• ঢাকা সোমবার, ১৩ জানুয়ারি ২০২৫, ২৯ পৌষ ১৪৩১
logo
জেনেভা ক্যাম্পের ‘মাদক সম্রাট’ চুয়া সেলিম গ্রেপ্তার
নাফিজ সরাফাতের ২২ ফ্ল্যাটসহ প্লট ক্রোকের নির্দেশ
পদ্মা ব্যাংকের (সাবেক ফারমার্স ব্যাংক) সাবেক চেয়ারম্যান চৌধুরী নাফিজ সরাফাতসহ তার পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা ২২টি ফ্ল্যাট, ২টি বাড়িসহ সব প্লট ও জমি ক্রোকের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) এ আদেশ দেন ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন। দুদকের উপপরিচালক মাসুদুর রহমানের পক্ষে এই আবেদনটির বিষয়ে যুক্তি তুলে ধরেন দুদকের পিপি মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর। নাফিজ সরাফাতের বিরুদ্ধে ব্যাংক থেকে ৮৮৭ কোটি টাকা আত্মসাৎ এবং শেয়ার বাজার কেলেঙ্কারির অভিযোগও রয়েছে। অর্থপাচার প্রতিরোধ আইনে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)-ও তাঁর বিরুদ্ধে একটি তদন্ত করছে। এবছরের জানুয়ারিতে শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে পদ্মা ব্যাংকের চেয়ারম্যান পদ থেকে সরে দাঁড়ান তিনি। দুদক সূত্রে জানা গেছে, পদ্মা ব্যাংকের (সাবেক ফারমার্স ব্যাংক) সাবেক চেয়ারম্যান চৌধুরী নাফিজ সরাফাত, তাঁর স্ত্রী আঞ্জুমান আরা শহীদ ও ছেলে চৌধুরী রাহিব সাফওয়ান সারাফতের স্থাবর সম্পত্তি ক্রোকের আবেদন করেন দুদকের উপপরিচালক মাসুদুর রহমান। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা (বিএফআইইউ) এরমধ্যেই নাফিজ, তাঁর স্ত্রী, সন্তানের ব্যাংক হিসাবগুলো ফ্রিজ করেছে। গত অক্টোবরে দুদকের এক আবেদন গ্রহণ করে নাফিজ সরাফতের বিদেশ ভ্রমণেও নিষেধাজ্ঞা দেন ঢাকার একটি আদালত। আদালতে জমা দেওয়া দুদকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, চৌধুরী নাফিজ সরাফাতের নামে রাজধানীর গুলশানসহ বিভিন্ন এলাকায় ১০টি ফ্ল্যাট রয়েছে। গুলশান-২–এ রয়েছে ২০ তলাবিশিষ্ট একটি বাড়ি। এর বাইরে পূর্বাচলে সাড়ে সাত কাঠার একটি প্লট রয়েছে। এ ছাড়া গাজীপুর ও বাড্ডায় তাঁর ২৫ কাঠার জমি রয়েছে। স্ত্রী আঞ্জুমান আরার নামে পান্থপথ, গুলশান, পল্লবী ও বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় ৬টি ফ্ল্যাট এবং বসুন্ধরা, নিকুঞ্জ, বাড্ডা ও গাজীপুরে ২১.২৫ শতাংশ সম্পদ আছে। অপরদিকে বনানী ও বারিধারায় ৭টি ফ্ল্যাট আছে তাদের ছেলে সাফওয়ান সরাফাতের নামে। আরটিভি/এএইচ/এআর
শেখ পরিবারের দুর্নীতি অনুসন্ধানে ৫ কর্মকর্তা নিয়োগ
উপদেষ্টার সই জাল করে সিইও হতে গিয়ে ধরা
র‍্যাব পরিচয়ে ডাকাতি, মাইক্রোবাসসহ গ্রেপ্তার ৫
শেখ হাসিনাসহ ১৮৬ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলার আবেদন
থাইল্যান্ড-কানাডা থেকে মাদক এনে গুলশান-বনানীতে বিক্রি
থাইল্যান্ড ও কানাডা থেকে বিভিন্ন ধরনের মাদকদ্রব্য এনে গুলশান-বনানী এলাকায় উচ্চবিত্ত শ্রেণির সন্তানদের কাছে বিক্রি করতেন ৩ তরুণ। হাতিয়ে নিতেন মোটা অংকের টাকা। অবশেষে তাদেরকে মাদকসহ গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব।   বুধবার (৪ ডিসেম্বর) গুলশান ও পল্টন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন ঢাকা মেট্রো (উত্তর) কার্যালয়ের রমনা সার্কেলের সহকারী পরিচালক রাহুল সেন।  বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ঢাকা উত্তর মেট্রোর উপপরিচালক শামীম আহম্মেদ।  গ্রেপ্তারের সময় তাদের কাছ থেকে ট্রেট্রাহাইড্রো ক্যানাবিনলযুক্ত কুশ ১ কেজি ৪০ গ্রাম, ক্যানাবিনলযুক্ত কান্ডি ৬০ গ্রাম, তরল ক্যানাবিনয়েড ৩৮ গ্রাম, ম্যাজিক মাশরুম ১৮ গ্রাম, মাদক বিক্রির নগদ ১ লাখ ৫ হাজার টাকা ও বিদেশি মদ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় পরিদর্শক লোকমান হোসেন বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন।  জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানিয়েছে, থাইল্যান্ড ও কানাডা থেকে এসব মাদকদ্রব্য আনতেন। অত্যাধুনিক অ্যাপসভিত্তিক বিভিন্ন গ্রুপের সদস্যদের কাছে কৌশলে মাদক পৌঁছে দিতেন তারা। গুলশান ও বনানীসহ ঢাকার বিভিন্ন এলাকার ধনাঢ্য তরুণ-তরুণী উচ্চমূল্যে এসব মাদক কিনে সেবন করেন। আরটিভি/এআর-টি
রিউমর স্ক্যানারের প্রতিবেদন / বাংলাদেশে দুর্ঘটনার শিকার শ্যামলী বাস নিয়ে ভারতে অপপ্রচার
বাংলাদেশে ঢাকা-আগরতলা-ঢাকা রুটের শ্যামলী পরিবহনের একটি বাসের সড়ক দুর্ঘটনায় পড়া নিয়ে ভারতে অপপ্রচার চলছে। এমনটি বলছে ফ্যাক্ট চেক বা তথ্য যাচাই প্রতিষ্ঠান রিউমর স্ক্যানার। মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) রিউমর স্ক্যানারের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতীয় কয়েকটি গণমাধ্যমে বাংলাদেশের ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ঢাকা-আগরতলা-ঢাকা রুটের শ্যামলী পরিবহনের একটি বাসের সাথে বাংলাদেশি একটি ট্রাক ইচ্ছাকৃতভাবে সংঘর্ষ ঘটায় দাবিতে একটি তথ্য প্রচার করা হচ্ছে। এ ছাড়া দাবি করা হচ্ছে, পরে শ্যামলী পরিবহনের বাসটিতে থাকা ভারতীয় যাত্রীদের স্থানীয় লোকজন প্রাণনাশের হুমকি দেয়। পাশাপাশি তাদের সামনে ভারত বিরোধী নানা স্লোগানও দেন। একই দাবিতে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরীও তার ফেসবুক পেজে একটি পোস্ট করেন। তথ্যটি ভারতীয় ফেসবুক ব্যবহারকারীদের মধ্যে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, ইচ্ছাকৃতভাবে বাংলাদেশি ট্রাকের সংঘর্ষের দাবিটি সঠিক নয়। ভারতীয় যাত্রীদের হয়রানি করার তথ্যটিও মিথ্যা। প্রকৃতপক্ষে, ‘ওভারটেকিং’ (পেছনে ফেলে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা) জনিত কারণে ঘটা দুর্ঘটনার বিষয়টি নিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যমে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। রিউমর স্ক্যানার যে প্রতিবেদনের বরাত দেয়, তা থেকে জানা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভারতীয় বাসে হামলার দাবিতে ভারতীয় গণমাধ্যমে প্রচারিত তথ্যগুলোর পরিপ্রেক্ষিতে ১ ডিসেম্বর সংবাদ সম্মেলন করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পুলিশ। সেখানে বাসের চালক মো. আসাদুল হকও উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ জানায়, শনিবার দুপুরে শ্যামলী পরিবহনের বাসটি ভারতের আগরতলা থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া হয়ে ঢাকায় যাচ্ছিল। বাসটি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদর উপজেলার সুহিলপুরের চান্দিয়ারা এলাকা অতিক্রম করার সময় একটি ট্রাক বাসটিকে ওভারটেক করতে গিয়ে চাপ দেয়। এ সময় বাসটি বাঁ দিকে সরে গেলে একটি তিন চাকার যানের (ভ্যানগাড়ি) সঙ্গে সংঘর্ষ হয়।   এতে ভ্যানটি ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং ভ্যানচালক আহত হন। এ নিয়ে শ্যামলী পরিবহনের বাসচালক আসাদুল হক ও ভ্যানচালক ইব্রাহিমের মধ্যে তর্কবিতর্ক হয়। খবর পেয়ে হাইওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বাস কর্তৃপক্ষ এবং ভ্যান মালিকের সঙ্গে বিষয়টি আলোচনা করে মীমাংসা করে।   পরে বাসটি ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। সেখানে কোনো রকম হামলা কিংবা কোনো দেশ বা সম্প্রদায়কে কটাক্ষ করে কোনো বক্তব্য দেওয়া হয়নি। ঘটনার সময় বাসে ১৭ জন ভারতীয় এবং ৯ জন বাংলাদেশি যাত্রী ছিলেন। তবে দুর্ঘটনায় তাদের কারও কোনো ক্ষতি হয়নি। সংবাদ সম্মেলনে শ্যামলী পরিবহনের বাসচালক মো. আসাদুল হক বলেন, বাসে থাকা ভারতীয় যাত্রীদের সঙ্গে স্থানীয় সাধারণ মানুষের কোনো বাগবিতণ্ডা বা কোনোরকম ঝামেলা হয়নি। ভারতীয় গণমাধ্যমে বাসে হামলার খবর দেখে তিনি অবাক হন। জেলা পুলিশ সুপার মো. জাবেদুর রহমান ঘটনাটি নিয়ে বলেন, একটি সাধারণ দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে মিথ্যাচার করা হচ্ছে ভারতের বিভিন্ন গণমাধ্যমে। বিষয়টি নিয়ে বিভ্রান্তি দূর করতেই চালকসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সংবাদ সম্মেলনে আনা হয়েছে সত্যটা জানার জন্য।   ওই সংবাদ সম্মেলন নিয়ে প্রকাশিত ভিডিও প্রতিবেদনটিও রয়েছে। এদিকে চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের ইউটিউব চ্যানেলে একই দিন ‘ভারত থেকে আসা বাসে হামলা নাকি দুর্ঘটনা; প্রকৃত ঘটনা জানাল ড্রাইভার’ শিরোনামে প্রকাশিত আরেকটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। ওই প্রতিবেদন থেকেও একই তথ্য পাওয়া যায়। রিউমর স্ক্যানার পরবর্তী সময়ে কি-ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে ভারতীয় গণমাধ্যম ‘উইওন নিউজ’–এর সহসম্পাদক সিধান্ত সিবালের এক্স (সাবেক টুইটার) অ্যাকাউন্টে প্রচারিত একটি ভিডিও পোস্ট খুঁজে পায়। পোস্টটির ক্যাপশনে ভারতীয় এ সাংবাদিক জানান, দুর্ঘটনাকবলিত বাসটির যাত্রীরা কোনো ধরনের হেনস্তার শিকার হননি। পোস্টটিতে সংযুক্ত ভিডিওতেও একাধিক বাসযাত্রীকে একই কথা বলতে শোনা যায়। রিউমর স্ক্যানার বলছে, ভারতের আগরতলা থেকে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাগামী ভারতীয় যাত্রী বহনকারী শ্যামলী পরিবহনের একটি বাসকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পরিকল্পিতভাবে আক্রমণ করা হয় দাবিতে প্রচারিত তথ্যটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। আরটিভি/একে
শাহজালালে সাড়ে ৭ কোটি টাকার স্বর্ণসহ ৫ যাত্রী আটক
ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মালয়েশিয়া থেকে আসা ৫ যাত্রীর কাছ থেকে সাত কেজি স্বর্ণ জব্দ করেছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।  সোমবার (২ ডিসেম্বর) রাতে যাত্রীদের লাগেজ স্ক্যানিং করে স্বর্ণগুলো জব্দ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিমানবন্দর কাস্টমস কর্তৃপক্ষের যুগ্ম কমিশনার আল আমিন।  তিনি বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পরিচালিত অভিযানে তাদের আটক করা হয়। এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। বিমানবন্দর কাস্টমস কর্তৃপক্ষের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অভিনব কায়দায় ওয়েল্ডিং মেশিনের কয়েলের ভেতরে লুকিয়ে ৫টি স্বর্ণের চাকতি, ২টি স্বর্ণের টুকরা এবং ১০০ গ্রাম স্বর্ণালঙ্কারসহ তাদের আটক করা হয়েছে। আটক ব্যক্তিরা হলেন—রুবেল হোসেন (২২), দুলাল আহম্মেদ (৩৫), সামিউল ইসলাম (৩৩), সবুজ আলি (২৪) ও সাগর মিয়া (২৭)। জব্দকৃত স্বর্ণের বাজার মূল্য ৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা বলে জানানো হয়েছে।  আরটিভি/এআর
দর্শনায় যুবদল নেতা মিল্টন গ্রেপ্তার
চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় অভিযান চালিয়ে সেলিম মেহফুজ মিল্টন (৪৫) নামে এক যুবদল নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে সেনাবাহিনী। গ্রেপ্তারের পর তার বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে বিভিন্ন ধরনের দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তার সেলিম মেহফুজ মিল্টন দর্শনা পৌর যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক বলে জানা গেছে। তার গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চুয়াডাঙ্গা সেনাবাহিনী ক্যাম্পের লেফটেন্যান্ট আশহাব আল রাফিদ। তিনি জানান, মিল্টনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় স্বর্ণ, মাদক চোরাকারবারী, অবৈধ অস্ত্র, অগ্নিসংযোগসহ একাধিক মামলা রয়েছে। গত বুধবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে দর্শনা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে সেনাবাহিনী চুয়াডাঙ্গা ক্যাম্পের একটি টহল দল। পরে তার বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে চাইনিজ কুড়াল, রামদা, চাপাতিসহ বিভিন্ন ধরনেরর দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তার মিল্টনকে দর্শনা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন সেনাবাহিনীর এ কর্মকর্তা।   আরটিভি/কেএইচ
বোনকে হত্যার অভিযোগে ভাইকে থানায় সোপর্দ করল পরিবার 
রাজধানীর খিলগাঁওয়ে ভাইয়ের বিরুদ্ধে ছোট বোনকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ওই ভাই আবদুস সালামকে থানায় সোপর্দ করেছেন পরিবারের সদস্যরা।  বুধবার (২৭ নভেম্বর) বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। নিহত নারীর নাম রুমি আক্তার। তিনি ভাইদের সঙ্গে খিলগাঁওয়ে পৈতৃক বাড়িতে থাকতেন বলে পুলিশ জানিয়েছে। এ ঘটনায় বোনকে বাঁচাতে গিয়ে বড় ভাই মো. বাবুল আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে তার স্বজনরা। তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বাবুল বলেন, তাদের ছোট ভাই আবদুস সালাম মাদকাসক্ত। তিনি ঠিকমতো কাজকর্ম করেন না। স্ত্রীকে মারধর করেন। বিকেলে এ নিয়ে তাকে বকা দিলে তিনি ক্ষুব্ধ হয়ে কাঁচি নিয়ে বাবুলের পিঠে ও ঘাড়ে আঘাত করেন। এ সময় ছোট বোন রুমি বাবুলকে রক্ষা করতে গেলে তাকেও কাঁচি দিয়ে উপর্যুপরি আঘাত করেন সালাম। রুমিকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।  খিলগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. দাউদ হোসেন বলেন, পৈতৃক জমিজমা নিয়ে বিরোধের জেরে সালাম তার ভাই ও বোনের ওপর হামলা করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।  আরটিভি/এআর
বের হয়ে আসছে আদানির বিদ্যুৎ আমদানি চুক্তির অনিয়ম 
বের হয়ে আসছে ভারতের আদানির বিদ্যুৎ আমদানি চুক্তিতে পদে পদে অনিয়ম। এরই মধ্যে আদানি গ্রুপের সঙ্গে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে করা সব বিদ্যুৎ চুক্তি পর্যালোচনার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী ৩ মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এর মধ্যে আদানির বিদ্যুৎ আমদানি চুক্তিতে পাওয়া গেছে নানা অনিয়ম। ভারতীয় ওই কোম্পানির বিদ্যুৎ চাঁপাইনবাবগঞ্জের রহনপুরের যে রুট দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করছে, তা কোনো শুল্ক স্টেশনই নয় বলে জানিয়েছে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর। এ ছাড়া, করমুক্ত আমদানি নীতি, কয়লার বাড়তি দর, বিলম্বে বিল পরিশোধে অতিরিক্ত সুদ আরোপের জটিলতাসহ নানান অনিয়ম বের হয়ে আসছে।  আদানির চুক্তিতে উল্লেখ আছে, আমদানি পর্যায়ে শুল্ক-কর মওকুফের আদেশ যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে অনুমোদনে দায়বদ্ধ থাকবে পিডিবি। পরে কোনো শুল্ক-করের প্রসঙ্গ এলে তা পরিশোধের দায়ও নিতে হবে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডকে (বিপিডিবি)। এ ছাড়া বিল পরিশোধে বিলম্বের জন্য বছরে ১৫ শতাংশ চড়া সুদ ধরা আছে আদানির চুক্তিতে, যা পায়রায় নেই। এসব জটিলতার মধ্যেই বিদ্যুতের ২২ শতাংশ বাড়তি দাম নতুন করে চাইছে আদানি। পাশাপাশি আছে বকেয়া বিল পরিশোধের চাপও।  কনজুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) জ্বালানি উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. শামসুল আলম বলেন, পিডিবির পক্ষ থেকে জাতীয় স্বার্থ সুরক্ষার বিষয়টি যথাযথভাবে খতিয়ে দেখা হয়নি। চুক্তির প্রতিটি ধারা-উপধারা প্রকাশ করতে হবে। জানা গেছে, ২০১৭ সালের নভেম্বরে আদানি পাওয়ার লিমিটেডের ঝাড়খণ্ড পাওয়ার প্ল্যান্টের সঙ্গে ২৫ বছরের জন্য ১৬শ’ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেনার চুক্তি করে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি)। সম্পূর্ণ আমদানি করা কয়লায় পরিচালিত এই পাওয়ার প্ল্যান্টটিকে ২০১৯ সালের মার্চে ভারত সরকার বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করে কর ছাড় দেয়। যদিও বাংলাদেশের সঙ্গে চুক্তির সময় কর ছাড়ের বিষয়টি গোপন করে আদানি গ্রুপ। এ ছাড়া পায়রা, রামপাল ও চট্টগ্রামের বাঁশখালীর বিদ্যুৎকেন্দ্রে ব্যবহার করা কয়লার দাম টনপ্রতি ৭৫ ও ৮০ ডলার হলেও আদানি, টনপ্রতি নিয়েছে ৯৬ ডলার দরে। পরে পিডিবি দর নিয়ে আপত্তি জানালে দাম কমাতে রাজিও হয় তারা। প্রসঙ্গত, ২০১০ সালে ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান এনটিপিসি থেকে আমদানির ক্ষেত্রে শুল্ক-কর অব্যাহতির আদেশ জারি করেছিল জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। তবে আদানি গ্রুপ থেকে বিদ্যুৎ আমদানির ক্ষেত্রে এমন কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি সংস্থাটি।   আরটিভি/কেএইচ-টি
ডিপ ফ্রিজে নারীর মরদেহ: তদন্তে নতুন মোড় নিয়ে যা জানাল র‌্যাব
মাকে হত্যার পর মরদেহ ডিপ ফ্রিজে রাখার অভিযোগে ছেলে সাদ বিন আজিজুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। তবে পুলিশ বলছে, ছেলে নয়, বগুড়ার দুপচাঁচিয়ার ওই বাসার ভাড়াটিয়া এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। এ ঘটনায় নারীসহ ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার (১৬ নভেম্বর) কারওয়ান বাজার র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে এ বিষয়ে কথা বলেছেন র‌্যাব সদর দপ্তরের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইং পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুনীম ফেরদৌস। তিনি জানান, ওই নারীর ছেলে সাদ বিন আজিজুর রহমানের দেওয়া জবানবন্দি অনুযায়ী তারা কাজ করেছেন। তার স্পষ্ট জবানবন্দির ফুটেজসহ র‌্যাবের কাছে আছে। তিনি যখন জবাবন্দি দিচ্ছিলেন, পাশের রুমে তার আত্মীয়স্বজন ছিলেন। তারপরও র‍্যাবের তদন্তে যদি কারো গাফিলতি পাওয়া যায়, তথ্যগত বা প্রক্রিয়াগত ভুল থাকে, র‌্যাবের কেউ যদি দায়ী সাব্যস্ত হয় তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ‘ছেলে নিরীহ হলে বিচারের আগেই মিডিয়া ট্রায়ালের শিকার হলেন কেন?’ প্রশ্নের জবাবে মুনীম ফেরদৌস বলেন, ‘তদন্তে ভিন্নতা হতেই পারে। ঘটনায় পুলিশের পাশাপাশি র‌্যাবও তদন্ত করছে। পুলিশি তদন্তে র‌্যাবের সহযোগিতা যদি প্রয়োজন হয়, আমরা করব।’ র‌্যাবের কোনো সদস্যের বিরুদ্ধে যদি কোনো অভিযোগ আসে বা তদন্তে গাফিলতির তথ্য প্রমাণ পাওয়া যায় তাহলে তারা যথাযথ ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান তিনি। দুই সংস্থার তদন্তে ভিন্নতার বিষয়ে লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুনীম ফেরদৌস বলেন, ‘পুলিশের তদন্ত ভুল, সেটা বলার সুযোগ নেই। ঘটনার অধিকতর তদন্ত হবে। তদন্ত কিন্তু শেষ হয়নি। আর স্বীকারোক্তি অনেক ধরনের আছে। কেউ কোনো ঘটনায় স্বীকারোক্তি দেয়া মানেই ঘটনায় সংশ্লিষ্টতা প্রমাণ করে না। আবার যিনি স্বীকারোক্তি দেন, তিনি যে কোনো সময় তার বক্তব্য অস্বীকার, পরিবর্তন, পরিমার্জন করতে পারবেন। এটা তার আইনগত অধিকার।’ এর আগে, গত ১০ নভেম্বর বগুড়া-নওগাঁ আঞ্চলিক মহাসড়ক সংলগ্ন ‘আজিজয়া মঞ্জিল’ বাড়িতে খুন হন উম্মে সালমা। এ ঘটনায় নিহতের ছোট ছেলে সাদ বিন আজিজুরকে গ্রেপ্তার করা হয়। সেসময় র‌্যাব জানিয়েছিল, বগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় হাত খরচের টাকা নিয়ে বিরোধে ছোট ছেলে সাদ বিন আজিজুর (১৯) তার মা উম্মে সালমা খাতুনকে শ্বাসরোধে হত্যা করেছে। শুধু তাই নয়, ওড়না দিয়ে হাত-পা বেঁধে লাশ বাড়ির ডিপ ফ্রিজে রাখে। শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) পুলিশ দাবি করে ছেলে নয়, উম্মে সালমা খাতুনকে হত্যার পর মরদেহ ফ্রিজে রাখেন বাড়ির ভাড়াটিয়া। আরটিভি/এসএপি