• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo
ভারতীয় হৃদয়ে প্রাণ বাঁচল পাকিস্তানি তরুণীর
বিশ্বব্যাপী মানবাধিকার পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করছে যুক্তরাজ্য : অ্যামনেস্টি 
যুক্তরাজ্য ইচ্ছাকৃতভাবে বিশ্বব্যাপী মানবাধিকার পরিস্থিতিকে অস্থিতিশীল করে তুলছে বলে দাবি করেছে মানবাধিকারবিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। সংস্থাটির বার্ষিক বৈশ্বিক প্রতিবেদনে এমনটি দাবি করা হয়েছে। খবর গার্ডিয়ানের। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক আইনের নড়বড়ে অবস্থার মধ্যে জাতীয় ও বিশ্বব্যাপী মানবাধিকার সুরক্ষাকে দুর্বল করছে ব্রিটেন।  এতে আরও বলা হয়েছে, যুক্তরাজ্যে আশ্রয়প্রার্থী এবং অন্যান্য অভিবাসীদের লক্ষ্যবস্তু করছে দেশটির সরকার। দেশটি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেছে এবং বৈশ্বিক একটি বিপজ্জনক সময়ে মানবাধিকার সুরক্ষা লঙ্ঘন করেছে। এ ছাড়া গাজায় মানবাধিকার লঙ্ঘন প্রতিরোধে জাতিসংঘে ভূমিকা রাখতে ব্যর্থ হওয়ায় বিশেষভাবে যুক্তরাজ্যের নিন্দা করা হয়েছে এ প্রতিবেদনে। এ ব্যাপারে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ইউকের প্রধান নির্বাহী সাচা দেশমুখ বলেছেন, যুক্তরাজ্য তার ভয়ংকর অভ্যন্তরীণ নীতি এবং রাজনীতির মাধ্যমে সর্বজনীন মানবাধিকারের সম্পূর্ণ ধারণাকে ইচ্ছাকৃতভাবে অস্থিতিশীল করে তুলছে।  
যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাব থাকলে মৃত্যু হতে পারে ইউরোপের : ম্যাক্রোঁ
বাংলাদেশের উন্নতি দেখে এখন লজ্জিত হই : পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী
হামাসের অবস্থানগুলোতে হামলার চালাতে অগ্রসর হচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী
ভারতের পাটনায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে নিহত ৬
পাকিস্তানের সংসদ ভবনে জুতা চুরি, খালি পায়ে ফিরলেন এমপিরা
পাকিস্তানের সংসদ ভবন থেকে ২০ জোড়া জুতা চুরির ঘটনা ঘটেছে। এতে খালি পায়ে বাড়ি ফিরতে হয়েছে এমপিদের। সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন। প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, গত শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) পাকিস্তানের সংসদ চত্বরে থাকা একটি মসজিদে এই জুতা চুরির ঘটনা ঘটেছে। ওই দিন জুমার নামাজ পড়তে মসজিদে ঢুকেছিলেন সংসদ সদস্য, সাংবাদিক ও সরকারি কর্মকর্তারা। নামাজ শেষে দেখলেন তাদের জুতা গায়েব। অনেক খোঁজাখুজির পরেও নিজেদের জুতা না পেয়ে খালি পায়েই ঘরে ফিরতে হয়েছে তাদের।  কড়া নিরাপত্তায় ঘেরা সংসদ চত্বরের মসজিদ থেকে অন্তত ২০ জোড়া জুতা চুরির ঘটনা নিয়ে পাকিস্তানে চলছে বিতর্কের ঝড়। জুতা চুরির সময় দায়িত্বপ্রাপ্ত নিরাপত্তাকর্মীরা স্পষ্টতই অনুপস্থিত থাকায় পরিস্থিতিকে আরও জটিল হয়েছে। পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের স্পিকার সরদার আয়াজ সাদিক এই ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। সংসদের নিরাপত্তা ব্যবস্থার ত্রুটি অনুসন্ধানে সূক্ষ্ম তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
তিউনিসিয়া উপকূলে অভিবাসীবোঝাই নৌকাডুবি, নিহত ১৪
তিউনিসিয়া উপকূলে অভিবাসীবোঝাই নৌকাডুবির ঘটনা ঘটেছে। এতে ১৪ জন নিহত হয়েছেন। মেডেনাইন শহরের একজন পাবলিক প্রসিকিউটর বুধবার (২৪ এপ্রিল) এএফপিকে বলেন, তিউনিসিয়ার দক্ষিণের জেরবা দ্বীপের উপকূলে গত কয়েক দিনে ১৪ জন অভিবাসীর মৃতদেহ পাওয়া গেছে। নিহতদের মধ্যে বেশির ভাগই সাব-সাহারান আফ্রিকান দেশগুলো থেকে এসেছিল। মেডেনাইনের আদালতের প্রসিকিউটর ফেথি বাককুচে বলেন, এদের মধ্যে একজন মিশরীয় ব্যক্তিও ছিলেন। তার কাছে থাকা পাসপোর্টটি থেকে তার পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে। জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক অভিবাসন বিষয়ক সংস্থা জানিয়েছে, ২০২৩ সালে কেন্দ্রীয় ভূমধ্যসাগরীয় পথ অতিক্রম করার চেষ্টা করার সময় প্রায় ২ হাজার ৪৯৮ জন মারা গেছে বা নিখোঁজ হয়েছে। আগের বছরের তুলনায় এই সংখ্যা ৭৫ শতাংশ বেশি। এর আগে গত মঙ্গলবার তিউনিসিয়া কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে, তারা ২২ অভিবাসনপ্রত্যাশীর মৃতদেহ খুঁজে পেয়েছে। এসব মরদেহ বেশ কয়েক দিন ধরে উপকূলে ভেসে ছিল। এদিকে ফরাসি উপকূল থেকে ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে যুক্তরাজ্যে পৌঁছানোর চেষ্টাকালে শিশুসহ অন্তত পাঁচ অভিবাসনপ্রত্যাশীর মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। গত সোমবার (২২ এপ্রিল) রাতে নৌকাডুবির ঘটনাটি ঘটেছে ধারণা করা হচ্ছে। তবে ওই সময়ে ঠিক কয়টি নৌকা যাত্রা করেছিল তা এখনও নিশ্চিত নয়। ফরাসি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মঙ্গলবার ভোর ৫টায় ১১০ জন অভিবাসনপ্রত্যাশী নিয়ে একটি ছোট নৌকা ভিমুরু উপকূল থেকে যাত্রা করেছিল। যাত্রার পর প্রথমে নৌকাটি একটি বালির তীরে আটকা পড়ে। পরে আবার যাত্রা করে সেটি। নৌকাটি অতিরিক্ত যাত্রীবোঝাই ছিল বলে জানা গেছে। বিদেশে পাড়ি দেওয়ার জন্য তিউনিসিয়া এবং এর প্রতিবেশী লিবিয়া অভিবাসীদের কাছে গত কয়েক বছরে বেশ জনপ্রিয় রুট হয়ে উঠেছে। প্রায়ই বিভিন্ন দেশ থেকে ইউরোপে উন্নত জীবন যাপনের আশায় বিপজ্জনক ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিচ্ছেন অভিবাসনপ্রত্যাশীরা।
ইসরায়েলি হামলায় আরও ৭৯ ফিলিস্তিনি নিহত
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে আবারও বর্বর হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে আরও ৭৯ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।  বুধবার (২৪ এপ্রিল) বার্তাসংস্থা আনাদোলুর এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের আক্রমণ অব্যাহত রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলের হামলায় অন্তত আরও ৭৯ ফিলিস্তিনি নিহত এবং ৮৬ জন আহত হয়েছেন। গাজা অঞ্চলের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, অনেক মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় আটকা পড়ে আছেন কারণ উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারছে না। ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের মতে, ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসের একটি অস্থায়ী রায়কে লঙ্ঘন করে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছে। গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে চালানো বর্বর এই আগ্রাসনে অন্তত ৩৪ হাজার ২৬২ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহত এসব বিপুল সংখ্যক ফিলিস্তিনির বেশিরভাগই নারী এবং শিশু। এ ছাড়া ইসরায়েলের নির্বিচার হামলায় আহত হয়েছেন আরও ৭৭ হাজার ২২৯ জন। জাতিসংঘের মতে, ইসরায়েলের বর্বর আক্রমণের কারণে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। আর খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের তীব্র সংকটের মধ্যে গাজার সকলেই এখন খাদ্য নিরাপত্তাহীন অবস্থার মধ্যে রয়েছেন। এ ছাড়া অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডের ৬০ শতাংশ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। হাজার হাজার মানুষ কোনো ধরনের আশ্রয় ছাড়াই বসবাস করছে এবং প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম ত্রাণবাহী ট্রাক এই অঞ্চলে প্রবেশ করছে। উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা চালায় হামাস। এ ঘটনার পর ইসরায়েল ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান এবং স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি এই হামলায় ফিলিস্তিনের শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জা, হাসপাতাল ও স্কুলসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। ফিলিস্তিনের গাজা ভূখণ্ডের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গাজায় ইসরায়েলের আক্রমণের ফলে এখন পর্যন্ত অন্তত ৩৪ হাজার ২৫০ জন নিহত হয়েছেন। যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। এ ছাড়া আহত হয়েছেন আরও ৭৭ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি। ইসরায়েলি আগ্রাসনের কারণে প্রায় ২০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।
কমলা রঙের মেঘে ঢেকে গেছে গ্রিসের আকাশ
গ্রিসের আকাশ ঢেকে গেছে কমলা রঙের মেঘে। সূর্য্যের দেখা মিলছে না। এ যেন রঙিন কুয়াশায় ঢাকা পুরো আকাশ। সবকিছু যেন কমলা রং ধারণ করেছে। হঠাৎ মনে হবে, এ যেন কম্পিউটার স্ক্রিনের আলোর রং পরিবর্তনের মতো। গ্রিসের রাজধানী এথেন্স ও অন্যান্য শহরে এমন দেথা গেছে। খবর দ্য গার্ডিয়ানের। বুধবার (২৪ এপ্রিল) দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে এসব বলা হয়েছে। গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়, এ পরিস্থিতি প্রকৃত মেঘের কারণে হয়নি। আকাশ ঢেকে রেখেছে সাহারা মরুভূমি থেকে উড়ে আসা ধূলিকণা।  ধূলিকণার মেঘে বিপর্যস্ত গ্রিস। এতে কমে গেছে মানুষের দৃষ্টিসীমা। ভয়াবহ বায়ুদূষণে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন বাসিন্দারা। ২০১৮ সালের পর ফের এই ভয়াবহ পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছে গ্রিস। এর আগে এথেন্সে গত কয়েক দিন ধরে প্রবল বাতাস বইছিল। পরে মঙ্গলবার থেকে আকাশে ধূলিকণার মেঘ ওড়ে আসে। দেশটির আবহাওয়াবিষয়ক সংস্থা এথেন্স অবজারভেটরির গবেষণা পরিচালক কোস্টাস লাগোয়ার্দোস বলেন, কমলা রঙের এই ধূলিকণার আস্তরণ বিশেষ করে ক্রিট দ্বীপে ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। চলতি বছর আরও দু’বার ধূলিকণার মুখোমুখি হয়েছে গ্রিস। উত্তর আফ্রিকা থেকে এসেছে এই ধূলিকণা। যা ছড়িয়ে পড়েছে সুইজারল্যান্ড ও ফ্রান্সের দক্ষিণের কিছু অঞ্চলেও। গ্রিসের আবহাওয়া সেবা সংস্থা জানায়, বুধবার থেকে দেশের আকাশ পরিষ্কার শুরু হতে পারে। লোকজনকে ঘরে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বাইরে বের হলে মাস্ক পরতে বলা হয়েছে। এদিকে মঙ্গলবার কয়েকটি অঞ্চলে দাবানলের ঘটনা ঘটেছে গ্রিসে। ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশটিতে ২৫টি দাবানলের খবর পেয়েছে ফায়ার সার্ভিস। সাহারা মরুভূমি থেকে ধূলিকণার মেঘ ভেসে আসার ঘটনা নতুন নয়। বালুঝড়ে ধুলোবালি ওড়ে আশপাশের অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে। অপেক্ষাকৃত ছোট ও হালকা ধুলো বায়ুমণ্ডলে ‘ধুলো মেঘের’ সৃষ্টি করে। প্রবল বাতাসে যার বেশিরভাগ ভেসে আসে ইউরোপের দেশে ।
ইসরায়েলে একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হিজবুল্লাহর
ইসরায়েলের সামরিক স্থাপনায় নতুন করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। বুধবার (২৪ এপ্রিল) হিজবুল্লাহর পক্ষ থেকে দেয়া এক বিবৃতিতে এই দাবি করা হয়েছে। খবর আল মানার টিভি। হিজুবুল্লাহর বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ফিলিস্তিনের উত্তরাঞ্চলে ইসরায়েলের দখল করা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি স্থাপনা নিশানা করে বুধবার ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছেন হিজবুল্লাহর যোদ্ধারা। তাদের দাবি, বুধবার সকালে কাতিউশা ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে উত্তর ফিলিস্তিনের শোমেরা এলাকায় ইসরায়েলের সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে এই হামলা চালানো হয়েছে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর নির্বিচার হামলার প্রতিবাদ এবং লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে ইসরায়েলের হামলার পাল্টা জবাব দিতে এ হামলা করে লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। পৃথক এক বিবৃতিতে হিজবুল্লাহ জানিয়েছে, দখলকৃত ফিলিস্তিনের আল-রাহিব নামে ইসরায়েলের একটি সামরিক ঘাঁটিতে আজ (বুধবার) সকাল ১০টার দিকে হামলা চালনো হয়েছে। এদিকে ইসরায়েলের সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, উত্তর ইসরায়েলের গালালির আভিভিম এলাকায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়েছে। ক্ষেপণাস্ত্র আঘাতের সেখানে একটি ভবনে আগুন ধরার খবর জানিয়েছে দেশটির বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম।
ইউক্রেনে নতুন অস্ত্র-সরঞ্জাম পাঠানোর ঘোষণা বাইডেনের
ইউক্রেনে  দু-একদিনের মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্র নতুন অস্ত্র এবং সরঞ্জাম পাঠানো শুরু করবে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি বলেন, বুধবার আমার ডেস্কে বিলটি পৌঁছানোর সাথে সাথে এটি স্বাক্ষর করা হবে যাতে সহায়তা এই সপ্তাহে পাঠানো যায়।  মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মার্কিন সিনেটে দীর্ঘ বিলম্বিত ইউক্রেন, ইসরায়েল ও তাইওয়ানের জন্য ৯৫ বিলিয়ন ডলারের সামরিক সহায়তা প্যাকেজ পাস হওয়ার পরেই এ মন্তব্য করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এমনটি জানিয়েছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি। বিল পাসের বিষয়টিকে স্বাগত জানিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেছেন, ‘কঠিন এ আইনটি আমাদের জাতি এবং বিশ্বকে আরও সুরক্ষিত করে তুলবে। ডেমোক্র্যাটিক সিনেটের সংখ্যাগরিষ্ঠ নেতা চাক শুমার বলেছেন, ‘ছয় মাসেরও বেশি পরিশ্রম এবং অনেক মোচড়ের পরে আমেরিকা সমগ্র বিশ্বের কাছে একটি বার্তা পাঠায়েছি যে ‘আমরা আপনার দিকে মুখ ফিরিয়ে নেব না।’ এদিকে ভোট পাসের পর এক প্রতিক্রিয়ায় ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, আমেরিকার এ ভূমিকা মুক্ত বিশ্বের নেতা হিসাবে আমেরিকাকে শক্তিশালী করে তুলবে। সম্প্রতি পশ্চিমা বিশ্বের কাছে সাহায্য চেয়ে আসছিল ইউক্রেন। এর মধ্যে মার্কিন সিনেটে ৭৯ সদস্যের ভোটে পাস হলো সামরিক সহায়তা প্যাকেজ। ৯৫ বিলিয়ন ডলারের মার্কিন সহায়তা প্যাকেজ থেকে ইউক্রেন পাচ্ছে ৬১ বিলিয়ন ডলার। এছাড়া, ইউক্রেনকে ৬২ কোটি ডলারের অস্ত্র সহায়তা দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে আমেরিকা। গাজায় আগ্রাসন নিয়ে বিশ্বজুড়ে সমালোচনার মধ্যেই নতুন সহায়তার ঘোষণা এলো। যদিও, বরাদ্দকৃত অর্থের ৯১০ কোটি ডলার খরচ হবে গাজায় মানবিক সহায়তায়।    
মোদির বিরুদ্ধে ইসিতে ২০ হাজার নাগরিকের চিঠি
ভারতের রাজস্থানে গত রোববার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এক নির্বাচনী বক্তৃতায় তীব্র মুসলিম বিদ্বেষী বক্তব্য দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছে বিরোধী দলগুলো। মোদির বিচার চেয়ে নির্বাচন কমিশনে প্রায় ২০ হাজার ভারতীয় নাগরিকের চিঠি জমা পড়েছে। চিঠিগুলোতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নির্বাচনী প্রচারণায় নিষেধাজ্ঞা দেওয়ারও দাবি জানানো হয়েছে। তবে নির্বাচন কমিশন এখনও এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। তারা বলছে, নির্বাচনী জনসভায় মোদি যা বলেছেন, তা ভয়ংকর। কমিশন ব্যবস্থা না নিলে নির্বাচনী সংস্থার বিশ্বাসযোগ্যতা ও স্বশাসনের চরিত্রকে প্রশ্নের মুখে দাঁড় করাবে। ভারতের নির্বাচনে এবারও ধর্মীয় সংখ্যালঘু বিশেষ করে মুসলিম সম্প্রদায়কে নিশানা করে প্রচারণা চালাচ্ছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। একই সঙ্গে আক্রমণ করছেন প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসকেও। সম্প্রতি রাজস্থান ও উত্তর প্রদেশে পরপর দুটি নির্বাচনী জনসভায় কংগ্রেসকে লক্ষ্য করে নরেন্দ্র মোদি বলেন, ক্ষমতায় এলে তারা সাধারণ মানুষের ধন-সম্পত্তি দখল করে মুসলমানদের মধ্যে বিলি-বাটোয়ারা করে দেবে। এ কথা তারা তাদের দলের নির্বাচনী ইশতেহারেও জানিয়ে দিয়েছে। তিনি বলেন, কংগ্রেস যখন ক্ষমতায় ছিল, তখন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংসহ তার সরকারের নীতিনির্ধারকরা এ ধরনের অভিপ্রায়ের কথা বলেছিলেন। এই কংগ্রেসকে জনগণ ভোট দেবে কিনা? ‘তারা কি চান, তাদের কষ্টার্জিত সম্পত্তি, যারা শুধু কাঁড়ি কাঁড়ি বাচ্চার জন্ম দেয়, তাদের মধ্যে বাঁটোয়ারা হোক? তাদের সম্পদের মালিক হোক অনুপ্রবেশকারীরা?’ মুসলমানদের বিদ্রুপ করে প্রশ্ন ছোড়েন মোদি। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের পর দেশটির সংখ্যালঘু সম্প্রদায় মুসলিমদের মধ্যে আতঙ্ক বেড়েছে। এসব উসকানিমূলক বক্তব্য ঠেকাতে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছে সাধারণ মানুষ।  তবে দুইদিন পেরিয়ে গেলেও ভারতের নির্বাচন কমিশন নিরুত্তর। কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ তো দূরের কথা, মন্তব্য পর্যন্তও করেনি তারা। আর এ অবস্থার  মধ্যে দ্বিতীয় দফার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে শুক্রবার।