মামলা দায়ের করতে কিছুটা ক্রুটি ছিল : ডিএমপি কমিশনার

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

সোমবার, ২২ মে ২০১৭ , ০৬:২২ পিএম


মামলা দায়ের করতে কিছুটা ক্রুটি  ছিল : ডিএমপি কমিশনার

বনানীর রেইনট্রি হোটেলে ছাত্রী ধর্ষণ ঘটনায় থানায় মামলা নিতে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার গাফিলতির প্রমাণ পাওয়া যায়নি, তবে সার্বিক বিষয়ে কিছুটা ক্রুটি হয়েছে। বললেন ডিএমপি কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া।

বিজ্ঞাপন

সোমবার দুপুরে রমনার ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্সে রমজান মাসের নিরাপত্তা নিয়ে বৈঠকে সাংবাদিকদের তিনি একথা বলেন।

আছাদুজ্জামান জানান,  সেদিনের ঘটনার পর তদন্ত কমিটি করা হয়। কমিটি সোমবার সকালে প্রতিবেদন জমা দেয়। কমিটির তদন্তে বলা হয়েছে পুলিশ সদস্যরা দায়িত্বের পরিচয় দিতে পারতেন কিন্তু তারা তা করেননি। তাই পুলিশ সদস্যদের কাছ থেকে কারণ জানতে চাওয়া হয়েছে। তদন্ত কমিটি দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করেছে। আর দায়ীদের কাছ থেকে সন্তোষজনক জবাব না এলে বিভাগীয় ব্যবস্থা ও অন্যান্য ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বিজ্ঞাপন

কমিশনার বলেন, রমজানে পুরো রাজধানীতে ট্রাফিক ব্যবস্থা পরিকল্পিতভাবে নেয়া হবে। এ সময় যানজট যাতে না হয় সেজন্য ট্রাফিক পুলিশকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।  আশা করছি রমজানে রাজধানীর যানজট হবে না। তবে এতে নগরবাসীকে এগিয়ে আসতে হবে।

এদিকে গেলো ৬ মে’১৭ বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে বনানী থানায় মামলা হয়। মামলাটি তদন্ত করছে ডিএমপির উইমেন সাপোর্ট এন্ড ইনভেস্টিগেশন ডিভিশন।

পুলিশ ইতোমধ্যে এজাহারভূক্ত সকল আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে। মামলার প্রধান অভিযুক্ত সাফাত আহমেদ ও সাদমান সাকিফকে গেলো ১১ মে’ ১৭ সিলেট থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।  আদালত সাফাতের ৬ দিনের এবং সাদনানের ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে। তারা দুজনেই আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

সাফাতের ড্রাইভার বিল্লাল হোসেন ও দেহরক্ষী রহমত আলীকে ১৫ মে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আদালত বিল্লালের ৪ দিনের ও রহমত আলীর ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ।

১৭ মে নাইম আশরাফকে মুন্সিগঞ্জের লৌহজং থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।  আদালত তার ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

গেলো ২৮ মার্চ বনানীতে দ্য রেইনট্রি হোটেলে বন্ধুর মাধ্যমে জন্মদিনের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রী। এরপর অভিযুক্তরা ওই ঘটনার ভিডিও ধারণ করে রাখেন।

যাদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে, তারা হলেন আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদ সেলিমের ছেলে সাফাত আহমেদ, ই-মেকার্স বাংলাদেশের মালিক নাঈম আশরাফ ওরফে আব্দুল হালিম, রেগনাম গ্রুপের পরিচালক সাদমান সাকিফ, সাফাতের দেহরক্ষী রহমত আলী ও সাফাতের গাড়িচালক বিল্লাল হোসেনকে আসামি করে একজন ছাত্রী মামলা করেন।

এমসি/ এমকে 

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন

Loading...


© All Rights Reserved 2016-2025 | RTV Online | It is illegal to use contents, pictures, and videos of this website without authority's permission