সেই শিক্ষিকা প্রেমিকাই ফার্স্ট লেডি

সোমবার, ০৮ মে ২০১৭ , ০৬:০০ পিএম


সেই শিক্ষিকা প্রেমিকাই ফার্স্ট লেডি

ব্রিজিত থনিও। যিনি হতে চলেছেন ফ্রান্সের ফার্স্ট লেডি। ফ্রান্সের সর্বকনিষ্ঠ প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর স্কুল শিক্ষিকাও ছিলেন তিনি। ছিলেন প্রেমিকাও। অসম প্রেমে সত্যিকারের ভালোবাসার জয় হয়েছিলো তাদের। ঘটনাক্রমে ২৪ বছরের ব্যবধান সত্ত্বেও বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন তারা।

ম্যাক্রোঁ বলেন, তার জীবনের অনুপ্রেরণায় এ স্কুল শিক্ষিকা স্ত্রীর অবদান রয়েছে। এপ্রিলে প্রথম দফা নির্বাচনের পর ম্যাক্রোঁ বলেছিলেন ব্রিজিত থনিও ছাড়া আমি আজকের ম্যাক্রোঁ হতে পারতাম না।

বিজ্ঞাপন

সবকিছু ঠিক থাকলে মাক্রোঁ পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী ফ্রান্সের ফার্স্ট লেডি হতে চলেছেন ৬৪ বছরের ৭ নাতি-নাতনিসহ ব্রিজিত থনিও।

ব্রিজিত উত্তর ফ্রান্সের অ্যামিন্স শহরের এক মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। ছয় ভাই-বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন সর্বকনিষ্ঠ। ম্যাক্রোঁর সঙ্গে দেখা হবার আগে তার জীবন ছিলো গতানুগতিক। স্কুলে তিনি ফ্রান্স সাহিত্য, ল্যাটিন ড্রামা পড়াতেন। প্রথম জীবনে একজন ব্যাংকারকে বিয়ে করেন। সেই স্বামীর ঘরে তিনি তিন সন্তানের জন্ম দেন।

২০০৬ সালে ব্যাংকার স্বামীকে ডিভোর্স দেন। তার এক বছর পর ম্যাক্রোঁকে বিয়ে করে চলে আসেন রাজধানী প্যারিসে। ২০১৫ সালে চাকরি ছেড়ে দিয়ে অর্থমন্ত্রী স্বামী ম্যাক্রোঁর বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কাজ শুরু করেন।

ফ্রান্স টিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্রিজিত ছিলেন ম্যাক্রোঁর নির্বাচনের কোচ। রান অফ ভোটের আগে ম্যাক্রোঁর নির্বাচনী বক্তৃতা লিখে দেয়ার পাশাপাশি তা কিভাবে জনসম্মুখে উপস্থাপন করা হবে সে বিষয়েও নির্দেশনা দিতেন।

বিজ্ঞাপন

ওই প্রতিবেদনে ব্রিজিত থনিও বলেন, ‘আমাকে সবদিকে খেয়াল রাখতে হতো। নানা দিক থেকে ম্যাক্রোঁকে নিরাপদে রাখতে আমাকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে হতো।’

এপি/জেএইচ

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

Loading...


© All Rights Reserved 2016-2025 | RTV Online | It is illegal to use contents, pictures, and videos of this website without authority's permission | powered by TechnoNext Software Limited.