একাত্তরের এ সময়টিতে বিজয় কড়া নাড়ছিল বাঙালি জাতির দোড়গোড়ায়। পাকিস্তানি সেনারা প্রস্তুতি নিতে থাকে আত্মসমর্পণের। তবে পরাজয় নিশ্চিত জেনে পাকিস্তান বাহিনী ও তাদের এদেশীয় দোসররা জাতিকে মেধাশূন্য করতে দেশের বুদ্ধিজীবীদের হত্যার নীলনকশা বাস্তবায়ন শুরু করে।
১৩ ডিসেম্বর ১৯৭১। বিজয়ের মাহেন্দ্রক্ষণের অপেক্ষায় অধীর আগ্রহে দিন পার করতে থাকে মুক্তিপাগল বাঙালি। এদিন পূর্ব ও উত্তর দিক থেকে মিত্রবাহিনী ঢাকার ১৫ মাইলের মধ্যে পৌঁছে যায়।
সৈয়দপুরে এদিন আত্মসমর্পণ করে ৪৮ পাঞ্জাব রেজিমেন্টের অধিনায়কসহ ১০৭ পাকিস্তানি সেনা। ভয়ে দিশেহারা সেনারা সাহায্য চায় ইসলামাবাদের কাছে।
দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যৌথবাহিনীর তীব্র আক্রমণে পর্যায়ক্রমে ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে পরে পাকিস্তানি সেনারা। মুক্তিবাহিনীর কবল থেকে বাঁচার পথ না পেয়ে আত্মসমর্পণের প্রস্তুতি নিতে শুরু করে তারা।
অবস্থা বেগতিক দেখে শান্তি কমিটির সদস্য ডা. মালিকসহ স্বাধীনতাবিরোধী দালালরা গা-ঢাকা দিতে শুরু করে। কিন্তু এর মধ্যেও সক্রিয় হয়ে ওঠে ঘাতক আলবদর চক্র। যার নির্মম বহিঃপ্রকাশ ঘটে বুদ্ধিজীবী হত্যার পরিকল্পনার মধ্যদিয়ে।
বাঙালি জাতিকে মেধাশূন্য করতে আলবদর বাহিনীর সহায়তায় ১৩ ডিসেম্বর রাতের অন্ধকারে ধরে নিয়ে হত্যা করা হয় দেশের সূর্য সন্তানদের।
এসএস