সাবেক প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে করা মামলার আবেদন খারিজ
সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হকের বিরুদ্ধে করা মামলার আবেদন বাতিল করে দিয়েছেন আদালত। খায়রুল হক সবশেষ আইন কমিশনের চেয়ারম্যান ছিলেন। ড. ইউনূসের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের পর তিনি আইন কমিশন থেকে পদত্যাগ করেন।
রোববার (১৮ আগস্ট) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দিলরুবা আফরোজ তিথির আদালতে ইমরুল হাসান নামে এক আইনজীবী খায়রুল হকের বিরুদ্ধে আবেদন করেন। আদালত বাদীর জবানবন্দি রেকর্ড শেষে তা খারিজ করে দেন।
প্রতারণা, বিশ্বাসভঙ্গ ও জাল-জালিয়াতির অভিযোগ এনে আইনজীবী ইমরুল হাসান আবেদন করেন।
তিনি বলেন, সংবিধানে ত্রয়োদশ সংশোধনী মামলায় প্রকাশ্য আদালতে ঘোষিত রায়ে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ দুই মেয়াদে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বহাল রাখার মত দেন। কিন্তু সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হক তৎকালীন ক্ষমতাসীন সরকারকে সুবিধা প্রদানের জন্য মামলার নথি নিজ জিম্মায় রেখে পরে ২০১২ সালে মামলার পূর্ণাঙ্গ রায় দেন যা প্রতারণামূলক ও জালজালিয়াতি পূর্ণ।
এ বি এম খায়রুল হক ২০১০ সালের ১ অক্টোবর থেকে ২০১১ সালের ১৭ মে পর্যন্ত প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৩ সালের ২৩ জুলাই সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হককে তিন বছরের জন্য আইন কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। ওই মেয়াদ শেষে কয়েক দফা কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে তাকে পুনর্নিয়োগ দেন শেখ হাসিনার সরকার।
তিনি বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলা, সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা, স্বাধীনতার ঘোষক, রেসকোর্স ময়দানে স্বাধীনতার স্মৃতি সংরক্ষণসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মামলার রায় দিয়েছেন। একই সঙ্গে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলসংক্রান্ত সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল এবং ফতোয়া অবৈধ ঘোষণা করেন।
মন্তব্য করুন