এফআর টাওয়ারের নকশা জালিয়াতির মামলায় ভবনের মালিক সৈয়দ মো. হোসাইন ইমাম ফারুকসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেছেন আদালত। এরমধ্য দিয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হলো।
সোমবার (১৫ নভেম্বর) ঢাকার বিভাগীয় স্পেশাল জজ সৈয়দ কামাল হোসেন আসামিদের অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে চার্জ গঠনের আদেশ দেন।
দুদকের আইনজীবী মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আদালত মামলায় ২ জনকে অব্যাহতি দিয়েছেন। আগামী ১ ডিসেম্বর সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ ধার্য করেছেন।
বিচার শুরু হওয়া ১৬ আসামি হলেন- এফআর টাওয়ারের মালিক সৈয়দ মো. হোসাইন ইমাম ফারুক (এস এম এইচ আই ফারুক), রূপায়ন গ্রুপের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী খান মুকুল, এফআর টাওয়ার ওনার্স সোসাইটির সভাপতি কাসেম ড্রাইসেলের এমডি তাসভীর-উল-ইসলাম, রাজউকের সাবেক পরিচালক মো. শামসুল আলম, সহকারী পরিচালক শাহ মো. সদরুল আলম, সহকারী অথরাইজড অফিসার মো. নজরুল ইসলাম, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক জাহানারা বেগম, সহকারী পরিচালক মেহেদউজ্জামান, রাজউকের উচ্চমান সহকারী মো. সাইফুল আলম, ইমারত পরিদর্শক (নকশা জমা গ্রহণকারী) ইমরুল কবির, ইমারত পরিদর্শক মো. শওকত আলী, উচ্চমান সহকারী মো. শফিউল্লাহ, সাবেক অথরাইজড অফিসার মো. শফিকুল ইসলাম, নিম্নমান সহকারী মুহাম্মদ মজিবুর রহমান মোল্লা, অফিস সহকারী মো. এনামুল হক ও শওকত আলী। ঘটনাকালীন তত্ত্বাবধায়ক মো. মোফাজ্জেল হোসেন ও আব্দুল্লাহ আল বাকীকে মামলার দায় থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, রাজউকের ছাড়পত্র ইস্যু, ফি জমা, ভুয়া ও নকশা অনুমোদন না নিয়ে ভুয়া নকশা তৈরি করে এফআর টাওয়ারের ১৯ তলা থেকে ২৩ তলা পর্যন্ত নির্মাণ করে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাছে বন্ধক, বিক্রি ও অগ্নিকাণ্ডে জনসাধারণের জানমালের ক্ষতির কারণে দুদকের উপপরিচালক আবু বকর সিদ্দিক বাদী হয়ে ২০১৯ সালের ২৫ জুন মামলাটি দায়ের করেন।
গত বছরের ১৩ ডিসেম্বর ১৮ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জ শিট দাখিল করা হয়।
আরএ/এসকে