• ঢাকা রোববার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
logo
ঘুষকাণ্ড নিয়ে অবশেষে মুখ খুললেন আদানি
বাংলাদেশ নিয়ে ভারতে বাড়াবাড়ি হচ্ছে: পশ্চিমবঙ্গের মন্ত্রী
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর কথিত হামলার অভিযোগ নিয়ে সরব ভারতের ক্ষমতাশীন বিজেপি সরকার। একই সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক অপপ্রচার চলাচ্ছে দেশটির গণমাধ্যমগুলো। এ ঘটনায় বাংলাদেশের পতাকা অবমাননা থেকে শুরু করে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের কুশপুত্তলিকা দাহের ঘটনাও ঘটেছে কলকাতায়। শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) এ বিষয়ে মুখ খুলেছেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ইস্যু নিয়ে ভারতে বাড়াবাড়ি হচ্ছে। এসব ইস্যু বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়।’ সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘মাদরাসার ছেলেরা মন্দির পাহারা দিয়ে পূজা করার সুযোগ করে দিয়েছে। এগুলো দেখতে পান না? পাল্টা হামলা যারা করছে, তারা অস্থির মস্তিষ্কের। বাংলাদেশে কোথায় কি ঘটেছে, প্রকৃতপক্ষ কতটা... অত্যাচার হলে নিশ্চিতভাবে তার নিন্দা করতে হবে। তবে সেটা বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়।’ তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে বিভিন্ন প্রশাসনিক পদে বসে রয়েছেন হিন্দুরা। থানার বড় বাবু, বিচারপতি, এসপি, ডিএম, কত হিন্দু। এগুলো দেখা যায় না?’ পশ্চিমবঙ্গের ওই মন্ত্রী বলেন, ‘এখানে যখন বাবরি মসজিদের বিষয়ে বাংলাদেশ মুখ খুলেছিল তখন মোদিজি বলেছিলেন, এটা আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। ইউনূস সাহেবও ভালো উত্তর দিয়েছেন- এটা আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়।’ তিনি আরও বলেন, ‘সন্ন্যাসী যদি অপরাধ করে সে অপরাধী, ইমাম অপরাধ করলে সেও অপরাধী। ভালো সন্ন্যাসী হলে সে কি অপরাধ করবে? সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী ৪০ বছর ধরে কাজ করছে, সবার সামনে বলছি, কটা থানায় কেস দেখেছেন? অপরাধ অপরাধই।’ আরটিভি/এসএপি
এইচআইভি আক্রান্ত শতাধিক প্রবাসীকে দেশে ফেরত পাঠাল কুয়েত
বিশ্বের ‘সর্ব বৃহৎ’ স্বর্ণের খনির সন্ধান পেল চীন
সন্ধ্যায় আঘাত হানবে ঘূর্ণিঝড় ‘ফিনজাল’, রেড অ্যালার্ট জারি 
বাংলাদেশিদের চিকিৎসা না দেওয়ার ঘোষণা কলকাতার হাসপাতালের 
মার্কিন ডেমোক্র্যাট আইনপ্রণেতার বাড়িতে হামলার হুমকি
মার্কিন পাঁচ ডেমোক্র্যাটিক আইনপ্রণেতার বাড়িতে বোমা হামলার হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন কানেকটিকাট থেকে নির্বাচিত কয়েকজন জনপ্রতিনিধি। থ্যাঙ্কসগিভিং ডে-তে পৃথক বিবৃতিতে এই হুমকির কথা জানান কানেকটিকাট থেকে নির্বাচিত মার্কিন প্রতিনিধি জিম হাইমস, জাহানা হেইস, জন লারসন এবং জো কোর্টনি। জিম হাইমস বলেন, এই দেশে রাজনৈতিক সহিংসতার কোনো স্থান নেই। আশা করি, আমরা সবাই ছুটির মৌসুমটি শান্তিপূর্ণভাবে কাটাতে পারবো। বৃহস্পতিবার সকালে পুলিশ জাহানা হেইসকে জানায়, তার বাড়ির ডাকবাক্সে পাইপ বোমা রাখা হয়েছে- ইমেইলে এমন দাবি করা হয়েছ। তবে পরে কোনো বোমা পাওয়া যায়নি। পুলিশ এখনো তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, মার্কিন সিনেটর ক্রিস মারফিও একই ধরনের হুমকি পেয়েছেন। চলতি সপ্তাহে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের কয়েকজনও বোমা হামলার হুমকি পেয়েছেন৷ অজ্ঞাত ব্যক্তি মিথ্যা অভিযোগের মাধ্যমে অভিযানের জন্য বাড়িতে পুলিশ পাঠানোয় তাদের কেউ কেউ হয়রানির শিকারও হয়েছেন। আরটিভি/এএইচ
যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়নে একসঙ্গে কাজ করবে লেবানন সেনাবাহিনী-হিজবুল্লাহ
ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পাদিত যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়নে লেবানন সেনাবাহিনীর সঙ্গে মিলে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ইরান সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ।  শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) লেবাননের টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক ভাষণে এ প্রতিশ্রুতি দেন হিজবুল্লাহর মহাসচিব নাঈম কাসেম। যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর লেবাননের টেলিভিশনে সম্প্রচার হওয়া এটিই তার প্রথম ভাষণ। ভাষণে হিজবুল্লাহর মহাসচিব জানান, লেবানন সেনাবাহিনীর সঙ্গে কোনো ‘সমস্যা কিংবা মতের অমিল’ দেখছেন না তিনি। এর ফলে যুদ্ধবিরতির শর্ত মেনে লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে ৬০ দিনের মধ্যে সেনা মোতায়েন হবে। এই সময়ে ইসরায়েল সেখান থেকে নিজেদের সেনা প্রত্যাহার করবে এবং হিজবুল্লাহ নিজেদের যোদ্ধা সরিয়ে নেবে। যুদ্ধবিরতির প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে হিজবুল্লাহ যোদ্ধা ও লেবাননের সেনাদের মধ্যকার সমন্বয়ের কাজটি উচ্চপর্যায়ে সম্পাদন করা হবে বলে মন্তব্য করেন নাঈম কাসেম। তিনি বলেন, লেবাননের প্রতিরক্ষা সক্ষমতা জোরদার করতে কাজ করব আমরা। এরই মধ্যে লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে কিছু সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। নিরাপত্তা সূত্র ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বরাতে আন্তর্জাতিক বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, সেনা মোতায়েন–সংক্রান্ত একটি বিস্তারিত পরিকল্পনা দেশটির মন্ত্রিসভায় উত্থাপন করা হবে। উল্লেখ্য, গত বুধবার (২৭ নভেম্বর) থেকে ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্সের মধ্যস্থতায় সই হওয়া এ চুক্তি অনুযায়ী, দক্ষিণ লেবানন থেকে নিজেদের সেনা সরিয়ে নিতে ৬০ দিন সময় পাবে ইসরায়েল। এ সময় কোনো পক্ষই একে অপরের ওপর হামলা চালাতে পারবে না। আরটিভি/এসএইচএম-টি
গাজার দুই শহরে ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত আরও ১০০
মৃত্যুর মিছিল থামছেই না গাজায়। লেবাননে হিজবুল্লাহর সঙ্গে যুদ্ধবিরতি টানলেও ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ উপত্যকাটিতে যেন আগ্রাসনের মাত্রা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। সবশেষ বুধবার সন্ধ্যা থেকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত গাজার উত্তরাঞ্চলীয় দুই শহর বেইত লাহিয়া এবং জাবালিয়ায় ব্যাপক বিমান হামলা চালিয়েছে দখলদার রাষ্ট্রটি। এই সময়ে এ দুই শহরে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ১০০ জন। শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে আনাদোলু এজেন্সি।  গাজার বেসামরিক প্রতিরক্ষা বিভাগের মুখপাত্র মাহমুদ বাসালের বরাতে সংবাদমাধ্যমটি জানায়, নিহতদের মধ্যে ৭৫ জন বেইত লাহিয়া শহরের এবং বাকি ২৫ জন জাবালিয়া ও সংলগ্ন বিভিন্ন এলাকার। প্রসঙ্গত, গত বছরের ৭ আগস্ট ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের ওপর প্রতিশোধ নেওয়ার নাম করে ফিলিস্তিনের গাজায় ভয়াবহ আগ্রাসন শুরু করে ইসরায়েল। এরপর থেকে বৈশ্বিক পরিমন্ডলে শত চাপ সৃষ্টির পরও সে আগ্রাসন এখনও থামেনি। মাঝে কিছুদিন আভিযান ও হামলার মাত্রা কিছুটা স্তিমিত হলেও সবশেষ  গত ৫ অক্টোবর থেকে উত্তর গাজায় অভিযানে বিশেষভাবে জোর দেয় ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী। তারপর থেকে এ পর্যন্ত উত্তর গাজার বিভিন্ন এলাকায় ইসরায়েলের স্থলবাহিনী ও বিমানবাহিনীর হামলায় নিহত হয়েছেন অন্তত ২ হাজার ৭০০ জন ফিলিস্তিনি এবং আহত হয়েছেন আরও ১০ হাজার। গাজার মোট জনসংখ্যার একটি বড় অংশ বসবাস করে উত্তরাঞ্চলে। ৫ অক্টোবর বিশেষ অভিযান শুরুর পর থেকে অঞ্চলটিতে খাবার, ওষুধ, জ্বালানি প্রবেশ করতে দিচ্ছে না ইসরায়েলি বাহিনী। ফলে ইতোমধ্যেই মানবিক বিপর্যয় নেমে এসেছে উত্তর গাজায়। গাজার বেসামরিক প্রতিরক্ষা বিভাগের মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় নিহতদের মধ্যে এমন অনেকেই রয়েছেন, যারা পানি ও খাবারের সন্ধানে বাড়ির বাইরে বেরিয়েছিলেন। তিনি বলেন, গত প্রায় দুই মাস ধরে উত্তর গাজায় ত্রাণ প্রবেশ করতে দিচ্ছে না ইসরায়েল। ইতোমধ্যে সেখানে দুর্ভিক্ষের পরিস্থতি দেখা দিয়েছে। গণহত্যা, খাদ্যাভাব এবং লাগাতার হামলায় ভয়াবহ পরিস্থিতি পার করছেন উত্তর গাজার বাসিন্দারা। এ হামলার ব্যাপারে এক বিবৃতি দিয়ে আইডিএফ জানিয়েছে, উত্তর গাজায় হামাস সংগঠিত হচ্ছে— এমন গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সবশেষ বিমান হামলাটি চালিয়েছে তারা। এদিকে ২০২৩ সালে ৭ আগস্ট থেকে এ পর্যন্ত অবরুদ্ধ গাজায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৪৪ হাজার ৪০০ জন সাধারণ ফিলিস্তিনি, আহত হয়েছেন আরও এক লক্ষাধিক। জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে এ পর্যন্ত বেশ কয়েকবার গাজায় সামরিক অভিযান বন্ধের জন্য ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে আহ্বান জানানো হয়েছে। ইতোমধ্যে জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিজে) ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার মামলাও দায়ের করা হয়েছে। তবে নেতানিয়াহু স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, হামাসকে পুরোপুরি অকার্যকর করা এবং জিম্মিদের মুক্ত করার আগ পর্যন্ত গাজায় তার বাহিনীর অভিযান চলবে। আরটিভি/এসএইচএম-টি
স্বেচ্ছামৃত্যুর বিলে সমর্থন দিলেন ব্রিটিশ এমপিরা
স্বেচ্ছামৃত্যুর বৈধতাদানে উত্থাপিত এক বিলে সমর্থন জানিয়েছেন যুক্তরাজ্যের বেশির ভাগ এমপি। এর মধ্য দিয়ে হয়তো অচিরেই স্বেচ্ছামৃত্যুর বিষয়টি বৈধতা পেতে যাচ্ছে ইংল্যান্ড এবং ওয়েলসে।  চূড়ান্ত অনুমোদনের মাধ্যমে বিলটি পাস হলে স্বেচ্ছায় মৃত্যুপ্রত্যাশী ব্যক্তিরা নিজেদের মৃত্যু কার্যকরে সহায়তা নিতে পারবেন চিকিৎসকের। তবে, যে কেউ চাইলেই এটি করতে পারবেন না। শুধু যেসব পূর্ণবয়স্ক ব্যক্তি গুরুতর অসুস্থ এবং যাদের ছয় মাসের বেশি বেঁচে থাকার সম্ভাবনা নেই, কেবল তারাই এই বিলের সুবিধা ভোগ করতে পারবেন। খবর বিবিসির। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এমপি কিম লিডবিটার সংসদে বিলটি উত্থাপন করেন। সেখানে ৩৩০ জন এমপি বিলটির পক্ষে ভোট দেন। বিপক্ষে ভোট দেন ২৭৫ জন এমপি। এখন এই বিলটি কমিটি পর্যায়ে যাবে। সেখানে এমপিরা সংশোধনী আনতে পারবেন। এরপর হাউজ অব কমন্স এবং হাউজ অব লর্ডসে বিলটি চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য যাবে। অর্থাৎ, আগামী বছরের আগ পর্যন্ত এটি পাস হওয়ার সম্ভাবনা নেই। বিলটি উত্থাপনকারী এমপি লিডবিটার বলেন, স্বেচ্ছায় মৃত্যুর বিষয়টি কার্যকর করতে যে সেবা সংস্থার প্রয়োজন হবে, সেটি তৈরি করতে হয়তো আরও দুই বছর সময় লাগবে। আরটিভি/এসএইচএম/এআর  
৭২ কোটিতে কেনা সেই কলা ক্রেতার পেটে
৬ দশমিক ২ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে (৭২ কোটি টাকারও বেশি) কেনা ভাইরাল কলাটি খেয়ে ফেলেছেন চীনা বংশোদ্ভূত ক্রেতা জাস্টিন সান।  শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ তথ্য জানায়।  গত সপ্তাহে নিলামের মাধ্যমে ধূসর রঙের স্কচটেপ লাগানো এই ‘শিল্পকর্ম কলাটি’ কিনেছিলেন জাস্টিন সান। তখনই তিনি বলেছিলেন কলাটি খেয়ে ফেলবেন। অবশেষে হংকংয়ে সংবাদ সম্মেলন ডেকে সাংবাদিকদের সামনে কলাটি খেলেন তিনি। কলাটি খেয়ে জাস্টিন সান বলেছেন, এটি অন্যান্য কলার চেয়ে অনেক ভালো। সংবাদ সম্মেলনে কলাটি খাওয়ার ঘটনাও শিল্পকর্মের ইতিহাসের একটি অংশ হয়ে উঠতে পারে বলেও জানান তিনি। এদিকে, অবাক করা তথ্য হলো নিউইয়র্কের ম্যানহাটন শহরের এক বাংলাদেশি ফল ব্যবসায়ীর কাছ থেকে মাত্র ৪২ টাকায় কলাটি কেনা হয়েছিল। এরপর দেওয়ালে স্কচটেপের মাধ্যমে সেঁটে দিয়ে কলাটিকে দেওয়া হয় ‘শিল্পকর্মের’ খেতাব। মাত্র পাঁচ মিনিটের নিলাম শেষে ছয় প্রতিদ্বন্দ্বীকে পেছনে ফেলে জাস্টিন সান শিল্পকর্মটি কিনে নেন। অনেকের ধারণা, জাস্টিন নিজের প্রতিষ্ঠানের প্রচার-প্রচারণার স্বার্থে কলাটি এত দাম দিয়ে কিনেছেন। উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে সর্বপ্রথম এই অদ্ভুত শিল্পকর্মটি সামনে আসে। এটি তৈরি করেন মারিজিও ক্যাটেলান। যদিও এর আগে শিল্পকর্মের প্রদর্শনীতে রাখা কলা দেওয়াল থেকে খুলে খেয়ে পেলার ঘটনা ঘটেছে। তবে, এরজন্য কাউকে এক টাকাও দিতে হয়নি। আরটিভি/আরএ/এআর
ইসকনের শুরু কীভাবে, এটি কি বিশ্বে নিষিদ্ধ
আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ বা ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি ফর কৃষ্ণ কনশাসনেস (ইসকন) হলো গৌড়ীয় বৈষ্ণব মতবাদের অনুসারী একটি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান। ১৯৬৬ সালে নিউ ইয়র্ক শহরে অভয়চরণারবিন্দ ভক্তিবেদান্ত স্বামী প্রভুপাদ এই সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা করেন। ইসকনের মূল ধর্মবিশ্বাসটি শ্রীমদ্ভাগবত, ভগবদ্গীতা ও অন্যান্য বৈদিক শাস্ত্রসমূহের ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে। তবে স্থানীয় রাজনৈতিক বা ধর্মীয় মতাদর্শের সঙ্গে সংঘর্ষের কারণে ইসকনকে কিছু দেশে নিষিদ্ধ বা এদের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ করা হয়েছে। বাংলাদেশে হিন্দু সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেপ্তার করার পরেই তার সঙ্গে যে হিন্দু ধর্মীয় সংগঠনের যোগ ছিল, সেই ইসকনকে নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হচ্ছে। অভিযোগ আছে, ইসকন উগ্র ধর্মীয় মতবাদ প্রচার করে। ইসকনকে যেসব দেশে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল, সেই সব তথ্যও তুলে ধরে বাংলাদেশেও সংগঠনটিকে নিষিদ্ধ করার দাবি তোলা হচ্ছে সামাজিক মাধ্যমে। যদিও বৃহস্পতিবার হাইকোর্ট ইসকনকে নিষিদ্ধ করার আবেদন আমলে নেয়নি। আবার ইসকন আসলেই হিন্দু ধর্ম প্রচার করে কি না, তা নিয়েও বিতর্ক নজরে আসে ইন্টারনেট ঘাঁটলেই। এই প্রতিবেদনে ইসকন আসলে কী কাজ করে, তার ওপরেই আলোকপাত করা হয়েছে। ইসকনকে নিয়ে যেসব বিতর্ক পশ্চিমা দেশসহ বিশ্বের নানাদেশে ইসকনের লাখো ভক্ত ছড়িয়ে আছে। এদের মূল নাম ছাড়াও ইসকনের ভক্ত হিসাবে পৃথক একটি নাম দেওয়া হয়ে থাকে। ইসকনের বিখ্যাত ভক্তদের মধ্যে অনেকেই বিলাসবহুল জীবন ত্যাগ করে ব্রহ্মচারীর জীবন বেছে নিয়েছেন। ইসকনের বিখ্যাত ও ‘কোটিপতি’ সদস্যদের মধ্যে আছেন ফোর্ড মোটর্সের মালিক হেনরি ফোর্ডের প্রপৌত্র অ্যালফ্রেড ফোর্ড, দ্য বিটলসের অন্যতম মুখ জর্জ হ্যারিসন, কবি অ্যালেন গিনসবার্গ এবং অ্যাপেলের প্রাক্তন সিইও স্টিভ জবস। বিখ্যাত মানুষদের সমাবেশ যেমন হয়েছে ইসকনে, তেমনই নানা সময়ে বিতর্কেও জড়িয়েছে ইসকন। যেমন: সংঘ-প্রতিষ্ঠার গোড়ার দিক থেকেই সিঙ্গাপুরে ইসকন নিষিদ্ধ থেকেছে দীর্ঘকাল। সংঘটির রেজিস্ট্রেশন আটকিয়ে রাখা হয়েছিল। তবে পরে অন্য নাম নিয়ে সেদেশে শুরু হয় ইসকনের কর্মকাণ্ড, এখন সেখানে একটি মন্দির আছে এবং ইসকনের ভক্তরা খোলাখুলিই কাজ করেন। এছাড়াও মধ্যপ্রাচ্যের অনেক দেশে এখনও ইসকন তার কাজকর্ম পরিচালনা করতে পারে না। চিনেও তাদের গোপনে কাজ করতে হয় বলে ইসকনের ওয়েবসাইটে একটি পুরণো নিবন্ধে লেখা হয়েছে। তবে পাকিস্তানে ইসকনের অন্তত ১২টি মন্দির রয়েছে বলে সংঘটি দাবি করে। রাশিয়া সহ অনেক দেশে ইসকনের ধর্মীয় প্রচারণার পদ্ধতি নিয়ে মামলা হয়েছে নানা সময়ে। এই বিতর্কিত বিষয়গুলি সম্বন্ধে প্রশ্ন করতেই কলকাতায় ইসকন কেন্দ্রের মুখপাত্র রাধারমণ দাস ব্যস্ততার কারণ দেখিয়ে বলেন অন্য সময়ে কথা বলবেন। তবে হিন্দুত্ববাদের গবেষক স্নিগ্ধেন্দু ভট্টাচার্য বলছিলেন, ইসকন নানা দেশে বিতর্কে পড়েছে ঠিকই, কিন্তু সেসবগুলোর কারণ একেক দেশের ক্ষেত্রে একেক রকম। ইসকনের বিভিন্ন সন্ন্যাসীর বিরুদ্ধে এরকম অভিযোগ উঠেছে যে তারা আর্যতত্ত্বে বিশ্বাসী, বর্ণবাদী ইত্যাদি। শিশু হেনস্থার অভিযোগ এসেছে। বাংলাদেশে ইসকনের কার্যকলাপ নিয়ে বলা হচ্ছে যে তারা উগ্র এবং জঙ্গি ধর্মীয় সংগঠন। এটা বলা একেবারেই উচিত নয়। তারা হয়তো ধর্মীয় রক্ষণশীল সংগঠন, কিন্তু রক্ষণশীলতার প্রচার বিভিন্ন ধর্মের অনেক সংগঠনই করে থাকে। তার কথায়, বাংলাদেশে ইসকনের বিরুদ্ধে যে মূল অভিযোগটা নানা সময়ে ওঠে, তা হলো ভারত এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তাদের ব্যাপক ভক্ত সংখ্যা থাকায় তারা সেটাকে কাজে লাগিয়ে নানা সময়ে বাংলাদেশের নানা ইস্যুকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিয়ে গেছে। ভারতের হস্তক্ষেপ চেয়েছে। তিনি বলেন, সম্প্রতি বাংলাদেশ ইসকনের সঙ্গে সম্পৃক্ত কিছু সন্ন্যাসীর মুখে ভারতে মূলত বিজেপি নেতা কর্মী সমর্থকদের মধ্যে প্রচারিত 'জয় শ্রী রাম' স্লোগান শুনতে পাওয়া এই ভারত যোগের অভিযোগ দৃঢ় করেছে। এখানে ইসকনের সাথে ভারতের সম্পর্কের ব্যাপারটিই মুখ্য হয়ে উঠেছে সাম্প্রতিক বাংলাদেশ রাজনীতির ভারত-বিরোধী প্রবণতার প্রভাবে। ইসকন কোন দেশে নিষিদ্ধ কি ইসকন কিছু দেশে নিষিদ্ধ বা এদের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ করা হয়েছে। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এটি সাধারণত স্থানীয় রাজনৈতিক বা ধর্মীয় মতাদর্শের সঙ্গে সংঘর্ষের কারণে আরোপ করা হয়েছে। রাশিয়ার কয়েকটি অঞ্চলে ইসকনের কার্যক্রমে সীমাবদ্ধতা আরোপ করা হয়েছে। বিশেষত, তাদের শাস্ত্র এবং ধর্মীয় বই বিতরণ নিয়ে বিতর্ক চরমে উঠেছে। কাজাখস্তান এবং তুর্কমেনিস্তানের মতো মধ্য এশিয়ার দেশগুলোতে ইসকনের কার্যক্রমের ওপর কঠোর নজরদারি জারি রয়েছে। কিছু মুসলিমঅধ্যুষিত দেশে ইসকনের কার্যক্রমে বাধা দেয়ার অভিযোগ রয়েছে, তবে নিষিদ্ধ করা হয়নি। ইসকন বিশেষত হিন্দু বা সনাতন ধর্মাবলম্বী সংখ্যালঘুদের অধিকার রক্ষার পক্ষে সরব অবস্থানে রয়েছে। তারা প্রায়ই মন্দির ধ্বংস, মূর্তি অবমাননা, এবং সংখ্যালঘু নিপীড়নের বিষয়গুলোকে তথ্য-প্রমাণাদিসহ আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তুলে ধরে। এ কারণে অনেক সময় তারা প্রভাবশালী গোষ্ঠী বা সরকারের বিরাগভাজন হয়ে থাকে। অনেকে দাবি করেন, বাংলাদেশেও ইসকন সংখ্যালঘুদের পক্ষে সোচ্চার অবস্থানের কারণে তাদের নেতারা গ্রপ্তার ও মামলার হয়রানির শিকার হচ্ছেন। বাংলাদেশে ইসকন কী কাজ করে? সাম্প্রতিককালে ইসকনের বেশ কিছু কর্মকাণ্ড নিয়ে বাংলাদেশে নানা আলোচনা তৈরি হয়। তাদেরকে ধর্মীয় মৌলবাদী সংগঠন হিসেবেও আখ্যা দেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার সিলেটে এক অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, ইসকনের আন্দোলনে দেশি-বিদেশি ইন্ধন রয়েছে। সেদিন রাতে এক বিবৃতিতে ইসকন বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে সনাতনী সংগঠন হিসেবে, বাংলাদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের, যেমন- হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ও অন্যান্যদের ধর্মীয় স্বাধীনতা এবং অধিকার রক্ষায় কাজ করেন তারা। ইসকন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বিমলা প্রসাদ দাস বলেন, আমরা সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও সেবামূলক কাজ করি। ইসকনকে ধর্মীয় মৌলবাদী সংগঠন হিসেবে বলা হচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সরকারের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থাগুলো সেটি তারাই দেখবেন। ওনাদের কাছে সব তথ্য আছে সেটি তারা দেখবে। গত মাসের শেষের দিকে আট দফা দাবিতে চট্টগ্রামের লালদীঘি ময়দানে একটি সমাবেশ করেছিল হিন্দু সম্প্রদায়ের সদস্যরা। সেখানে তারা সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা ও নিপীড়নের বিচার, জড়িতদের শাস্তি দেয়া, ক্ষতিপূরণ দেওয়া, সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন করার মতো দাবি জানান। ইসকন বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক চারু চন্দ্র দাস ব্রহ্মচারী মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ইসকন একটি আন্তর্জাতিক সংগঠন, যা গৌড়ীয় বৈষ্ণব ধর্মীয় আদর্শ ও সনাতনী মূল্যবোধকে ধারণ করে শান্তিপূর্ণভাবে ধর্মীয় চর্চা এবং মানবকল্যাণমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে। আমরা সর্বদা শান্তি, সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যের পক্ষে কাজ করেছি। ভবিষ্যতেও একই আদর্শে কাজ করতে অঙ্গীকারবদ্ধ। -বিবিসি। আরটিভি/এসএপি/এআর  
বাংলাদেশ নিয়ে ভারতীয় মিডিয়ার প্রচারণা ও ইসকন প্রসঙ্গে যা বলল দিল্লি
বাংলাদেশে হিন্দুদের শত শত মন্দির ও প্রতীমা ভাঙচুর এবং নির্যাতনের খবর নিয়ে ভারতীয় মিডিয়ায় যেভাবে প্রচারণা চালানো হচ্ছে তা নিয়ে নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করেছেন ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জসওয়াল। শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে কথা বলতে এসে এ সংক্রান্ত প্রশ্নের মুখোমুখি হন তিনি।  ৫ আগস্ট পরবর্তী বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন নিয়ে ভারতীয় মিডিয়ার সংবাদ প্রকাশের ধরন নিয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে রণধীর জসওয়াল বলেন, বাংলাদেশে হিন্দুসহ অন্য সব সংখ্যালঘুর ওপর নির্যাতনের ব্যাপারে আমরা সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছি। তাদের ওপর নির্যাতনের বিষয়টি মিডিয়ার অতিরঞ্জন হিসেবে উড়িয়ে দেওয়া যায় না। আমরা আবারও বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানাব সংখ্যালঘুদের সুরক্ষায় সব ধরনের ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করুন। এরপর ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এ মুখপাত্রকে প্রশ্ন করা হয় ইসকন প্রসঙ্গেও। রণধীর জসওয়ালের কাছে এক সাংবাদিক প্রশ্ন রাখেন, বাংলাদেশ সরকার ইসকনকে ‘উগ্রবাদী সংগঠন’ আখ্যা দিয়েছে। এ ব্যাপারে আপনার মত কী? জবাবে তিনি বলেন, ইসকন বৈশ্বিকভাবে প্রখ্যাত সংগঠন হিসেবে স্বীকৃত। তাদের সামাজিক ক্ষেত্রে অবদানের ভালো রেকর্ড রয়েছে। আমরা বাংলাদেশ সরকারকে আবারও বলব সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন। এ ছাড়া বিতর্কিত হিন্দু পণ্ডিত চিন্ময় কৃষ্ণ দাস প্রসঙ্গে রণধীর জসওয়াল বলেন, আমরা চিন্ময় দাসের গ্রেপ্তার নিয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছি। আশা করি, তার বিরুদ্ধে যে আইনি প্রক্রিয়া চলছে, সেটি স্বচ্ছ এবং ন্যায় বিচারের ভিত্তিতে হবে এবং তাদের যে আইনি অধিকার রয়েছে সেটি পুরোপুরিভাবে পাবে। আরটিভি/এসএইচএম/এআর