সুবাস্তু শপিং কমপ্লেক্সে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ২ ইউনিট
রাজধানীর বাড্ডায় সুবাস্তু শপিং কমপ্লেক্সের দ্বিতীয় তলায় আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট।
শনিবার (১ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ১টা ১০ মিনিটের দিকে আগুন লাগার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফায়ার সার্ভিস নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার শাহজাহান।
তিনি বলেন, বাড্ডায় সুবাস্তু শপিং কমপ্লেক্সের দ্বিতীয় তলায় আগুন লাগার খবরে দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা কাজ করছেন।
প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানাতে পারেননি ফায়ার সার্ভিসের এ কর্মকর্তা।
আরটিভি/এমকে
মন্তব্য করুন
তিন দফা দাবিতে সোহেল তাজের কর্মসূচি ঘোষণা
জেলহত্যা দিবসকে রাষ্ট্রীয়ভাবে পালনসহ তিন দফা দাবিতে কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের ছেলে ও সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তানজিম আহমদ সোহেল তাজ। সে অনুযায়ী আগামী ৩ নভেম্বর ওইসব দাবি নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে স্মারকলিপি দেবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
শুক্রবার (১ নভেম্বর) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টের মাধ্যমে কর্মসূচি ঘোষণা করেন তাজউদ্দিন পুত্র।
সোহেল তাজ তার ফেসবুক পোস্টে লেখেন, আগামী ৩ নভেম্বর কলঙ্কময় জেলহত্যা দিবস। দেখতে দেখতে ৪৯ বছর পার হয়ে গেলো, অথচ এখন পর্যন্ত জাতির চার বীর যাদের নেতৃত্বে সফলভাবে মহান মুক্তিযুদ্ধ পরিচালিত হলো, যাদের নেতৃত্বে বাংলাদেশ নামে একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র পেলাম- আজ অবধি রাষ্ট্রীয়ভাবে তাদের কোনো স্বীকৃতি নেই। এটা মেনে নেওয়া যায় না!
এরপর নিজের তিনটি দাবি তুলে ধরেন তিনি। সেগুলো হলো:
১. যেহেতু ১০ এপ্রিল, ১৯৭১ স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রের মাধ্যমে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রথম সরকার গঠিত হয়, সেহেতু বাংলাদেশ স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র (প্রজাতন্ত্র) হিসেবে জন্ম লাভ করে। তাই এ দিনটিকে ‘প্রজাতন্ত্র দিবস’ ঘোষণা করতে হবে।
২. ৩ নভেম্বর জেলহত্যা দিবসকে জাতীয় শোক দিবস হিসেবে ঘোষণা করে রাষ্ট্রীয়ভাবে পালন করতে হবে।
৩. জাতীয় চার নেতাসহ মহান মুক্তিযুদ্ধের সব বেসামরিক ও সামরিক সংগঠক, পরিচালক, অমর শহীদ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নাম, অবদান ও জীবনীসহ মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ও পূর্ণাঙ্গ ইতিহাস যথাযথ মর্যাদা ও গুরুত্বের সঙ্গে সর্বস্তরের পাঠ্যপুস্তকে ও সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
পোস্টে সোহেল তাজ লেখেন, ‘আমি মনে করি, আমার এ তিন দাবি ন্যায্য ও যৌক্তিক এবং এটা স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের সবার প্রাণের দাবি। সেই লক্ষ্যে আমার পরবর্তী কর্মসূচি, আগামী ৩ নভেম্বর বিকেল সাড়ে ৩ টায় হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের সামনে আমি অবস্থান নেবো এবং পরবর্তীতে পদযাত্রা করে প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি দেবো।’
তিনি আরও লিখেন, ‘হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের সামনে থেকে বিকেল ৪টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনার উদ্দেশ্যে হেটে যাত্রা শুরু করবো। এ সমাবেশে স্বাধীনতা-মুক্তিযুদ্ধের-বৈষম্যবিরোধী চেতনায় বিশ্বাসী সবাইকে অংশ নেয়ার জোর আহ্বান জানাচ্ছি।’
আরটিভি/এসএইচএম
পুলিশ ‘পাল্টে ফেলতে’ জনমত চেয়ে বিজ্ঞপ্তি, মতামত জানাবেন যেভাবে
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে আওয়ামী লীগ সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী বিক্ষোভ দমনে কাজ করায় রোষানলে পড়েছে পুলিশ। এ প্রেক্ষাপটে ক্ষমতায় এসেই পুলিশকে পাল্টে ফেলার প্রতিশ্রুতি দেয় বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার। প্রতিশ্রুতি রক্ষার্থে এবার এ বিষয়ে জনসাধারণের মতামত চেয়ে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে ‘পুলিশ সংস্কার কমিশন।’
রোববার (৩ নভেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে থেকে ‘কেমন পুলিশ চাই’ শীর্ষক জারি করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পুলিশ সংস্কার কমিশন এ বিষয়ে আপনার মূল্যবান মতামত জানতে চায়। অনুগ্রহপূর্বক গুগল ফরমে https://forms.gle/kcXcL247eTbp3fHk6 এই লিংকে অথবা পুলিশ সংস্কার কমিশনের ওয়েবসাইটে (www.prc.mhapsd.gov.bd) প্রবেশ করে ‘কেমন পুলিশ চাই’ লিংকে ক্লিক করুন এবং প্রদত্ত প্রশ্নমালাটি পূরণ করে আপনার মূল্যবান মতামত আগামী ১৫ নভেম্বরের মধ্যে প্রদান করুন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে- মতামত প্রদানকারীর পরিচয় ‘গোপন রেখে’ প্রাপ্ত তথ্য শুধুমাত্র সংস্কার কাজের সহায়তায় ব্যবহৃত হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, ‘সাম্প্রতিককালে দেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনকে প্রতিহত করতে কিছু পুলিশ সদস্যের সহিংস ভূমিকা নিয়ে বাংলাদেশসহ বিশ্বজুড়ে সমালোচনার প্রেক্ষিতে ‘পুলিশ সংস্কার’ এখন সময়ের দাবি। সে লক্ষ্যে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার পুলিশ বাহিনীর সংস্কারের লক্ষ্যে ‘পুলিশ সংস্কার কমিশন’ গঠন করেছে, যার কার্যক্রম চলমান। পুলিশ সংস্কার কমিশন এ বিষয়ে আপনার মূল্যবান মতামত জানতে চায়।’
এর আগে গত ৩ অক্টোবর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে সাবেক সচিব সফর রাজ হোসেনকে প্রধান করে পূর্ণাঙ্গ ‘পুলিশ সংস্কার কমিশন’ গঠন করা হয়।
আরটিভি/এসএইচএম
দুই পর্বে বিশ্ব ইজতেমা, তারিখ ঘোষণা
গত কয়েক বছরের মতো ২০২৫ সালেও দুই পর্বে অনুষ্ঠিত হবে বিশ্ব ইজতেমা।
সোমবার (৪ নভেম্বর) তাবলিগের দুই পক্ষের সঙ্গে বৈঠক শেষে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, আগামী বছর বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব ৩১ জানুয়ারি থেকে ২ ফেব্রুয়ারি এবং দ্বিতীয় পর্ব ৭ থেকে ৯ ফেব্রুয়ারি টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে অনুষ্ঠিত হবে।
তিনি বলেন, ইজতেমার তারিখ ঘোষণা করা হলেও কোন পক্ষ আগে ও কোন পক্ষ পরে করবে তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, বিশ্ব ইজতেমার মাঠ হস্তান্তর ও প্রস্তুতি, নিরাপত্তা, বিদেশি অতিথিদের ভিসা, নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবারহ, ভাসমান ব্রিজনির্মাণ, জরুরি দুর্যোগে ব্যবস্থা, স্বাস্থ্যসম্মত খাবার, আখেরি মোনাজাতের দিন যানজট নিরসনসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগ নদের তীরে ১৯৬৭ সাল থেকে বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। তাবলিগ জামাতের এই সমাবেশে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বহু মুসলমান অংশগ্রহণ করেন।
দুই পর্বের ইজতেমার একটি নেতৃত্ব দিচ্ছেন ভারতের মাওলানা সাদ এবং অপরটির নেতৃত্বে আছেন বাংলাদেশের মাওলানা জোবায়ের।
আরটিভি/আরএ/এসএ
ফের শাহজালালের রানওয়ে বন্ধের নোটিশ
রক্ষণাবেক্ষণের কাজের জন্য আগামী ৮ নভেম্বর থেকে ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত প্রতিদিন মধ্যরাতে সাড়ে ৩ ঘণ্টার জন্য বন্ধ থাকবে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রানওয়ে। এ সময় বন্ধ থাকবে ফ্লাইট ওঠা-নামা।
সোমবার (৪ নভেম্বর) বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন মো. কামরুল ইসলাম গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, বিমানবন্দরের ফ্লাইট অপারেশনের নিয়মমাফিক কাজের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে রানওয়ে লাইটিং সিস্টেম মেনটেইনেন্স কার্যক্রম। আগামী ৮ নভেম্বর (দিবাগত রাত) থেকে ১৪ই নভেম্বর (দিবাগত রাত) অর্থাৎ এই ৭ দিন বাংলাদেশ সময় রাত ১টা থেকে ভোর সাড়ে ৪টা পর্যন্ত (সাড়ে ৩ ঘণ্টা) এই কাজ চলবে। এতে রানওয়ের কার্যক্রম ও ফ্লাইট অপারেশন সাময়িকভাবে বন্ধ থাকবে।
ফলে ফ্লাইট সূচি পরিবর্তন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ এ-সংক্রান্ত সব এয়ারলাইন ও স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে সমন্বয় করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ইতোমধ্যে নোটিশ জারি করেছে।
কামরুল ইসলাম বলেন, বিমানবন্দরের যাত্রীদের তাদের স্ব স্ব ফ্লাইট সম্পর্কে অগ্রিম জানাতে সংশ্লিষ্ট এয়ারলাইনসকে এবং যাত্রীদের তাদের ফ্লাইট সূচি পুনরায় নিশ্চিত হওয়ার জন্য বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ পরামর্শ দিচ্ছে। প্রয়োজনে বিমানবন্দরের কল সেন্টার ১৩৬০০-তে কল করার পরামর্শ দেন তিনি।
এর আগে, রক্ষণাবেক্ষণ কাজের জন্য চলতি বছরের ১ অক্টোবর থেকে ১৪ অক্টোবর পর্যন্ত সাড়ে তিন ঘণ্টা করে বন্ধ ছিল বিমানবন্দরের রানওয়ে। তার আগে ২০২২ সালের ১০ ডিসেম্বর থেকে ২০২৩ সালের ১০ জুন পর্যন্ত প্রতিদিন সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ২টা পর্যন্ত বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনালের নতুন হাইস্পিড কানেকটিং ট্যাক্সিওয়ে নির্মাণ কাজের জন্যও রানওয়ে বন্ধ রাখা হয়েছিল।
আরটিভি/একে
ইন্টারনেটের দাম কমাতে কাজ করছে সরকার: বিটিআরসি
ব্যবহারকারীদের সুবিধার জন্য ইন্টারনেটের দাম কমাতে সরকার কাজ করছে বলে জানিয়েছেন টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান এমদাদ-উল বারী।
সোমবার (৪ নভেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে এক বৈঠকে তিনি এ কথা জানান।
বিটিআরসি চেয়ারম্যান বলেন, আজকের দিনে ইন্টারনেট সেবা মৌলিক মানবাধিকার হওয়া উচিত। এ নিয়ে আইন করাটাও জরুরি। কখনোই ইন্টারনেট বন্ধ হওয়া উচিত নয়। এ সেবা টেকসই ও সাশ্রয়ী করতে যা করার, তার সবই করবে বিটিআরসি।
তিনি বলেন, মোবাইল অপারেটরগুলো ডাটা রেভ্যুলেশনে এখন ডিজিটাল সেবাদাতা হিসেবে পরিচিত হতে চায়। কিন্তু ইন্টারনেট প্যাকেজের দাম পানির দামে নেমে না আসলে এটা সম্ভব নয়। এজন্য নেটওয়ার্ক সাসটেইন করতে হবে। তাই আমরা অ্যাসেট লাইট মডেলে যেতে পারি।
এমদাদ-উল বারী আরও বলেন, বিটিআরসির অনেক ক্ষমতা কমেছে। তা পুনরুদ্ধারে কাজ করা হবে। সেই সঙ্গে আগামীতে অধিক সংখ্যক লাইসেন্স আর দেওয়া হবে না। বরং টেকসই লাইসেন্স দিতে কাজ করা হবে। আমরা এখন ভয়েস ফ্রেন্ডলি থেকে ডেটা ফেন্ডলিতে যাব।
বিটিআরসি চেয়ারম্যান বলেন, টেলিকম খাতে কাউকে দানব হতে দেওয়া হবে না। যারা চেষ্টা করবে, প্রয়োজনে পাখা কেটে দেওয়া হবে।
বৈঠকে জানানো হয়, ২০২৪ সাল পর্যন্ত সারা দেশে সরকারি বেসরকারি মিলে প্রায় ১ লাখ ৭১ হাজার ১০৬ কিলোমিটার পর্যন্ত ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক ছড়িয়েছে। আর এ নেটওয়ার্কের ফলে দেশের ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত ইন্টারনেট ভিত্তিক সকল সেবা ছড়িয়ে পড়েছে।
টিআরএনবির সভাপতি সমীর কুমার দের সভাপতিত্বে বৈঠকে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন টিআরএনবি সাবেক সভাপতি রাশেদ মেহেদী। স্বাগত বক্তব্য দেন টিআরএনবির সাধারণ সম্পাদক মাসুদুজ্জামান রবিন।
আলোচনায় অংশ নেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সাইমুম রেজা তালুকদার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মোসাদ্দেক হোসেন কামাল তুষার, টেলিটকের ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক নূরম্নল মাবুদ চৌধুরী, ফাইবার অ্যাট হোমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মঈনুল হক সিদ্দিকী, সামিট কমিউনিকেশন লিমিটেডের চিফ নেটওয়ার্ক আর্কিটেক্ট (সিএনএ) ফররুখ ইমতিয়াজ, রবি আজিয়েটার করপোরেট অ্যান্ড এনফোর্সমেন্ট অ্যাফেয়ার্স অফিসার শাহেদ আলম, বাংলালিংকের চিফ করপোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার তৈমুর রহমান, এমটব মহাসচিব মো. জুলফিকার, আইএসপিএবি সভাপতি ইমদাদুল হক প্রমুখ।
আরটিভি/এফএ-টি
বিতর্কিত বক্তব্য: শোকজের জবাবে যে ব্যাখ্যা দিলেন সমন্বয়ক হাসিব
মেট্রোরেলে অগ্নিসংযোগ ও পুলিশ হত্যা নিয়ে আপত্তিকর বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসিব আল ইসলাম। তার দাবি, সময়স্বল্পতার কারণে সংক্ষিপ্ত করতে গিয়ে আংশিক বক্তব্য গণমাধ্যমে প্রকাশ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে আন্দোলনের সমন্বয়ক এই তথ্য জানান।
সম্প্রতি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসিব আল ইসলামের টিভি টকশোতে আন্দোলন চলাকলে বক্তব্য নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়। পরবর্তীতে এই ঘটনায় তাকে বৈষম্যবিরোধী সংগঠন থেকে শোকজ করা হয়। তারই জবাব দিয়েছেন সমন্বয়ক হাসিব।
লিখিত জবাবে হাসিব বলেছেন, ডিবিসি নিউজের ‘প্রযত্নে বাংলাদেশ’ টকশোতে সময়স্বল্পতার কারণে আমার বক্তব্য সংক্ষিপ্ত করতে গিয়ে আমার বক্তব্য কিছুটা অসম্পূর্ণ থেকে যায় এবং বক্তব্যের খণ্ডিত অংশ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে কিছুটা ভুলভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে এবং জনমনে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। আমার বক্তব্যে আমি মূলত বোঝাতে চেয়েছিলাম বিপ্লব কখনো নিয়ম মেনে হতে পারে না। পৃথিবীর প্রতিটি বিপ্লবই নিয়মের বাইরে গিয়ে সংগঠিত হয়েছে।
আমি আমার বক্তব্যে বোঝাতে চেয়েছি, আওয়ামী ফ্যাসিবাদের দম্ভের স্তম্ভ তাদের তথাকথিত উন্নয়ন প্রকল্প মেট্রো রেলে যখন তারা নিজেরাই আগুন দিয়ে তারপর সেটা নিয়ে ফ্যাসিস্ট হাসিনার মায়াকান্না জনমানুষের মনে ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে এবং এই ক্ষোভ ফ্যাসিস্টদের বিরুদ্ধে আন্দোলন ত্বরান্বিত করেছে।
আর জুলাই অভ্যুত্থানে আওয়ামী দোসর পুলিশ লীগ নির্বিচারে ছাত্র-জনতার ওপর গুলি চালিয়ে গণহত্যা পরিচালনা করেছিল তখন দেশের সর্বস্তরের জনতা নিজেদের জীবন বাঁচাতে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল, যেটা ছিল মুক্তিকামী জনতার পুঞ্জীভূত ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ।
আওয়ামী সন্ত্রাসীরা পুলিশকে ব্যবহার করে গণহত্যা পরিচালনা করছে এ জন্য এই অভ্যুত্থানে যত রক্তপাত হয়েছে এর দায় আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের নিতে হবে এটা জনগণ উপলব্ধি করেছিল। এই দুটো বিষয় বোঝাতে গিয়ে সময়স্বল্পতার কারণে স্রেফ ঘটনা উল্লেখ করতে পেরেছি, পুরো বিষয় তুলে ধরা সম্ভব হয়নি।
আমার সাথে যোগাযোগ ও মতামত না নিয়েই আমার বক্তব্যের খণ্ডিত অংশ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম বিভ্রান্তিকরভাবে উপস্থাপন করছেন যা খুবই হতাশার।
আরটিভি/একে/এসএ
মিছিলের ডাক আ.লীগের, কোনো সুযোগ নেই বললেন প্রেস সচিব
আওয়ামী লীগ গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার দাবি তুলে রোববার (১০ নভেম্বর) বিকেলে বিক্ষোভ মিছিলের ডাক দিয়েছে। তবে দলটিকে ফ্যাসিবাদী উল্লেখ করে দেশের ভেতর তাদের সভা, সমাবেশ এমনকি কোনো ধরনের মিছিল করার কোনো সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
শনিবার (৯ নভেম্বর) দুপুর ১২টা ৮ মিনিটে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে পোস্ট করে এ কথা জানান তিনি।
পোস্টে প্রেস সচিব লেখেন, বর্তমানে আওয়ামী লীগ একটি ফ্যাসিবাদী দল। বাংলাদেশে প্রতিবাদ করার মতো দলটির কোনো সুযোগ নেই। গণহত্যাকারী ও স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার নির্দেশে কেউ সভা, সমাবেশ ও মিছিলের চেষ্টা করলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তা কঠোরভাবে মোকাবিলা করবে।
অন্তর্বর্তী সরকার কোনো সহিংসতা বা দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভঙ্গের প্রচেষ্টাকে বরদাস্ত করবে না বলেও হুঁশিয়ারি দেন শফিকুল আলম।
উল্লেখ, শহীদ নূর হোসেন দিবস উপলক্ষে রোববার (১০ নভেম্বর) বিকেল তিনটায় মার্চ টু জিরো পয়েন্ট কর্মসূচি পালন করবে আওয়ামী লীগ। এ উপলক্ষে নেতাকর্মীদের প্রস্তুতি নিতে শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে পোস্ট করে এ আহ্বান জানানো হয়।
আরটিভি/এআর/এসএ