আজ নির্বাচনী রোডম্যাপ প্রকাশ করবে ইসি

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

রোববার, ১৬ জুলাই ২০১৭ , ০৮:৩৭ এএম


আজ নির্বাচনী রোডম্যাপ প্রকাশ করবে ইসি

আসছে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ প্রকাশ করতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সাতটি কর্মপরিকল্পনা সামনে রেখে এটি বই আকারে প্রকাশ করার প্রস্তুতি নিয়েছে সংস্থাটি। 

বিজ্ঞাপন

এ উপলক্ষে আজ রোববার কমিশন সচিবালয়ে বেলা সাড়ে ১১টায় সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। 

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দেড় বছর আগে এ রোডম্যাপ প্রকাশের পর তা সব রাজনৈতিক দল ও সংশ্লিষ্টদের কাছে পাঠানোর পরিকল্পনা নিয়েছে কমিশন। 

বিজ্ঞাপন

রোডম্যাপে যে সাতটি কর্মপরিকল্পনা রয়েছে- আইনি কাঠামোগুলো পর্যালোচনা ও সংস্কার। নির্বাচন প্রক্রিয়া সহজীকরণ ও যুগোপযোগী করতে সংশ্লিষ্ট সবার পরামর্শ গ্রহণ। সংসদীয় এলাকার নির্বাচনী সীমানা পুনঃনির্ধারণ। নির্ভুল ভোটার তালিকা প্রণয়ন ও সরবরাহ। বিধি অনুসারে ভোটকেন্দ্র স্থাপন।

নতুন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন এবং নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের নিরীক্ষা এবং সুষ্ঠু নির্বাচনে সংশ্লিষ্ট সবার সক্ষমতা বৃদ্ধির কার্যক্রম গ্রহণ।

রোডম্যাপ অনুযায়ী, চলতি মাসের ৩১ জুলাই সুশীল সমাজের সঙ্গে বৈঠকের মধ্য দিয়ে শুরু হবে সংলাপ। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদার সভাপতিত্বে চলবে এ ধারাবাহিক সংলাপ। এছাড়া তিন শ’ আসনের সীমানা পুনঃনির্ধারণের কার্যক্রম জুলাই মাসে শুরু হয়ে শেষ হবে ডিসেম্বরে। নির্বাচন সংশ্লিষ্ট আইন আরপিও ও অন্যান্য আইন এবং বিধিমালা সংশোধন কার্যক্রম জুলাইয়ে শুরু হবে। ডিসেম্বরের মধ্যে আইন সংস্কারের প্রাসঙ্গিক খসড়া প্রস্তুত করা হবে। আসছে ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে আইন প্রণয়নের ব্যবস্থা করবে ইসির আইন অনুবিভাগ ও নির্বাচনী সহায়তা ও সরবরাহ অধিশাখা।

বিজ্ঞাপন

নতুন দল নিবন্ধন নতুন দল নিবন্ধন কার্যক্রম অক্টোবর মাসে শুরু হয়ে ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত চলবে। আসছে বছরের মার্চ মাসে নতুন নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের তালিকা প্রকাশ করা হবে। এই সময়ে নিবন্ধিত ৪০টি রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন শর্তাদি প্রতিপালন সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ ও পর্যালোচনা করা হবে। ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম ২৫ জুলাই থেকে শুরু হয়ে চলবে আসছে বছরের জুন পর্যন্ত। সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে সংশ্লিষ্ট সবার সক্ষমতা বাড়াতে জুলাই থেকে ভোটগ্রহণ পর্যন্ত বিভিন্ন স্তরে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। রোডম্যাপে আগামী নির্বাচনে সবার জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করে জন-আকাঙ্ক্ষা পূরণের লক্ষ্যে রাজনৈতিক দলসহ ছয় ধরনের অংশীজনের সঙ্গে সংলাপ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

এছাড়া বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিতদের গেজেট প্রকাশের সময় নির্দিষ্ট করে দেয়া, রাজধানীর মতো বড় শহরের আসন সীমিত করে নির্দিষ্ট করে দেয়া, আরপিও-সীমানা নির্ধারণ অধ্যাদেশ বাংলায় রূপান্তরের প্রস্তাবও থাকছে কর্মপরিকল্পনায়। আইন সংস্কারের বিষয়ে এতে বলা হয়েছে, নির্বাচন পরিচালনায় বিদ্যমান আইন-বিধি প্রয়োগ করে অতীতে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করা সম্ভব হয়েছে।

এখন আইনি কাঠামোর আমূল সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে বলে ইসি বিবেচনা করে না। তবে পরিবেশ-পরিস্থিতির পরিবর্তনের মুখে এগুলো আরো যুগোপযোগী করার সুযোগ রয়েছে। যাতে ভোট প্রক্রিয়া আরো সহজতর ও অর্থবহ হয়।

দশম সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু হয় ২০১৪ সালের ২৯ জানুয়ারি। সেক্ষেত্রে ২০১৯ সালের ২৮ জানুয়ারির আগের ৯০ দিনের মধ্যে একাদশ সংসদ নির্বাচনের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

সি/

 

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন

Loading...


© All Rights Reserved 2016-2025 | RTV Online | It is illegal to use contents, pictures, and videos of this website without authority's permission