রাজধানীতে সিটিং সার্ভিস চলবে না বন্ধ হবে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে ৮ সদস্যের কমিটি করেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। জানালেন সংস্থার চেয়ারম্যান মো. মশিয়ার রহমান।
জনস্বার্থে সিটিং সার্ভিস বহাল রাখা যাবে নাকি বন্ধ করা হবে এ বিষয়ে বিআরটিএ’র গঠিত কমিটিকে আসছে ৩ মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। কমিটির প্রধান করা হয়েছে রোড় সেফটি বিভাগের পরিচালক শেখ মো. মাহবুব ই রব্বানীকে।
কমিটির দেয়া প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে সিটিং সার্ভিসের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে বিআরটিএ।
মশিয়ার রহমান বলেন, সিটিং সার্ভিস থাকবে না বন্ধ হবে সে বিষয় তদন্ত করতে কমিটি করা হয়েছে। কমিটির প্রধানই কার্যক্রম সম্পর্কে জানাবেন। তিনি মুখপাত্র হিসেবেও কাজ করবেন। আসছে সপ্তাহে গঠিত কমিটির প্রথম বৈঠক হবে।
এ দিকে কমিটির প্রধান মাহবুব ই রব্বানী বলেন, প্রথম বৈঠকে আমাদের করণীয় নিয়ে আলোচনা হবে। তবে আমরা বিভিন্ন বিষয় মাথায় রেখে বৈঠক করবো। যেগুলো বিবেচনায় নিয়ে সিটিং সার্ভিস বন্ধ বা চালু রাখা হবে তা নিয়ে আলোচনা করা হবে।
গেলো ১৬ এপ্রিল ঢাকায় গণপরিবহনে সিটিং, গেট লক ও স্পেশাল বাস সার্ভিস বন্ধ করা হয়। পরিবহন মালিক সমিতির সঙ্গে আলোচনা করে এ সিদ্ধান্ত নেয়েছিলো বিআরটিএ।
লোকাস বাসে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়, নৈরাজ্য ও হয়রানির ফলে ১৯ এপ্রিল বিআরটিএ কার্যালয়ে পরিবহন মালিকদের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করে বিআরটিএ। এরপর পরবর্তী ১৫ দিন পরীক্ষামূলক সিটিং সার্ভিস চালানোর সিদ্ধান্ত হয়।
ওই বৈঠকের বলা হয়, ১৫ দিনের মধ্যে পরিবহন খাতে বিরাজমান পরিস্থিতি নিরসনে করণীয় বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। নির্ধারিত ১৫ দিন শেষে বুধবার নতুন করে ৩ মাসের সময় বেঁধে দিয়ে ৮ সদস্যের কমিটির করা হয়েছে।
- সিটিং সার্ভিস আর চালু হবে না: বিআরটিএ চেয়ারম্যান
- রোববার থেকে বন্ধ হচ্ছে সিটিং সার্ভিস
- রোববার থেকে সিটিং সার্ভিস চললেই ব্যবস্থা : বিআরটিএ
- সিটিং সার্ভিসের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করা হবে
- বন্ধ হয়নি সিটিং সার্ভিস (ভিডিও)
এইচটি/জেএইচ