যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্ট নির্বাচনে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত তিন বাঙালি নারী পুনঃনির্বাচিত হওয়ায় অভিনন্দন জানিয়েছে মন্ত্রিসভা।
সোমবার প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) এন এম জিয়াউল আলম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
যুক্তরাজ্যের মধ্যবর্তী নির্বাচনে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত তিন বৃটিশ নাগরিক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাতনি টিউলিপ সিদ্দিকী, রূপা হক ও রুশনারা আলী পুনর্নির্বাচিত হয়েছেন।
এর আগে গেলো মঙ্গলবার ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সদস্য নির্বাচিত হওয়ায় তাদেরকে জাতীয় সংসদের পক্ষ থেকেও ধন্যবাদ জানানো হয়েছে।
বঙ্গবন্ধু নাতনি কনজারভেটিভ প্রার্থী ক্লেয়ার লুইচ লিল্যান্ড থেকে ১৫ হাজার ৫শ’৬০ ভোট বেশি পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। টিউলিপ পেয়েছেন ৩৪ হাজার ৪শ’ ৬৪ ভোট। তার প্রতিদ্বন্দ্বী কনজারভেটিভ প্রার্থী ক্লেয়ার পেয়েছেন ১৮ হাজার ৯শ’ ৪ ভোট।
যদিও ২০১৫ সালের ভোটে মাত্র ১ হাজার ১শ’ ৩৮ ভোট বেশি পেয়ে প্রথমবারের মত সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র। এবার সে ব্যবধান বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ৫শ’ ৬০ ভোট।
টিউলিপ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছোট বোন শেখ রেহানার মেয়ে। হ্যাম্পস্টেড অ্যান্ড কিলবার্নের আসনটি দীর্ঘদিন ধরে লেবারদের নিয়ন্ত্রণে। এটি সব সময় তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ।
অপরদিকে রূপা হক লেবার দলীয় বাংলাদেশি প্রার্থী রূপা হক পেয়েছেন ৩৩ হাজার ৩৭। আর কনজারভেটিভ দলের প্রার্থী জয় মোরিসির পেয়েছেন ১৯ হাজার ২শ’ ৩০ ভোট।
২০১৫ সালের বৃটেনের নির্বাচনে প্রথমবারের মত সাংসদ নির্বাচন হন রূপা হক। কিন্তু বেক্সিটে থাকা না থাকার গণভোটে হেরে যাওয়ায় পদত্যাগ করেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন। এরপর প্রধানমন্ত্রী দায়িত্ব নেয়া থেরেসা মে হঠাৎ করে মধ্যবর্তী নির্বাচন ঘোষণা দেয়ায় নিজের আসন ধরে রাখার লড়াইয়ে নামেন রূপা।
তবে টানা তৃতীয়বার যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্ট নির্বাচনে বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়ে চমক দেখালেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত নারী রুশনারা আলী।
লেবার পার্টির এই প্রার্থী দেশটির বেথনালগ্রিন অ্যান্ড বো আসনে ৩৫ হাজার ৩৯৩ ভোটের ব্যবধানে ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির প্রার্থীকে পরাজিত করেছেন।
রুশনারা আলী পেয়েছেন ৪২ হাজার ৯৬৯ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কনজারভেটিভ পার্টির আইনজীবী চার্লে ক্রিরিসো পেয়েছেন মাত্র ৭ হাজার ৫৭৬ ভোট।
সিলেটের মেয়ে রুশনারা ২০১০ সালে প্রথম কোনো বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত হিসেবে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০১৫ সালেও তিনি এই আসনে বিজয়ী হন।
এমকে