• ঢাকা শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১
logo

অর্থপাচার ও অবৈধ আয় করেও ধরাছোঁয়ার বাইরে দেশ টিভির আরিফ হাসান

আরটিভি নিউজ

  ১৭ অক্টোবর ২০২৪, ১৯:২৬

সিঙ্গাপুর-কানাডাসহ বিভিন্ন দেশে শত শত কোটি টাকা পাচার ও ঋণ জালিয়াতি করেও ধরাছোঁয়ার বাইরে দেশ টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরিফ হাসান। দুর্নীতি দমন কমিশন এবং বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) গোয়েন্দা প্রতিবেদন ও গণমাধ্যমের অনুসন্ধানে অপরাধের তথ্য এলেও অজ্ঞাত কারণে এখনো নীরব সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো। তাই আইনিভাবে শাস্তির আওতায় আনা যায়নি তাকে।

মিডিয়া মাফিয়া দেশ টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরিফ হাসানের টাকা পাচার, ঋণ জালিয়াতি আর অবৈধ আয়ের বিষয়টি তদন্ত করে দুর্নীতি দমন কমিশন এবং বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট।

দুর্নীতি দমন কমিশনের সহকারী পরিচালক শফি উল্লাহ সম্প্রতি আরিফ হাসানের অবৈধ আয়, ঋণ জালিয়াতি ও অর্থপাচারের অনুসন্ধান করেছেন। অনুসন্ধানে বলা হয়, অভিযুক্ত আরিফ হাসান সংবাদ মাধ্যমের পরিচালকের আড়ালে অবৈধ উপায়ে বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জন করে সিঙ্গাপুর ও কানাডাসহ বিভিন্ন দেশে পাচারের মাধ্যমে বিনিয়োগ করেছেন।

এর মধ্যে শুধু কানাডায়ই ৫০০ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। পাচার করা টাকায় কানাডায় গড়ে তুলেছেন বাড়ি। বাড়ি নম্বর ৮২, হলিউড অ্যাভিনিউ। এটি কানাডার এমটুএনথ্রিকেওয়ান নর্থইউয়র্ক, অনটারিওতে অবস্থিত।

অর্থপাচার তদন্তকালে দুর্নীতি দমন কমিশন ম্যানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২ এর ১৪ এর ২ ধারা এবং দুর্নীতি দমন কমিশন বিধিমালা ২০০৭ সংশোধিত ২০১৯ এর ১৮ বিধি অনুযায়ী অভিযুক্ত আরিফ হাসানের ১৫ ব্যাংক হিসেব অবরুদ্ধ করার আবেদন করেন। যেসব ব্যাংক হিসেবে কোটি কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেন হয়েছে। কিন্তু ব্যাংক হিসাবগুলো অবরুদ্ধ না করে খুলে দিতে সর্ব্বোচ্চ আদালতের আবেদন করলে তৎকালীন প্রধান বিচারপতি অভিযুক্ত আরিফের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন চায় সুপ্রিমকোর্ট।

দুদকের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, অভিযুক্ত আরিফ হাসান ২০১১ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত সন্দেহজনকভাবে ছয়বার তার পাসপোর্ট পরিবর্তন করেছেন।

ওই প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, এ পর্যন্ত তিনি ১২৮ কোটি ৭ লাখ ১৭ হাজার ৯৮৮ টাকার সম্পদ অর্জন করেছেন যা তার আয়ের সঙ্গে মিল নেই।

বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে দুর্নীতি দমন কমিশনের অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা জানান, যে দুর্নীতি-অনিয়মের মাধ্যমে ঢাকার মহাখালী ন্যাশনাল ব্যাংক থেকে হাসান টেলিকমের নামে ৩৩৫ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ অনুসন্ধান করা হয়।

অবৈধ আয়ের মাধ্যমে কানাডা সিঙ্গাপুরসহ বিভিন্ন দেশে অর্থপাচার এবং ঋণজালিয়াতির গুরুতর অভিযোগ থাকলেও বিশেষ ইশারায় এখনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থার বাইরেই রয়েছেন আরিফ হাসান। দ্রুত সব অপরাধের অনুসন্ধান শেষ করে অপরাধের কেন্দ্রবিন্দু দেশটিভিসহ সব সম্পদ বাজেয়াপ্তের পাশাপাশি দেশ টিভির বিশেষ ক্ষমতাধর আরিফ হাসানের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি সচেতন মহলের।

আরটিভি/এআর

মন্তব্য করুন

Radhuni
  • বাংলাদেশ এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর ৮০ হাজার কোটি টাকা পাচার হয়েছে 
অর্থপাচার মামলায় খালাস পেলেন খন্দকার মোশাররফ
সংসদে অর্থপাচারকারীদের তালিকা প্রকাশের দাবি তারানা হালিমের
অর্থপাচার রোধে তৎপর সরকার