আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি-২০১৭’র উদ্বোধনী ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে ৬ উইকেটে ৩০৫ রান করে বাংলাদেশ। স্কোরবোর্ডে এ রান দেখে অনেকেই আশায় বুক বেঁধেছিলেন ফের ব্রিটিশ বধে দারুণ কিছু করতে যাচ্ছে টাইগাররা। কিন্তু বোলারদের ব্যর্থতায় সেই স্বপ্ন ভেস্তে যায় দেশ-বিদেশের কোটি ক্রিকেটপ্রেমীর।মাত্র ২ উইকেট হারিয়ে ১৬ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে নোঙর করে ইংল্যান্ড। তবে বোলারদের মোটেই দুষছেন না বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। তার আক্ষেপ, দলীয় স্কোরবোর্ডে আর ২০-৩০ রান যোগ না হওয়া।
শুক্রবার ওভালে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে সতর্ক সূচনা করেন তামিম ইকবাল ও সৌম্য সরকার। সৌম্য ফিরে গেলে মুশফিককে নিয়ে ধীরে ধীরে রানের গতি বাড়াতে থাকেন তামিম। এক পর্যায়ে তাদের ব্যাটে ছুটে রানের ফোয়ারা। ৪৫ ওভারে লিয়াম প্লাঙ্কেটের শিকার হয়ে ফেরেন তামিম-মুশফিক। তার আগে ১৬৬ রানের জুটি গড়েন তারা। তবে মূল সমস্যাটা ডেথ ওভারে। শেষ ৩২ বলে মাত্র ৫টি বাউন্ডারি হাঁকাতে পেরেছেন সাকিব আল হাসান, সাব্বির রহমান, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ও মোসাদ্দেক হোসেন।
ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে মাশরাফি বলেন, আমাদের সমস্যাটা হয় তখন যখন দু’সেট ব্যাটসম্যান তামিম ইকবাল (১২৮) ও মুশফিকুর রহিম (৭৯)আউট হন। এরপরই আমাদের রানের চাকা ধীর হয়ে যায়। তখনো আমাদের হাতে সাকিব, মাহমুদুল্লাহ, সাব্বিরের উইকেট ছিল। তবে শেষ ৬ ওভার আমরা কাজে লাগাতে পারিনি। ওই সময়ে উইকেট পড়েছে কিন্তু রান আসেনি। আমি মনে করি, দলীয় স্কোরবোর্ডে আরো ২০-৩০ রান যোগ করা সম্ভব ছিল। তবে তা হয়নি।
বোলিং প্রসঙ্গে ম্যাশ বলেন, শুরুতেই ওদের উইকেট ফেলে দিয়েছিলাম। কিন্তু চমৎকারভাবে তারা প্রাথমিক ধাক্কা সামলে নেয়। তাদের ইনিংসের মাঝপথে উইকেট খুবই দরকার ছিল।ওই পর্যায়ে মরগানের উইকেটটি পেলে (তামিমের ক্যাচ) তাদের ওভার পিছু ৭ রান করে তুলতে হতো। সেটা ওদের জন্য কঠিন হতো।বিশেষ করে এর মধ্যে আরো একটি উইকেটে ফেলে দিলে তারাই চাপে পড়তো। কিন্তু তা হয়নি।
এ ম্যাচে আরেকজন বোলারের প্রয়োজনীয়তা ভীষণ অনুভব করেছে বাংলাদেশ। একাদশে আট ব্যাটসম্যান খেলানোয় একজন বোলারের ঘাটতি দেখা গেছে। বোলার সেট করতে মাশরাফিকে খাবি খেতে হয়েছে। তাই স্বাভাবিকভাবেই একাদশে আট ব্যাটসম্যান খেলানো নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
মাশরাফি বলেন, সাত ব্যাটসম্যান নিয়ে কোনো পর্যায়ে ধস হলে ২৬০ বা ২৮০ রান তুলে এখানে জেতা সম্ভব নয়। পাঁচ বিশেষজ্ঞ বোলার থাকলেও তা সম্ভব নয়। তাই আট ব্যাটসম্যান নিয়ে ৩৩০ করে প্রতিপক্ষের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে চেয়েছি। তবে পরিকল্পনাটা বাস্তবায়িত হয়নি।
ডিএইচ