি গাঁজা, ২৬৪ কেজি ৮৪ গ্রাম হেরোইন, ৬ হাজার ২৪ কেজি ৩৫৩ গ্রাম কোকেন, ১৪৭ বোতল এলএসডি, ৮৯ লাখ ৭ হাজার ৩৪৩টি অ্যানেগ্রা ও সেনেগ্রা ট্যাবলেট, ৩৬ হাজার ১৭৩টি ইস্কাফ সিরাপ, ১১১ লাখ ১০ হাজার ৫৪৮টি বিভিন্ন প্রকার ওষুধ, ১২ হাজার ৫১০ বোতল এমকেডিল ও কফিডিল, ১২ লাখ ৭৩ হাজার ৪১২টি নেশা জাতীয় ও উত্তেজক ইনজেকশন এবং ৫৭ লাখ ৭০ হাজার ৭৫৭টি অন্যান্য ট্যাবলেট জব্দ করা হয়েছে। একই সময়ে ১২০ একর জমির পপি ক্ষেত ধ্বংস করা হয়েছে। এছাড়াও ২০২৪ সালে সীমান্তে বিজিবির অভিযানে ইয়াবা ও ক্রিস্টাল মেথসহ বিভিন্ন প্রকার মাদক পাচার ও অন্যান্য চোরাচালানে জড়িত থাকার অভিযোগে ২ হাজার ৮৮ জনকে এবং অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রমের দায়ে ২ হাজার ৬৭৮ জন বাংলাদেশি নাগরিক, ১৫৫ জন ভারতীয় নাগরিক এবং ১৪ হাজার ৩৩৬ জন মিয়ানমারের নাগরিককে আটকের পর তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।  আরটিভি/এমএ  
ফের বাড়ল সশস্ত্র বাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা
বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীতে কর্মরত সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন ও এর ওপরের পদমর্যাদার কর্মকর্তাদের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতার মেয়াদ আবারও বাড়িয়েছে সরকার। ক্ষমতার মেয়াদ আরও ৬০ দিন বাড়ানো হয়েছে। রোববার (১২ জানুয়ারি) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন থেকে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীতে কর্মরত সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন ও তদূর্ধ্ব সমপদমার্যাদার কমিশন্ড কর্মকর্তাদের সারা বাংলাদেশে বিশেষ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা অর্পণ করা হলো। এই ক্ষমতা ১৪ জানুয়ারি থেকে ৬০ দিনের জন্য অর্পণ করা হয়েছে। ফৌজদারি কার্যবিধি ১৮৯৮ এর ৬৪, ৬৫, ৮৩, ৮৪, ৮৬, ৯৫(২), ১০০, ১০৫, ১০৭, ১০৯, ১১০, ১২৬, ১২৭, ১২৮, ১৩০, ১৩৩ ও ১৪২ ধারা অনুযায়ী এই এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। গত ১৭ সেপ্টেম্বর দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রথম সেনা কর্মকর্তাদের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়া হয়। এর কয়েকদিন পর ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে এই ক্ষমতা নৌ-বাহিনী ও বিমান বাহিনীর কর্মকর্তাদের দেওয়া হয়।  এরপর গত ১৫ নভেম্বর দেওয়া প্রজ্ঞাপনে এই ক্ষমতা ৬০ দিনের জন্য বাড়ানো হয়। ওই প্রজ্ঞাপনে কোস্টগার্ড ও বিজিবিতে প্রেষণে কর্মরত সামরিক কর্মকর্তাদেরও একই ক্ষমতা প্রদান করা হয়। আরটিভি/এফএ-টি
বায়ুদূষণ বন্ধে ৭ দিনের মধ্যে পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ হাইকোর্টের
বায়ুদূষণ বন্ধে আগামী সাত দিনের মধ্যে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে ব্যবস্থা গ্রহণ ও এ সংক্রান্ত জারিকৃত আগের ৯ দফা নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে এ বিষয়ে আগামী ২৬ জানুয়ারি আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। রোববার (১২ জানুয়ারি) বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।  আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। তাকে সহায়তা করেন অ্যাডভোকেট সঞ্জয় মণ্ডল ও অ্যাডভোকেট সেলিম রেজা। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তানিম খান।  এ বিষয়ে আইনজীবী মনজিল মোরসেদ জানান, ঢাকার বায়ুদূষণ বন্ধে মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি) জনস্বার্থে ২০১৯ সালে একটি রিট পিটিশন দাখিল করেন। ওই রিটের শুনানি শেষে আদালত বিবাদীদের প্রতি রুল জারি করে শহর ও তার আশপাশের এলাকার বায়ুদূষণ বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দেন। এ ছাড়া একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করতে বলেন। পরে এ বিষয় নিয়ে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে এইচআরপিবির পক্ষ থেকে আবেদন করা হলে আদালত ৯ দফা নির্দেশনা জারি করে তা বাস্তবায়নের নির্দেশ দেন।  তিনি বলেন, আদালতের এমন নির্দেশনা থাকার পরেও কর্তৃপক্ষ অতিসামান্য ব্যবস্থা গ্রহণ করায় এবং বেশির ভাগ নির্দেশনা পালন না করায় সম্প্রতি ঢাকা শহর বায়ুদূষণে বিশ্বে প্রথম স্থান অধিকার করেছে। তবে কর্তৃপক্ষ ২০২৩ সালের মাঝামাঝি পর্যন্ত কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করায় ঢাকার বায়ুদূষণের মাত্রা কিছুটা কমে এবং পরে নির্দেশনাগুলোর সঠিক বাস্তবায়ন না হওয়ায় ঢাকা শহর আবারও বায়ুদূষণের শীর্ষ শহরে পরিণত হয়েছে মর্মে মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশ হয়। তিনি আরও জানান, প্রকাশিত সংবাদ নজরে এলে আদালতের নির্দেশনা ও বাস্তবায়ন চেয়ে একটি আবেদন করা হয়। শুনানিতে আদালত বর্তমানের বায়ুদূষণের পরিস্থিতি এবং বর্তমান অবস্থা নিয়ে উৎকণ্ঠা প্রকাশ করেন এবং নির্দেশনা জারি করেন। ৯ নির্দেশনা হলো—১. ঢাকা শহরে মাটি/বালি/বর্জ্য পরিবহনকারী ট্রাক ও অন্যান্য গাড়িতে মালামাল ঢেকে রাখা। ২. নির্মাণাধীন এলাকায় মাটি/বালু/সিমেন্ট/পাথর/নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা। ৩. সিটি করপোরেশন কর্তৃক রাস্তায় পানি ছিটানো। ৪. রাস্তা/কালভার্ট/কার্পেটিং/খোঁড়াখুঁড়ি কাজে টেন্ডারের শর্ত পালন নিশ্চিত করা। ৫. কালো ধোঁয়া নিঃসরণকৃত গাড়ি জব্দ করা। ৬. সড়ক পরিবহন আইন অনুসারে গাড়ির চলাচল সময়সীমা নির্ধারণ ও উত্তীর্ণ হওয়ার সময়সীমার পরে ওই গাড়ি চলাচল বন্ধ করা। ৭. অবৈধ ইটভাটাগুলো বন্ধ করা। ৮. পরিবেশ লাইসেন্স ব্যতীত চলমান টায়ার ফ্যাক্টরি বন্ধ করা। ৯. মার্কেট/দোকানগুলোতে প্রতিদিনের বর্জ্য ব্যাগ ভরে রাখা ও অপসারণ নিশ্চিত করতে সিটি করপোরেশনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা। আরটিভি/এফএ
শেখ পরিবারের ৬ সদস্যের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার বোন শেখ রেহানাসহ শেখ পরিবারের ছয় সদস্যের বিরুদ্ধে পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে সরকারি প্লট বেআইনিভাবে নিজেদের নামে করিয়ে নেওয়ার অভিযোগে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। রোববার (১২ জানুয়ারি) দুদক মহাপরিচালক বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানাসহ ১৬ জনের নামে মামলা করেছে দুদক। গত ২৬ ডিসেম্বর এ বিষয়ে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। ওইদিন দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন জানান, রাজনৈতিক বিবেচনায় সংবিধানের ১৩/এ ধারার ক্ষমতাবলে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতার অপব্যবহার, বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে রাজউকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সহায়তায় নিজ নামে, তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ (পুতুল), ছোট বোন শেখ রেহানা, ছোট বোনের ছেলে রেদোয়ান মুজিব সিদ্দিকী ববি এবং ছোট বোনের মেয়ে আজমিনা সিদ্দিকীর নামে পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পের ২৭ সেক্টরের কূটনৈতিক জোনের ২০৩ নং রোড থেকে ১০ কাঠা করে মোট ৬০ কাঠার ছয়টি প্লট বরাদ্দ নিয়েছেন। তিনি বলেন, পত্রিকার ক্লিপিংয়ে বর্ণিত অভিযোগসমূহ সুনির্দিষ্ট, তথ্যভিত্তিক এবং কমিশনের তফসিলভুক্ত অপরাধ মর্মে প্রতীয়মান হওয়ায় বিষয়টি কমিশনের বিশেষ তদন্ত শাখা থেকে অনুসন্ধান করা সমীচীন মর্মে প্রতীয়মান হয়। আরটিভি/এফএ-টি