৫৩৭ থানায় সেনা মোতায়েন
জনসাধারণের জানমাল ও সরকারি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার নিরাপত্তা নিশ্চিতে সেনাবাহিনীর ক্যাম্প বাড়ানো হয়েছে। এ ছাড়া পুলিশকে সহযোগিতার জন্য ৫৩৭টি থানায় সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। একই সঙ্গে জোরদার করা হয়েছে টহল।
রোববার (১১ আগস্ট) রাতে আন্তবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
আইএসপিআর জানায়, শনিবার (১০ আগস্ট) গোপালগঞ্জের সদর উপজেলার গোপীনাথপুরে সেনা টহল দলের ওপর হামলার প্রেক্ষিতে ওই এলাকায় অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে সেখানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
এছাড়া রোববার (১১ আগস্ট) নারায়ণগঞ্জে অবস্থিত ইপিজেডে চাকরি প্রত্যাশীদের বিক্ষোভকে আলোচনার মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণসহ চার জাপানি নাগরিককে উদ্ধার করে সেনাবাহিনী।
এছাড়া পুলিশকে সহযোগিতার লক্ষ্যে ৫৩৭টি থানায় সেনা মোতায়েন রয়েছে। থানার স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে উল্লেখযোগ্য হারে পুলিশ সদস্যরা কর্মস্থলে যোগদান করছেন; যা চলমান রয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন ঘটনায় লুটপাটকৃত অস্ত্র ও গোলাবারুদ সাধারণ জনগণ সেনাবাহিনীর কাছে জমা দিচ্ছে। পাশাপাশি বিভিন্ন এলাকায় ডাকাতির ঘটনা আগের তুলনায় হ্রাস পেয়েছে এবং আটকদের মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে সরাসরি কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
কয়েকটি জায়গায় অপহরণের ঘটনায় নিখোঁজ ব্যক্তিদের ফিরে পেতে সেনাবাহিনীর অভিযান চলমান রয়েছে। এ ছাড়া আন্দোলনে গুরুতরভাবে আহত ব্যক্তিদের সিএমএইচ, ঢাকাতে চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনীর চলমান কার্যক্রমের অংশ হিসেবে দিবা-রাত্রি যৌথ টহল পরিচালিত হয়, বিশেষ করে রাত্রিকালীন টহল জোরদার করা হয়েছে।
আইএসপিআরের বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সেনা সদস্যদের কার্যক্রম সম্পর্কে বিভ্রান্তি সৃষ্টির লক্ষ্যে সত্য-মিথ্যার সংমিশ্রণে সংবাদ প্রচার করা হচ্ছে। এসব অপপ্রচার বন্ধ করতে অনুরোধ করা যাচ্ছে। জনগণের স্বার্থে এবং রাষ্ট্রের যে কোনো প্রয়োজনে সেনাবাহিনী সবসময় জনগণের পাশে আছে এবং থাকবে। সেই সঙ্গে সেনাবাহিনীকে সুষ্ঠুভাবে দায়িত্ব পালনে সহযোগিতা করার জন্য অনুরোধ জানানো যাচ্ছে।
মন্তব্য করুন