দেশের মোট চাহিদার ৯৮ ভাগ ওষুধ বর্তমানে দেশে উৎপাদিত হয়। জানালেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।
মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত আসনের লুৎফা তাহেরের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।
মোহাম্মদ নাসিম বলেন, জিএমপি গাইডলাইন অনুসরণ না করা এবং ভেজাল ও নিম্নমানের ওষুধ উৎপাদনের দায়ে ৮৬ প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স সাময়িক বাতিল করা হয়েছে। এছাড়া ১৯ প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স স্থায়ীভাবে বাতিল করা হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, ভেজাল ও নিম্নমানের ওষুধ উৎপাদন করায় গেলো বছরের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে ৬১টি পদের ওষুধের নিবন্ধন বাতিল করা হয়েছে। এছাড়া ১৪ পদের ওষুধের নিবন্ধন সাময়িক বাতিলসহ প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের আন্তরিকতা ও উদারনীতির ফলে ওষুধশিল্প অন্যতম শিল্পে পরিণত হয়েছে। দেশে উৎপাদিত বিভিন্ন ওষুধ ও ওষুধ তৈরির কাঁচামাল বিশ্বের ১২৭টি দেশে রপ্তানি হচ্ছে। এটি পর্যায়ক্রমে আরো বাড়বে।
অন্যদিকে চট্টগ্রাম-১১ আসনের সাংসদ এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে নাসিম বলেন, বর্তমানে অনুমোদিত ২৬ হাজার ৯১০টি ব্র্যান্ডের অ্যালোপ্যাথিক ওষুধ বাজারে রয়েছে।
আরেক সাংসদ ইসরাফিল আলমের প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে অ্যালোপ্যাথিক, ইউনানি, আয়ুর্বেদিক, হোমিওপ্যাথিক ও হারবাল ওষুধ প্রস্তুতকারী কারখানার সংখ্যা ৮৫১টি।
এইচটি/সি