বন্যা কবলিত এলাকায় যতদিন ফসল হবে না, ততদিন বন্যার্তদের খাবার দেবে সরকার। বললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার সকালে নেত্রকোনার খালিয়াজুরী কলেজ মাঠে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণের আগে তিনি এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, নেত্রকোনার একজন মানুষও গৃহহারা থাকবে না। খালিয়াজুরীসহ নেত্রকোনার প্রতিটি উপজেলায় কতজন মানুষ গৃহহারা ও ভূমিহীন তার তালিকা করে আশ্রয়ণ প্রকল্প, আদর্শগ্রাম প্রকল্প, গুচ্ছগ্রাম প্রকল্পসহ বিভিন্নভাবে বিনা পয়সায় ঘর তৈরি করে দেয়া হবে।
তিনি বলেন, হাওরের ফসল রক্ষা করার জন্য নদী খনন করা হবে। হাওর ও পাহাড়ি অঞ্চলে ছেলে-মেয়েদের যাতায়াতের সমস্যা হয়। এই সমস্যা লাঘবে আবাসিক স্কুল তৈরি করে দেবে সরকার। সেই দিকে লক্ষ্য রেখে পদক্ষেপ নিচ্ছি।
তিনি আরো বলেন, এখানকার বাবরকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বানিয়ে খালেদা জিয়া বান্দরের হাতে লাঠি তুলে দিয়েছিল। এলাকার ১২ জনকে হত্যা করেছিল। আমরা জনগণের সেবা করতে এসেছি। আমি চাই আপনাদের জীবন মানের উন্নয়ন করতে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা সারা দেশে কমিউনিটি ক্লিনিক করে দিয়েছি, যাতে সবাই চিকিৎসা সেবা পায়। তাছাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোর শয্যার সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। প্রত্যেক উপজেলায় একটি করে স্কুল করে দিয়েছি। একটি করে মসজিদও আমরা করে দেব।
ছেলে-মেয়েদের বই দেয়ার দায়িত্ব আমরা নিয়েছি উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাবাকে এখন আর পয়সা খরচ করে ছেলে-মেয়েদের বই কিনে দিতে হয় না। প্রতি বছরের মতো এ বছরও আমরা বই বিতরণ করেছি। স্কুলে স্কুলে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম করে দিয়েছি।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি শুধু ঢাকায় বসে কথা বলে। মির্জা ফখরুল এসে ফটোসেশন করে চলে গেছেন। খালেদা জিয়াও এখানে আসেননি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, পানি সম্পদ মন্ত্রী আমিনুল ইসলাম, যুব ও ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয়, স্থানীয় সাংসদ রেবেকা মমিন, বিভাগীয় কমিশনার জিএম সালেহ উদ্দিন, জেলা প্রশাসক ড. মো. মুশফিকুর রহমান, পুলিশ সুপার জয়দেব চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মতিউর রহমান খান, সাধারণ সম্পাদক আশরাফ আলী খান খসরু।
কে/জেএইচ