ঢাকাশনিবার, ২১ জুন ২০২৫, ৭ আষাঢ় ১৪৩২

সাগর-রুনি হত্যা মামলা বিচার প্রক্রিয়ায় দীর্ঘসূত্রতার বড় উদাহরণ: হাইকোর্ট

আরটিভি নিউজ

সোমবার, ১৩ মে ২০২৪ , ১১:৫২ পিএম


loading/img

চাঞ্চল্যকর সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যা মামলা ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থায় বিচার প্রক্রিয়ার দীর্ঘসূত্রতার বড় উদাহরণ বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট। মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে আসামিদের কনডেম সেলে বন্দি রাখা সংক্রান্ত রিটের রায়ে দুই বিচারপতি নিজেদের পর্যবেক্ষণে এ মন্তব্য করেন।

বিজ্ঞাপন

সোমবার (১৩ মে) বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. বজলুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ রায় দেন মৃত্যুদণ্ডের আদেশ চূড়ান্ত না হওয়া পর্যন্ত আসামিকে কনডেম সেলে রাখা যাবে না।

এই রায়ের পর্যবেক্ষণে হাইকোর্ট বলেন, সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যা মামলায় বিগত ১২ বছর ধরে তদন্ত হচ্ছে। এখনও তদন্তই শেষ হচ্ছে না, বিচার তো আরও পরের স্টেজ। আমাদের দেশে ট্রায়াল স্টেজ শেষ হতেই ৫ থেকে ১০ বছর সময় লেগে যায়। এ ধরনের বিলম্ব যেখানে হয় সেখানে মৃত্যুদণ্ডের আসামিকে নির্জন সেলে ১৫ থেকে ২০ বছর যদি বন্দি রাখা হয় তাহলে তাকে ডাবল শাস্তি দেওয়া হয়।

বিজ্ঞাপন

মূল রিট মামলার রায়ে হাইকোর্ট বলেছেন, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামির আপিল, রিভিউ, রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনার ধাপগুলো নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত আসামিকে কনডেম সেলে রাখা যাবে না। বর্তমানে মৃত্যুদণ্ড চূড়ান্ত হওয়ার আগে সারা দেশে যত আসামিকে কনডেম সেলে রাখা হয়েছে তাদের দুই বছরের মধ্যে ক্রমান্বয়ে সাধারণ সেলে রাখার কথা বলা হয়েছে। তবে, বিশেষ কারণে (স্বাস্থ্যগত কারণ, সংক্রামক রোগ) কোনো ব্যক্তিকে নির্জন কক্ষে রাখতে পারবে কারা কর্তৃপক্ষ। সেক্ষেত্রে ওই ব্যক্তির উপস্থিতিতে শুনানি হতে হবে।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির। সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট আসাদ উদ্দিন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার। সঙ্গে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল এমএমজি সারোয়ার পায়েল, নাসিম ইসলাম রাজু।

আইনজীবী শিশির মনির বলেন, রায়ে আদালত বলেছেন, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত বন্দির বিষয়ে তথ্য চাইলে (সাংবাদিক, গবেষক) আইন অনুসারে তা কারাকর্তৃপক্ষকে দিতে হবে। একই সঙ্গে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামির বিষয়ে সুপ্রিমকোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রারকেও আইন অনুসারে তথ্য দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া সুপ্রিম কোর্টের বার্ষিক রিপোর্টেও এসব আসামির তথ্য সন্নিবেশিত করতে বলা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

আদালত বলেছেন, আমাদের দেশে হাইকোর্ট বিভাগে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামির জামিনের দরখাস্ত শুনানি করা হয় না। বাকি আসামিদের জামিনের দরখাস্ত সহসাই শুনানি হয় এবং তারা জামিন লাভ করেন। কিন্তু মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত হলে তার জামিনের আবেদন আর শুনানি হয় না। আদালত বলেছেন, অন্যান্য আসামিদের মতো মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের জামিনের আবেদনও যেন শুনানি করা হয়। আইনজীবীরা বলেছেন, এটি একটি ঐতিহাসিক রায়।
 

বিজ্ঞাপন

 

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন
Advertisement
Advertisement

Loading...


© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৬-২০২৫ | RTV Online |