• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
logo
বের হয়ে আসছে আদানির বিদ্যুৎ আমদানি চুক্তির অনিয়ম 
ডিপ ফ্রিজে নারীর মরদেহ: তদন্তে নতুন মোড় নিয়ে যা জানাল র‌্যাব
মাকে হত্যার পর মরদেহ ডিপ ফ্রিজে রাখার অভিযোগে ছেলে সাদ বিন আজিজুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। তবে পুলিশ বলছে, ছেলে নয়, বগুড়ার দুপচাঁচিয়ার ওই বাসার ভাড়াটিয়া এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। এ ঘটনায় নারীসহ ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার (১৬ নভেম্বর) কারওয়ান বাজার র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে এ বিষয়ে কথা বলেছেন র‌্যাব সদর দপ্তরের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইং পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুনীম ফেরদৌস। তিনি জানান, ওই নারীর ছেলে সাদ বিন আজিজুর রহমানের দেওয়া জবানবন্দি অনুযায়ী তারা কাজ করেছেন। তার স্পষ্ট জবানবন্দির ফুটেজসহ র‌্যাবের কাছে আছে। তিনি যখন জবাবন্দি দিচ্ছিলেন, পাশের রুমে তার আত্মীয়স্বজন ছিলেন। তারপরও র‍্যাবের তদন্তে যদি কারো গাফিলতি পাওয়া যায়, তথ্যগত বা প্রক্রিয়াগত ভুল থাকে, র‌্যাবের কেউ যদি দায়ী সাব্যস্ত হয় তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ‘ছেলে নিরীহ হলে বিচারের আগেই মিডিয়া ট্রায়ালের শিকার হলেন কেন?’ প্রশ্নের জবাবে মুনীম ফেরদৌস বলেন, ‘তদন্তে ভিন্নতা হতেই পারে। ঘটনায় পুলিশের পাশাপাশি র‌্যাবও তদন্ত করছে। পুলিশি তদন্তে র‌্যাবের সহযোগিতা যদি প্রয়োজন হয়, আমরা করব।’ র‌্যাবের কোনো সদস্যের বিরুদ্ধে যদি কোনো অভিযোগ আসে বা তদন্তে গাফিলতির তথ্য প্রমাণ পাওয়া যায় তাহলে তারা যথাযথ ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান তিনি। দুই সংস্থার তদন্তে ভিন্নতার বিষয়ে লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুনীম ফেরদৌস বলেন, ‘পুলিশের তদন্ত ভুল, সেটা বলার সুযোগ নেই। ঘটনার অধিকতর তদন্ত হবে। তদন্ত কিন্তু শেষ হয়নি। আর স্বীকারোক্তি অনেক ধরনের আছে। কেউ কোনো ঘটনায় স্বীকারোক্তি দেয়া মানেই ঘটনায় সংশ্লিষ্টতা প্রমাণ করে না। আবার যিনি স্বীকারোক্তি দেন, তিনি যে কোনো সময় তার বক্তব্য অস্বীকার, পরিবর্তন, পরিমার্জন করতে পারবেন। এটা তার আইনগত অধিকার।’ এর আগে, গত ১০ নভেম্বর বগুড়া-নওগাঁ আঞ্চলিক মহাসড়ক সংলগ্ন ‘আজিজয়া মঞ্জিল’ বাড়িতে খুন হন উম্মে সালমা। এ ঘটনায় নিহতের ছোট ছেলে সাদ বিন আজিজুরকে গ্রেপ্তার করা হয়। সেসময় র‌্যাব জানিয়েছিল, বগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় হাত খরচের টাকা নিয়ে বিরোধে ছোট ছেলে সাদ বিন আজিজুর (১৯) তার মা উম্মে সালমা খাতুনকে শ্বাসরোধে হত্যা করেছে। শুধু তাই নয়, ওড়না দিয়ে হাত-পা বেঁধে লাশ বাড়ির ডিপ ফ্রিজে রাখে। শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) পুলিশ দাবি করে ছেলে নয়, উম্মে সালমা খাতুনকে হত্যার পর মরদেহ ফ্রিজে রাখেন বাড়ির ভাড়াটিয়া। আরটিভি/এসএপি
মব ভায়োলেন্সে মৃত্যু নিয়ে উদ্বেগ, পুলিশের বাড়তি সতর্কতা
শিল্পপতি প্রেমিককে ১১ টুকরো, বেরিয়ে এলো আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য
অপরাধের সাম্রাজ্যে এখনও দাপুটে গোল্ডেন মনির
সাবেক ভূমিমন্ত্রীর অর্থপাচার অনুসন্ধানে সিআইডি
উপদেষ্টার সঙ্গে রাষ্ট্রপতির মিথ্যা ফোনালাপ তৈরি, যুবক গ্রেপ্তার
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে পাট ও বস্ত্র এবং নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) সাখাওয়াত হোসেনের একটি মিথ্যা ও বানোয়াট ফোনালাপ তৈরি ও প্রচারের অভিযোগ উঠেছে এক যুবকের বিরুদ্ধে। তার নাম নাফিস ফুয়াদ ঈশান (২২)। এই ঘটনায় তাকে গ্রেপ্তার করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।  রোববার (২৭ অক্টোবর) ভোরে রাজধানীর খিলগাঁও এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন। নাফিস ফুয়াদ কোয়ালিটি টিভি নামক অনলাইনভিত্তিক একটি ইউটিউব চ্যানেলের অ্যাডমিন। একই সঙ্গে কেস টিভি নামক ফেসবুক পেজেরও অ্যাডমিন তিনি। গোয়েন্দা তথ্যে জানা যায়, গ্রেপ্তার নাফিস ১৬ আগস্ট নাগরিক টিভির ইউটিউব চ্যানেলে প্রচারিত অন্তর্বর্তী সরকারের তৎকালীন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) সাখাওয়াত হোসেনের সাক্ষাৎকারের অংশ বিশেষ কপি করে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে একটি মিথ্যা ও বানোয়াট ফোনালাপ তৈরি করেন। জনমনে বিভ্রান্তি তৈরি করার উদ্দেশ্যে নাফিস ভিডিওটি ২৪ অক্টোবর তার পরিচালিত কোয়ালিটি টিভি নামক ইউটিউব চ্যানেলে প্রচার করেন।   গ্রেপ্তার নাফিস ফুয়াদ ঈশানকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তিনি  তার পরিচালিত কোয়ালিটি টিভির মাধ্যমে দীর্ঘদিন ধরে রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নিয়ে অসৎ উদ্দেশ্যে মিথ্যা এবং বানোয়াট কনটেন্ট তৈরি করে তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার করে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে আসছিলেন। উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান জানিয়েছেন, গ্রেপ্তার নাফিসের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। আরটিভি/এআর/এসএ
আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের নাম ভাঙিয়ে অর্থ হাতিয়ে নেওয়া প্রতারক আটক
আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের নাম ভাঙিয়ে অর্থ হাতিয়ে নেওয়া এক প্রতারককে আটক করেছে পুলিশ।  সোমবার (২৮ অক্টোবর) একটি প্রেসে ফাউন্ডেশনের মানি রিসিট বই ছাপাতে গেলে সেখান থেকে তাকে আটক করা হয়। বিষয়টি ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে নিশ্চিত করেছে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন।  ওই প্রতারকের নাম মিজানুর রহমান তারেক। তার গ্রামের বাড়ি নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ী উপজেলার পূর্বনটেশ্বরে ইউনিয়নে।  ফেসবুকে পোস্টে বলা হয়, আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের নাম ভাঙিয়ে টাকা হাতিয়ে নেওয়া এক প্রতারককে মামলা দিয়ে প্রশাসনের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। একটি প্রেসে ফাউন্ডেশনের মানি রিসিট বুক ছাপাতে গেলে সেখান থেকে তাকে আটক করা হয়। মানি রিসিট ছাড়াও বেশ কয়েকটি ফেসবুক ও হোয়াটসঅ্যাপ একাউন্টের মাধ্যমে ২০১৯ সাল থেকে নিজেকে ফাউন্ডেশনের প্রতিনিধি পরিচয় দিয়ে সে প্রতারণা করে আসছিল। ধরা পড়ার পর তার মোবাইল চেক করলে এসব তথ্য বেরিয়ে আসে। ফাউন্ডেশনের অনুদান-সংক্রান্ত যেকোনো তথ্যের জন্য ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ এবং ওয়েবসাইট অনুসরণ করার আহ্বান জানিয়ে পোস্টে আরও বলা হয়,  আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন অফিসের বাইরে মানি রিসিট দিয়ে কোনো অনুদান নেয় না। 
সাবেক পাটমন্ত্রীর স্ত্রী হাসিনা গাজীকে খুঁজছে পুলিশ
সাবেক বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন। এবার তার স্ত্রী হাসিনা গাজীকে খুঁজতে তার বাসায় তল্লাশি চালিয়েছে ডিবি পুলিশ।  শনিবার (২৬ অক্টোবর) গভীর রাতে গোলাম দস্তগীরের রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরীর বাসায় এ তল্লাশি চালানো হয়। সেখানে না পেয়ে হাসিনা গাজীর খোঁজে পরদিন রোববার রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালায় পুলিশ। অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) রেজাউল করিম মল্লিক। তিনি রোববার রাতে বলেন, এখনো পর্যন্ত হাসিনা গাজীর সন্ধান পাওয়া যায়নি। আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।   হাসিনা গাজীর বিরুদ্ধে একাধিক হত্যা মামলা রয়েছে এবং তার কাছে একাধিক অবৈধ অস্ত্র রয়েছে বলে জানান তিনি। তদন্ত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে তিনি অর্থের জোগান দিয়েছেন। গত জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে ছাত্র-জনতার বিপক্ষে তার হেফাজতে থাকা অস্ত্র ব্যবহৃত হয়েছে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের কয়েক দিনের মধ্যে গোলাম দস্তগীর গাজী গ্রেপ্তার হন। বর্তমানে তিনি কারাগারে রয়েছেন। তার স্ত্রী হাসিনা গাজী আত্মগোপনে আছেন। দুই ছেলে আছেন বিদেশে।   অর্থপাচার এবং দুর্নীতির নানা অভিযোগে গোলাম দস্তগীর গাজী ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান চালাচ্ছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এবং ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট (সিআইডি)।   এদিকে, রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরীতে সাবেক মন্ত্রী গোলাম দস্তগীরের বাসায় অভিযান নিয়ে একটি জাতীয় দৈনিকে সংবাদ প্রকাশ হয়। সংবাদটিতে লুটপাটের অভিযোগ আনা হয়েছে। রোববার (২৭ অক্টোবর) রাতে এ বিষয়ে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সংবাদ প্রকাশের ক্ষেত্রে বস্তুনিষ্ঠতা ও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়েছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, একটি সংবাদ আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। ডিবির নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে একটি টিম আইন ও বিধি অনুসরণ পূর্বক গোলাম দস্তগীরের বাসায় তল্লাশি চালানো হয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে উক্ত বাসার দারোয়ান পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে স্থানীয় থানা পুলিশের সহায়তায় উক্ত বাসা তল্লাশি অভিযান সমাপ্ত করে ডিবির টিম ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।   বিজ্ঞপ্তিতে ডিবি দাবি করে, সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে এজাহারনামীয় আসামি গ্রেপ্তার ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের অংশ হিসেবে উক্ত তল্লাশি অভিযান পরিচালনা করা হয়।   ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে ডিবির উক্ত তল্লাশি অভিযান সম্পর্কে কোনো বিভ্রান্তির অবকাশ নেই বলে জানানো হয়। এতে বলা হয়, ভবিষ্যতে ডিবির যেকোনো অভিযানের সংবাদ পরিবেশনের ক্ষেত্রে আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অধিকতর বস্তুনিষ্ঠতা ও দায়িত্বশীল ভূমিকা প্রত্যাশা করি। আরটিভি/এআর 
৩০০ ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ করেছে বিএফআইইউ
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা বিভাগ বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) ৫ আগস্টের পরবর্তী সময়ে প্রায় ৩০০টি অ্যাকাউন্ট জব্দ করেছে। পাশাপাশি গত ১৬ বছরে দেশের বাইরে পাচারকৃত অর্থ চিহ্নিত করার কাজ করছে বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) বিএফআইইউ সূত্রে জানা যায়, দেশ থেকে অর্থপাচার ঠেকাতে ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের প্রায় তিনশত ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ করা হয়েছে। এর বিপরীতে মামলা হয়েছে মোট ১০০টি। জব্দ হওয়া এসব অ্যাকাউন্টে বড় অংকের অর্থ রয়েছে। যদি মামলায় অর্থ আত্মসাৎ প্রমাণ হয় তাহলে জব্দকৃত অর্থ বাংলাদেশ ব্যাংকের কোষাগারে জমা হবে। আর মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত না হলে অ্যাকাউন্ট ফিরিয়ে দেওয়া হবে। এ ব্যাপারে বিএফআইইউ’র ডেপুটি হেড এ কে এম এহসান জানিয়েছেন, দীর্ঘ প্রক্রিয়া হলেও অর্থের অবস্থান চিহ্নিত করা গেলে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে পাচার করা অর্থ। তাই এসব চিহ্নিত করার কাজ চলছে।  এদিকে খোদ কেন্দ্রীয় ব্যাংক পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে আশাবাদী। টাস্কফোর্স ও বিএফআইইউর সমন্বয়ে এ কাজ করছে তারা। আরটিভি/এএইচ/এসএ
৪০০ কোটির পিয়ন জাহাঙ্গীরের ‘ভাতিজা’ পরিচয়ে শতকোটি কামাই এসআইয়ের
পেশায় পুলিশ কর্মকর্তা, কিন্তু দাপট দেখাতেন জাহাঙ্গীর আলমের ‘ভাতিজা’ পরিচয়ে; সেই জাহাঙ্গীর, যিনি কিনা সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৪০০ কোটি টাকার পিয়ন হিসেবে দেশব্যাপী পরিচিত ইতোমধ্যে। অভিযোগ আছে, জাহাঙ্গীরের ‘ভাতিজা’ হওয়ার দাপট দেখিয়ে নিয়ন্ত্রণে রাখতেন নিজের পুরো ডিপার্টমেন্টকে। এমনকি তাকে সমীহ করে চলতেন জেলার এসপি পর্যন্ত। বিগত সরকারের আমলের এমনই এক দাপুটে এসআইয়ের সন্ধান পাওয়া গেছে কুমিল্লা জেলা পুলিশে, যার নাম জয়নাল আবেদীন।  জানা গেছে, কুমিল্লা জেলা পুলিশের রিজার্ভ অফিসার (আর.ও-১) থাকার সুবাদে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে শতকোটি টাকার সম্পদের মালিক হয়েছেন এসআই জয়নাল আবেদীন। এ পদে বসে শুধু কুমিল্লাতেই নয়; ঢাকা ও নোয়াখালীতেও স্ত্রী, শ্বশুর, স্বজন এবং নিজ নামে গড়েছেন অঢেল সম্পদ। নিয়োগ, বদলি ও নানা তদবির বাণিজ্য করে হাতিয়ে নিয়েছেন কোটি কোটি টাকা।  প্রসঙ্গত, পুরো জেলার পুলিশের এসআই, এএসআই, কনস্টেবল পদে বদলির প্রস্তাব তৈরি ও তদারকি করেন আর.ও-১। আর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৪০০ কোটি টাকার পিয়ন জাহাঙ্গীর আলমের ‘ভাতিজা’ পরিচয়কে অবলম্বন করে নিজের পদের পূর্ণাঙ্গ অপব্যবহার করেছেন জয়নাল আবেদীন। নিয়োগ, বদলি ও তদবির বাণিজ্যে ঘুরিয়েছেন ছড়ি।  ক্ষমতার দাপটে শুধু দুর্নীতিই নয়, নারী পুলিশ সদস্যদের উত্ত্যক্ত ও যৌন হয়রানি করতেন বলেও অভিযোগ আছে এসআই জয়নালের বিরুদ্ধে। এসব বিষয়ে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবর অভিযোগ করেও না কি প্রতিকার মেলেনি কোনো ভিকটিমের। জানা যায়, নোয়াখালী জেলার চাটখিল উপজেলার খিলপাড়ার বাসিন্দা অভিযোগের স্তূপে নিমজ্জিত এ পুলিশ কর্মকর্তা। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর আস্তানা গাড়েন কুমিল্লা জেলা পুলিশে। জেলার একাধিক ইউনিটে চাকরি করার পর বিয়ে করেন নাঙ্গলকোট থানার ভুশ্চি এলাকায়। পরে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পিওন জাহাঙ্গীর আলমের প্রভাবে বাগিয়ে নেন জেলা পুলিশের গুরুত্বপূর্ণ পদ আর.ও-১। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক পুলিশ কর্মকর্তা জানান, আর.ও-১ পদে বসে জয়নাল এসআই, এএসআই ও কনস্টেবল পদে বদলি বাণিজ্যে জড়িয়ে পড়েন। গুরুত্বপূর্ণ থানা, ফাঁড়ি, তদন্তকেন্দ্র এবং বিভিন্ন ইউনিটে পোস্টিং বাণিজ্য করে হাতিয়ে নেন কোটি কোটি টাকা। কোনো পুলিশ সদস্য কিংবা কর্মকর্তা জয়নালের চাহিদা অনুসারে ঘুষ দিতে রাজি না হলে তার ঠিকানা হতো পাহাড়ি অঞ্চলে। জেলার সব থানা ফাঁড়ি ও তদন্তকেন্দ্রে ক্যাশিয়ার ও মুনশিদের কাছ থেকে নিয়মিত মাসোহারা আদায় করতেন এসআই জয়নাল। অর্থের বিনিময়ে করতেন মাদকসহ বিভিন্ন মামলার তদবিরও। ভুক্তভোগী এক সাব-ইনস্পেকটর বলেন, আর.ও-১ জয়নাল সকালে ভুয়া বদলির আদেশ দেখিয়ে কয়েক লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে বিকেলে আবার তা প্রত্যাহার করে নিতেন। এসআই টিপু বিশ্বাস বলেন, আর.ও-১ জয়নাল আমাকে হয়রানি করে এক মাসে ১২ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এসআই মোহাম্মদ সোহেল বলেন, আমার কাছ থেকে ৫ লাখ টাকা নিয়ে এক মাসের মধ্যে আবার আমাকে জেলা থেকে বের করে দিয়েছেন। কুমিল্লা পুলিশ সূত্র অনুযায়ী, ২০১৪ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত ৫ বছর আর.ও-১ পদে বহাল ছিলেন এসআই জয়নাল। দায়িত্ব পালনকালে বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে তাকে দফায় দফায় বদলির আদেশ করা হলেও তা শেষ পর্যন্ত কার্যকর হয়নি। মাঝেমধ্যে শেখ হাসিনার বিতর্কিত পিয়ন জাহাঙ্গীরকে প্রটোকল দিয়ে কুমিল্লায় এনে আতঙ্ক সৃষ্টি করতেন এ পুলিশ কর্মকর্তা। শেষমেশ ২০১৯ সালে তার বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং নারী কেলেঙ্কারির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় পদাবনতি দেওয়া হয় তাকে। এসআই থেকে তিন বছরের জন্য এএসআই করা হয় জয়নাল আবেদীনকে। কিন্তু পিয়ন জাহাঙ্গীরের প্রভাবে দেড় বছরের মধ্যে আবারও এসআই পদে বহাল করা হয় তাকে। ওই বছরই রংপুরে বদলি করা হয় বিতর্কিত এ পুলিশ কর্মকর্তাকে। সেখানে থানা এবং ডিএসবি মিলিয়ে চার বছর কাটান। পরে ২০২৩ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বদলি করা হয় এসআই জয়নালকে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশে যোগদানের পরপরই নারী কেলেঙ্কারির অভিযোগে আবারও ক্লোজ করা হয় তাকে। তার অনৈতিক কর্মকাণ্ডের দুটি ভিডিও ফেসবুকে ভাইরালও হয়। প্রায় এক বছর জেলা পুলিশের কন্ট্রোল রুমে সংযুক্ত থাকার পর আবার প্রভাব খাটিয়ে আশুগঞ্জ থানায় পোস্টিং নেন এসআই জয়নাল। বর্তমানে ওই থানার সেকেন্ড অফিসার পদে দায়িত্বরত আছেন তিনি। কুমিল্লা নগরীর বাগিচাগাঁও এলাকার বাসিন্দা ইফতেখার আহমেদ বলেন, বাগিচাগাঁও এলাকায় এসআই জয়নালের ২০ কোটি টাকা মূল্যের ৪ তলা একটি বাণিজ্যিক ভবন রয়েছে। বেক্সিমকো ফার্মার কাছে ভবনটি ভাড়া দেওয়া হয়েছে। নগরীর পৃথক এলাকায় তার আছে একাধিক ফ্ল্যাট ও প্লট।  নাঙ্গলকোট উপজেলার ভুশ্চি এলাকার মোবারক হোসেন বলেন, এসআই জয়নালের শ্বশুর পেশায় একজন স্কুলশিক্ষক। অথচ তার জমি ২০-৩০ বিঘার নিচে হবে না। চতুর জয়নাল বিঘায় বিঘায় কৃষিজমি কিনেছেন শ্বশুরের নামে।  অবশ্য এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এসআই জয়নাল আবেদীন। তার ভাষ্য, ষড়যন্ত্র করে নারী দিয়ে বারবার তাকে ফাঁসানো হয়েছে। এসব ঘটনায় বিভাগীয় শাস্তি ভোগ করতে হয়েছে তাকে।  এদিকে শতকোটি টাকার সম্পদের কথা অস্বীকার করলেও কুমিল্লায় নিজের নামে একটি বাণিজ্যিক ভবন আছে বলে স্বীকার করেছেন এসআই জয়নাল আবেদীন। আরটিভি/এসএইচএম/এআর
ডিবি হারুন ও তার পরিবারের ব্যাংক হিসাব তলব
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ ও তার পরিবারের নামে থাকা ব্যাংক হিসাবের তথ্য তলব করা হয়েছে।  রোববার (২০ অক্টোবর) জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল দেশের সব ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তর ও ডাক বিভাগের কাছে থাকা হিসাবের তথ্য জানতে চেয়েছে। এনবিআরের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল (সিআইসি) সূত্র এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। জানা গেছে, হারুন ছাড়াও তার মা-বাবা, স্ত্রী, ছেলে, মেয়ে বা বোনের যৌথ নামে অথবা ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের নামে থাকা ব্যাংক হিসাবের তথ্যও তলব করা হয়েছে।  এর আগে, হারুন ও তার পরিবারের ব্যাংক হিসাব জব্দ করেছিল বাংলাদেশ ফিন্যানশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। তার দুর্নীতি ও অবৈধ সম্পদ অনুসন্ধানে তত্পর দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এবার কর ফাঁকি ধরতে মাঠে নামল সিআইসি। নাম প্রকাশ না করার শর্তে সিআইসির একজন কর্মকর্তা সংবাদমাধ্যমকে জানান, ডিবি হারুনের বিপুল সম্পদ অর্জনের বিষয়টি তাদের সামনে এসেছে, একজন সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে যা তার বৈধ আয়ের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নয়। বিভিন্ন মাধ্যমে অর্থপাচার ও কর ফাঁকির বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। আরটিভি/এআর/এসএ
এস আলমের কালো টাকা সাদা করে ৩ কর্মকর্তা বরখাস্ত 
এস আলম গ্রুপের কালো টাকা অবৈধভাবে সাদা করার দায়ে সাময়িক বরখাস্ত হয়েছেন এক অতিরিক্ত কমিশনারসহ তিন আয়কর কর্মকর্তা।  বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ থেকে জারি করা আদেশে এ তথ্য জানানো হয়। বরখাস্ত কর্মকর্তারা হলেন, চট্টগ্রাম কর আপিল অঞ্চলের অতিরিক্ত কর কমিশনার সাইফুল আলম, ঢাকা কর অঞ্চল-১৪ এর যুগ্ম কর কমিশনার এ কে এম শামসুজ্জামান এবং চট্টগ্রাম কর অঞ্চল-২ এর সহকারী কর কমিশনার আমিনুল ইসলাম। এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, চট্রগ্রামের কর অঞ্চল-১ এর করদাতা এস আলম গ্রুপ। আইন উপেক্ষা করে এই গ্রুপকে সুবিধা দিয়ে আসছিলেন আয়কর বিভাগের কর্মকর্তারা। বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে নড়েচড়ে বসে এনবিআর। সেই ধারাবাহিকতায় তদন্ত কমিটি করা হলে তাদের প্রতিবেদনে উঠে আসে কর-কর্মকর্তাদের সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি। ওই প্রতিবেদনের আলোকে তিন কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।   আরটিভি/এআর