দেশের জনসংখ্যা এখন ১৬ কোটি ১৭ লাখ ৫০ হাজার। এর মধ্যে পুরুষ ৮ কোটি ১০ লাখ, মহিলা ৮ কোটি সাড়ে ৭ লাখ। জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার এক দশমিক ৩৭।
সোমবার বিকেলে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) ২০১৭ সালের ১ জানুয়ারির সবশেষ হিসেবে এ তথ্য উঠে আসে।
শেরেবাংলা নগরস্থ এনইসি অডিটোরিয়ামে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য তুলে ধরেন যুগ্ম পরিচালক ও প্রকল্প পরিচালক এ কে এম আশরাফুল হক।
বিবিএসের তথ্যানুযায়ী, গেলো ৫ বছরে (২০১২-২০১৬) মুসলমানের সংখ্যা কমেছে ০.৪ ভাগ। ২০১২ সালে মোট জনসংখ্যার ৮৮.৮ ভাগ মুসলমান ছিল, ২০১৬ সালে এটি কমে হয়েছে ৮৮.৪। যেখানে ২০১২ সালে অন্য ধর্মের হার ছিল ১১.২ শতাংশ, এটা ২০১৬ সালে দাঁড়িয়েছে ১১.৬ শতাংশে।
বিবিএসের তথ্যানুযায়ী, ২০১২ সালে দেশের মোট জনসংখ্যা ছিল ১৫ কোটি ২৭ লাখ। ২০১৬ সালের ১ জুলাইতে এই জনসংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ১৬ কোটি ৮ লাখে। আর গত ছয় মাসে মোট জনসংখ্যা বেড়েছে সাড়ে ৯ লাখ।
বিবিএসের তথ্যানুযায়ী, ২০১৬ সালে ব্যুরো এ জরিপ করে। তখন নমুনা খানা ছিল ২২ লাখ ৮৭২টি। গত পাঁচ বছরে লিঙ্গানুপাত কমেছে। নারী-পুরুষের লিঙ্গানুপাত ২০১২ সালে যেখানে ১০৪.৯ ছিল, তা ২০১৬ সালে ১০০.৩ অনুপাতে দাঁড়ায়।
দেশে পরিবার প্রতি সদস্য সংখ্যাও কমেছে। পাশাপাশি কমেছে নির্ভরতার অনুপাত। ২০০২ সালে নির্ভরতার হার ছিল ৮০ শতাংশ, ২০১৬ সালে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৫৪ শতাংশে।
পরিসংখ্যান ব্যুরোর মহাপরিচালক মো. আমীর হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিসংখ্যান ও তথ্য বিভাগের সচিব কে এম মোজাম্মেল হক।
এমসি/এমকে