২০১৭-২০১৮ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট বাস্তবায়নে দক্ষতা, স্বচ্ছতা, জবাবদিহি এবং তদারকির মান নিশ্চিত করতে হবে। নাহলে এ বিশাল বাজেট বাস্তবায়ন বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দেখা দেবে। বললেন বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই) সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন।
বৃহস্পতিবার বিকালে ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরের প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেটের ওপর এফবিসিসিআই’র তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি এ কথা বলেন।
মহিউদ্দিন বলেন, বাজেট বাস্তবায়নে অর্থায়ন ও অর্থ ব্যয় সঠিকভাবে করতে না পারায় প্রতিবছরই বাজেট সংশোধন করতে হয়। এতে অর্থনৈতিক কার্যক্রমের ওপর যাতে নেতিবাচক প্রভাব না পড়ে সে বিষয়ে লক্ষ্য রাখা প্রয়োজন।
এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আসছে ১ জুলাই থেকে নতুন ভ্যাট আইন কার্যকর হচ্ছে। ভ্যাটের বিষয়টি নিয়ে ব্যবসায়ী মহল সবচেয়ে বেশি উদ্বিগ্ন। নতুন ভ্যাট আইন বাস্তায়নের পূর্বে আইনের কতিপয় বিষয় সংশোধনের জন্য আমরা সরকারের কাছে জোর দাবি জানিয়েছিলাম। কিন্তু বাজেটে সম্পূর্ণ না হলেও কিছুটা এসবের প্রতিফলন আমরা লক্ষ্য করেছি।
বাজেট প্রতিক্রিয়ায় তিনি আরো বলেন, বাজেটে কিছু পণ্যের ভ্যাট অব্যাহতির সুবিধা বৃদ্ধির পাশাপাশি সম্পূরক শুল্ক অব্যাহত রাখা হয়েছে-যা দেশীয় শিল্পকে সুরক্ষা দেবে। প্রস্তাবিত বাজেটে টার্নওভার করের সীমা ১ কোটি ৫০ লাখ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে টার্নওভার ট্যাক্স ৩% থেকে বৃদ্ধি করে ৪% করা হয়েছে। বর্তমান পরিপ্রেক্ষিতে টার্নওভার ট্যাক্স ৩% অপরিবর্তিত রেখে টার্নওভার করের সীমা ৫ কোটি টাকা হওয়া প্রয়োজন বলে আমরা মনে করি।
এফবিসিসিআইয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়, কোনো ব্যক্তির অর্থনৈতিক কার্যক্রমের বার্ষিক টার্নওভার সীমা ৩৬ লাখ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে বর্তমানে যা ৩০ লাখ টাকা নির্ধারিত রয়েছে। ক্ষুদ্র, গ্রামীণ উদ্যোগ, কুটির শিল্প ইত্যাদি প্রান্তিক খাতের বিকাশে এবং ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী বা দোকানদারদের হিসাব সংরক্ষণের সক্ষমতার সীমাবদ্ধতা বিবেচনা করে অব্যাহতি এ সীমা ৫০ লাখ টাকায় উন্নীত করার জন্য আবার প্রস্তাব করে এফবিসিসিআই।
ব্যবসায়ীদের সংগঠনটির দাবি, যদিও আমরা হ্রাসকৃত হারে বিভিন্ন স্তরে মূসক হার নির্ধারণ করার প্রস্তাব করেছিলাম কিন্তু বাজেটে হ্রাসকৃত হারে ভ্যাটের পরিবর্তে সিঙ্গেল রেট ১৫% ভ্যাট নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে দেশের শিল্প খাত বিশেষ করে এসএমই খাত ক্ষতিগ্রস্ত হবে। মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধি পাবে।
এদিকে বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় সংসদে বাজেট উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। এবার বাজেটের আকার ধরা হয়েছে ৪লাখ ২৬৬ কোটি টাকা। যা গেলোবারের চেয়ে ১৭ শতাংশ বেশি।
বাজেটে মোট রাজস্ব আয় ধরা হয়েছে ২ লাখ ৮৭ হাজার ৯৯১ কোটি টাকা। এনবিআর বহির্ভূত সূত্র থেকে কর রাজস্ব ধরা হয়েছে ৮ হাজার ৬২২ কোটি টাকা। কর বহির্ভূত খাত থেকে রাজস্ব আয় ধরা হয়েছে ৩১ হাজার ১৭৯ কোটি টাকা। অনুন্নয়নসহ ব্যয় ধরা হয়েছে ২ লাখ ৩৪ হাজার ২৬২ কোটি টাকা। ঘাটতি দেখানো হয়েছে ১ লাখ ১২ হাজার ২৭৫ কোটি টাকা।
- দুপুরে ৪৬তম বাজেট পেশ করবেন অর্থমন্ত্রী
- যে সব খাতে ভ্যাট প্রত্যাহার হতে পারে
- ৪৬ অর্থবছরের বাজেট পেশ করলেন যারা
- কি থাকছে মুহিতের ৪ লাখ কোটি টাকার বেশি বাজেটে!
- ইতিহাসের সবচে’ বড় বাজেট (ভিডিও)
- মুহিতের টানা নবম বাজেট
- বাজেট পেশ করছেন অর্থমন্ত্রী
- করমুক্ত আয়ের সীমা আড়াই লাখই থাকছে
- বরাদ্দ বাড়ছে পরিবহন, বিদ্যুৎ ও শিক্ষায়
- ঘাটতি মেটাতে ব্যাংক ঋণ ২৮ হাজার কোটি টাকা
- মুক্তিযোদ্ধারা পাবেন দুটি উৎসব ভাতা
- বরাদ্দ বেড়েছে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে
- যেসব পণ্যের দাম কমতে পারে
- ভ্যাট বাড়ছে বিমান ভ্রমণে
- যেসব পণ্য ও সেবার দাম বাড়তে পারে
- এডিপি আকার ১ লাখ ৬৪ হাজার ৮৪ কোটি ৪৩ লাখ টাকা
- ব্যাংকে লাখ টাকার বেশি থাকলে গুণতে হবে ৮০০ টাকা
- বাজেট প্রস্তাবে কৃষি খাতে বরাদ্দ কমেছে ৭৬ কোটি টাকা
- ‘কর বাহাদুর পরিবার’ স্বীকৃতি
- প্রতিরক্ষা খাতে বরাদ্দ বেড়েছে ৩ হাজার ৬২৬ কোটি টাকা
- প্রস্তাবিত বাজেটে পুঁজিবাজার নিয়ে সুখবর নেই
- ব্যয় ও মূল্যস্ফীতি বাড়তে পারে: সিপিডি
এমসি/সি