গৃহকর্মী পাচার ও নির্যাতন করার অভিযোগে নিউইয়র্কে বাংলাদেশের ডেপুটি কনসাল জেনারেল শাহেদুল ইসলামকে গ্রেপ্তারের ঘটনায় ঢাকায় নিযুক্ত দেশটির ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূতকে তলব করে ব্যাখ্যা চেয়েছে বাংলাদেশ।
মঙ্গলবার ঢাকায় নিযুক্ত আমেরিকার ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত জোয়েল রিফম্যানকে ডেকে এ ঘটনায় তীব্র অসন্তোষ ও প্রতিবাদ জানান বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব মাহবুব উজ জামান। জানিয়েছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা।
সোমবার সকালে নিউইয়র্ক পুলিশ শাহেদুল ইসলামকে নিজ বাসা থেকে গ্রেপ্তার করার কয়েক ঘণ্টা পর কুইন্স সুপ্রিম কোর্টে হাজির করা হয়।
বিচারক ড্যানিয়েল লুইস ৫০ হাজার ডলারের বন্ড বা নগদ ২৫ হাজার ডলারে তার জামিন ঠিক করে দেন এবং তার পাসপোর্ট জব্দ করার নির্দেশ দেন বলে কুইন্স ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি রিচার্ড ব্রাউন জানান।
কুইন্স কাউন্টি ডিস্ট্রিক অ্যাটর্নির অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বিবৃতিতে রিচার্ড ব্রাউন বলেন, শাহেদুল ইসলাম আনুমানিক ২০১২ সাল থেকে ২০১৬ সালের মে মাস পর্যন্ত কোনো ধরনের বেতন না দিয়েই বাংলাদেশি নাগরিক মোহাম্মদ আমিনকে তার বাড়িতে কাজ করতে বাধ্য করেন।
তিনি বলেন, প্রথমদিন থেকেই ওই কর্মীকে কাজে আটকে রাখার জন্য তার পাসপোর্ট জব্দ করা হয়। তাকে বেতন দিতে অস্বীকার করা হয় এবং অন্য দেশে থাকা তার পরিবারকে বিপদে ফেলার ভয়ভীতি দেখানো হয়।
তিনি আরো বলেন, মোহাম্মদ আমিন গেলো বছরের মে মাসে শাহেদুল ইসলামের বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন। এ ধরনের অভিযোগ অত্যন্ত উদ্বেগজনক। একজন কূটনীতিক তার বাড়িতে আরেকজনকে কাজে বাধ্য করতে শারীরিক জোর খাটিয়েছেন এবং হুমকি দিয়েছেন।
আসছে ২৮ জুন শাহেদুল ইসলামকে আবারও আদালতে হাজির হতে হবে উল্লেখ করে ডিস্ট্রিক অ্যাটর্নি বলেন, অভিযোগ প্রমাণিত হলে নিশ্চিতভাবে অভিযুক্ত শাহেদুল ইসলামকে শাস্তি পেতে হবে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে তার ১৫ বছরের জেল হতে পারে।
কে/এমকে