রেলের জমি থেকে স্থাপনা সরাতে নির্দেশনা, সময় ৫ দিন
বাংলাদেশ রেলওয়ের জমিতে অবৈধভাবে নির্মিত সব স্থাপনা ও অবকাঠামো সরাতে পাঁচ দিনের সময় বেঁধে দিয়েছে সরকার।
বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) রেলওয়ের এক গণবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, রেলওয়ের অবৈধভাবে দখলকৃত ভূমি দখলমুক্ত করার বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে সরকার। সে লক্ষ্যে বাংলাদেশ রেলওয়ের ভূমিতে বিভিন্ন ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠান কর্তৃক অবৈধভাবে নির্মিত সব স্থাপনা/অবকাঠামো আগামী ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে নিজ উদ্যোগে অপসারণের জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেওয়া হলো।
গণবিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, নির্দিষ্ট সময়ের পর বাংলাদেশ রেলওয়ের ভূমি অবৈধ দখল মুক্তকরণে মন্ত্রণালয় আইনানুগ কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
এ ছাড়া সর্বসাধারণকে রেলওয়ের সম্পত্তি রক্ষার্থে সহযোগিতা করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
আরটিভি/আরএ/এস
মন্তব্য করুন
ওবায়দুল কাদেরের দেশে লুকিয়ে থাকার কথা জানত না সরকার: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
গত ৫ আগস্ট আওয়ামী সরকার পতনের পর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের দীর্ঘ সময় দেশে লুকিয়ে ছিলেন। কিন্তু কাদেরের দেশে থাকার কথা সরকার জানত না বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) ঢাকা বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে বিভাগীয় আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিশেষ সভায় তিনি এ কথা বলেন।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল জানতে চেয়েছেন গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হওয়ার পরে ওবায়দুল কাদের বাংলাদেশের কোথায় কীভাবে ছিলেন এবং কেন তাকে গ্রেপ্তার করা হয়নি- এ বিষয়ে উপদেষ্টা বলেন, ওবায়দুল কাদেরের দেশে থাকার বিষয়টি সরকার জানত না। জানলে তাকে গ্রেপ্তার করা হতো।
পুলিশের বিষয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, পুলিশের মনোবল আগে থেকে বেড়েছে। তবে সময় লাগবে পুরোদমে কাজ শুরু করতে। পুলিশের যারা পালিয়ে আছেন তারা আমাদের কাছে অপরাধী, তাদের পাওয়া গেলেই আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশে আনা প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ইন্টারপোলকে আবারও সহায়তার কথা জানানো হয়েছে।
এর আগে, গত ১৯ অক্টোবর রাজশাহীর বিজিবি সদরদপ্তর পরিদর্শনের সময় ওবায়দুল কাদেরের খোঁজ দিতে পারলে সাংবাদিকদের পুরস্কৃত করার ঘোষণা দিয়েছিলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
সে সময় তিনি জানান, অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার মাধ্যমে যদি কেউ ওবায়দুল কাদেরের অবস্থান জানাতে পারেন, তবে তাকে পুরস্কৃত করা হবে।
আরটিভি/একে/এআর
উপদেষ্টা হাসান আরিফ আর নেই
অন্তর্বর্তী সরকারের বিমান ও পর্যটন এবং ভূমি উপদেষ্টা এ এফ এম হাসান আরিফ মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান তিনি।
ভূমি মন্ত্রণালয়ে হাসান আরিফের একান্ত সচিবের দায়িত্বে থাকা মো. নাছির উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘ল্যাবএইড হাসপাতালে বেলা ৩টা ১০ মিনিটে হাসান আরিফ মৃত্যুবরণ করেন।’
গত ৮ আগস্ট গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার দায়িত্ব পেয়েছিলেন হাসান আরিফ। পরে হাসান আরিফকে ভূমি এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়।
হাসান আরিফ সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ছিলেন। তিনি ১৯৭০ সালে আইন পেশায় যুক্ত হন। ২০০১ সালের অক্টোবর থেকে ২০০৫ সালের এপ্রিল পর্যন্ত অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৮ থেকে ২০০৯ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত তিনি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আইন উপদেষ্টা হিসেবে ছিলেন।
আরটিভি/এসএপি/এআর
ব্যাটারিচালিত রিকশায় আসছে নতুন প্রযুক্তি
বাংলাদেশের বেশ জনপ্রিয় একটি বাহন রিকশা। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে তিন চাকার যানটিতে লেগেছে ইলেট্রনিক ছোঁয়া। চিরাচরিত রিকশা পেয়েছে দুর্দান্ত গতি। বাহনটিকে আরও সাশ্রয়ী ও যুগপোযুগী করে তুলতে এতে এবার লাগতে যাচ্ছে নতুন আরেক প্রযুক্তির ছোঁয়া। আর এ প্রযুক্তি বাংলাদেশে আনতে এগিয়ে এসেছেন চীনের দুই শিক্ষার্থী নিকোল মাও (৩৩) ও ইওয়েই ঝু (৩২)।
এই নতুন উদ্যোগ রিকশা চালকদের জীবন সহজ করে তুলবে। চালকদের পরিষেবা পেতে হলে একটি নির্দিষ্ট ফি প্রদান করতে হবে, তবে তারা আরও কম সময়ে অনেক বেশি ট্রিপ করতে এবং অর্থ উপার্জন করতে সক্ষম হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের অভিজাত হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই স্নাতক নিকোল মাও ও ইওয়েই ঝু করোনা মহামারির সময় বাংলাদেশে আটকে পড়েছিলেন। কয়েক মাসের জন্য তারা ঢাকাতেই আটকা পড়েন।
এই সময়ে তারা বাংলাদেশে ব্যাটারি তৈরির ব্যবসা শুরু করার সিদ্ধান্ত নেন, কারণ মাওয়ের পরিবার চীনে একটি ব্যাটারি কোম্পানি পরিচালনা করত। এই স্টার্টআপটি ব্যাটারি রিকশাচালকদের জন্য একটি ব্যাটারি বদলানোর নেটওয়ার্ক তৈরি করেছে, যা চালকদের সময় ও অর্থ সাশ্রয় করবে। তখন থেকে শুরু করে তিন বছর ধরে তারা বাংলাদেশের অন্যতম দ্রুত বেড়ে ওঠা স্টার্টআপ নিয়ে কাজ করে চলেছেন।
বাংলাদেশে বৈদ্যুতিক রিকশার জন্য তাদের তৈরি করা ব্যাটারি-সোয়াপিং স্টেশন নেটওয়ার্কের (ব্যাটারি বদলানোর নেটওয়ার্ক) জনপ্রিয়তা বেড়ে চলেছে।
আগামী বছর এই স্টেশনের সংখ্যা এক হাজারে পৌঁছাবে। স্টেশনগুলো মূলত বাংলাদেশের লাখ লাখ তিন চাকার বৈদ্যুতিক রিকশা বা ট্যাক্সিকে সেবা দেবে।
এই স্টার্টআপ কোম্পানির নাম দেওয়া হয়েছে টাইগার নিউ এনার্জি। জু-এর দাবি, তাদের এই নতুন উদ্যোগ রিকশা চালকদের জীবন সহজ করে তুলবে। চালকদের পরিষেবা পেতে হলে একটি নির্দিষ্ট ফি প্রদান করতে হবে, তবে তারা আরও কম সময়ে অনেক বেশি ট্রিপ করতে এবং অর্থ উপার্জন করতে সক্ষম হবে।
স্টার্টআপের প্রধান নির্বাহী মাও বলেন, এর চাহিদা অসীম। দেশের অর্থনীতি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে গ্রাম থেকে মানুষ কাজের খোঁজে শহরে আসছে। এর ফলে পরিবহন ব্যবস্থার চাহিদা বাড়ছে।
ভারতের ‘টুকটুক’ ও থাইল্যান্ডের তিন চাকার যানগুলো মূলত পেট্রল বা প্রাকৃতিক গ্যাসে চলে। কিন্তু ঢাকাসহ বাংলাদেশের অন্যান্য শহরের ব্যস্ত সড়কে চলাচলকারী বিপুলসংখ্যক তিন চাকার (থ্রি-হুইলার) যানগুলো প্রধানত বৈদ্যুতিক।
বৈদ্যুতিক এই যানের ব্যাটারি চার্জ করতে অনেক সময় লাগে। তা ছাড়া ব্যবহৃত সিসা-অ্যাসিড ব্যাটারির মেয়াদ শেষের পর তার ডিসপোজাল স্বাস্থ্য ও পরিবেশের জন্য বিপদ সৃষ্টি করে।
এ ক্ষেত্রে একটা সম্ভাবনা খুঁজে পান নিকোল মাও এবং ইওয়েই ঝু। এর পরিপ্রেক্ষিতে তারা নতুন উদ্যোগ নিয়ে কাজ শুরু করেন।
কোম্পানির প্রধান অপারেটিং অফিসার ঝু বলেন, এটি ছিল পাগলাটে বুদ্ধি। আমাদের নিজেদেরই স্থানীয় কর্মী নিয়োগ করা, কারখানার জন্য জমি খুঁজে বের করা এবং কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার দায়িত্ব নিতে হয়েছিল।
স্টার্টআপটির প্রতিষ্ঠাতারা ফিলিপাইনের এডিবি ভেঞ্চারস ও সিঙ্গাপুরের ওয়েভমেকার পার্টনার্সের কাছ থেকে প্রাথমিক বিনিয়োগের অর্থ সংগ্রহ করেন। এই অর্থ দিয়ে তারা লিথিয়াম ব্যাটারির একটি কারখানা চালু করেন। তারা বাংলাদেশের অর্থনৈতিক কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত বন্দরনগরী চট্টগ্রামে এই স্টার্টআপের প্রথম ১০০টি ব্যাটারি-সোয়াপিং স্টেশন স্থাপন করেন।
কাজ শুরুর অল্প সময়ের মধ্যে তারা দেখতে পান, অনেক চালক তাদের পণ্য কেনার জন্য একসঙ্গে ৪০০ মার্কিন ডলার (বর্তমানে তা প্রায় ৪৮ হাজার টাকা) খরচ করতে অনিচ্ছুক বা অক্ষম।
যদিও সিসা-অ্যাসিড ব্যাটারির তুলনায় তাদের তৈরি ব্যাটারির মাইলেজ ভালো। তা দীর্ঘমেয়াদিও। তাই তারা ব্যাটারি-সোয়াপিং পদ্ধতি চালুর সিদ্ধান্ত নেন। আর তা দারুণভাবে কাজে দেয়।
চালকেরা যখন দেখেন, ব্যাটারির চার্জ কমে যাচ্ছে, তখন তারা একটি স্বয়ংক্রিয় ব্যাটারি-সোয়াপিং স্টেশনে গিয়ে নতুন ব্যাটারি বদল করে নেন। আর ভয়েস নির্দেশনা এ প্রক্রিয়াটিকে সহজ করে দেয়।
তথ্যসূত্র: গালফ নিউজ
আরটিভি/এফআই
ঢাকা-খুলনা-বেনাপোল রুটে ট্রেনের ভাড়া ও সময়সূচি
পদ্মা সেতু হয়ে খুলনা-ঢাকা-খুলনা ও বেনাপোল-ঢাকা-বেনাপোল রুটে ট্রেন যাত্রার সূচি চূড়ান্ত হয়েছে। আগামী ২৪ ডিসেম্বর থেকে নতুন এ রুটে যাত্রা শুরু হবে। গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী জংশন হয়ে দুই জোড়া ট্রেন চলাচল করবে।
শনিবার (২১ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ রেলওয়ের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানা গেছে। গত ১৯ ডিসেম্বর এ-সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে সংস্থাটি।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আগামী ২৪ ডিসেম্বর থেকে খুলনা-ঢাকা-খুলনা রুটে এক জোড়া এবং বেনাপোল-ঢাকা-বেনাপোল রুটে এক জোড়া নতুন আন্তনগর ট্রেন পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ট্রেন সিডিউল অনুযায়ী, ভোর ৬টায় খুলনা থেকে জাহানাবাদ এক্সপ্রেস নাম নিয়ে ট্রেনটি ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাবে। সকাল পৌনে ১০টায় ঢাকায় পৌঁছাবে। সকাল পৌনে ১১টায় ঢাকা থেকে রূপসী বাংলা এক্সপ্রেস নামে বেনাপোলের উদ্দেশে যাত্রা করবে। যশোর জংশন হয়ে দুপুর আড়াইটায় বেনাপোলে পৌঁছাবে।
রূপসী বাংলা এক্সপ্রেস বিকেল সাড়ে ৩টায় বেনাপোল থেকে যাত্রা করে সন্ধ্যা ৭টা ১০ মিনিটে ঢাকায় পৌঁছাবে। এরপর ট্রেনটি জাহানাবাদ এক্সপ্রেস নাম নিয়ে ঢাকা থেকে রাত ৮টায় যাত্রা করে রাত ১১টা ৪০ মিনিটে খুলনায় পৌঁছাবে। রূপসী বাংলা এক্সপ্রেস যাত্রাবিরতি করবে (আপ ও ডাউন) যশোর জংশন, নড়াইল, কাশিয়ানী জংশন, ভাঙ্গা জংশনে এবং জাহানাবাদ এক্সপ্রেস যাত্রাবিরতি করবে নওয়াপাড়া, সিঙ্গিয়া জংশন, নড়াইল, লোহাগড়া, কাশিয়ানী জংশন ও ভাঙ্গা জংশনে।
ট্রেন বন্ধ থাকবে সোমবার। ট্রেনে আসন সংখ্যা ৭৬৮টি। সিডিউল অনুযায়ী, ঢাকা থেকে বেনাপোলে পৌঁছানোর সময় নির্ধারণ করা হয়েছে পৌনে ৪ ঘণ্টা।
এদিকে, খুলনা-ঢাকার নতুন রুটের ট্রেনের ভাড়াও নির্ধারণ করেছে রেলওয়ে বিভাগ। যদিও শুধু মূল ভাড়া প্রকাশ করা হয়েছে। ভ্যাটসহ চূড়ান্ত ভাড়া এখনো প্রকাশ করা হয়নি।
ঢাকা থেকে খুলনা পর্যন্ত ভাড়া: শোভন চেয়ার ৪৪৫ টাকা, স্নিগ্ধা ৭৪০ টাকা, এসি সিট ৮৮৫ টাকা ও এসি বার্থের ভাড়া ১ হাজার ৩৩০ টাকা। সব শ্রেণির ভাড়ার সঙ্গে সরকার নির্ধারিত ভ্যাট যুক্ত হবে।
খুলনা থেকে নওয়াপাড়া ও সিঙ্গিয়া স্টেশনে ভ্যাট বাদে ভাড়া: শোভন চেয়ার ৫০ টাকা, স্নিগ্ধা শ্রেণি ১০০ টাকা, এসি সিট ১১০ টাকা।
খুলনা-নওয়াপাড়া ভাড়া: এসি বার্থ ১৩০ টাকা এবং সিঙ্গিয়া পর্যন্ত এসি বার্থের ভাড়া ১৫০ টাকা।
খুলনা-নড়াইল পর্যন্ত ভাড়া: শোভন চেয়ার ৭৫, স্নিগ্ধা ১২৫ টাকা, এসি সিট ১৫০ টাকা ও এসি বার্থের ভাড়া ২২৫ টাকা।
খুলনা-লোহাগড়া পর্যন্ত ভাড়া: শোভন চেয়ার ৯৫ টাকা, স্নিগ্ধা ১৫৫ টাকা, এসি সিট ১৮৫ টাকা এবং এসি বার্থের ২৮০ টাকা। খুলনা-কাশিয়ানী জংশন পর্যন্ত ভাড়া পড়বে শোভন চেয়ার ১৪৫, স্নিগ্ধা ২৩৫ টাকা, এসি সিট ২৯০ টাকা এবং এসি বার্থের ৪২৫ টাকা।
খুলনা-ভাঙ্গা পর্যন্ত ভাড়া: শোভন চেয়ার ১৮৫ টাকা, স্নিগ্ধা ৩০৫ টাকা, এসি সিট ৩৭০ টাকা এবং এসি বার্থের ৫৫৫ টাকা। সে সঙ্গে যুক্ত হবে সরকার নির্ধারিত ভ্যাট।
আরটিভি/এসএপি
আবু সাঈদ মারা যায়নি, আছেন ফ্রান্সে: ফ্যাক্ট চেক যা বলছে
সম্প্রতি ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম টিকটকে সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম মাওলা রনির একটি ভিডিও প্রচার করা হয়, যেখানে তিনি দাবি করেন আবু সাঈদ মারা যায়নি, ফ্রান্সে আছে। ড. ইউনূস তাকে ফ্রান্সে পাঠিয়ে দিয়েছে।
মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে বাংলাদেশের তথ্য যাচাইকারী প্রতিষ্ঠান (ফ্যাক্ট চেক) রিউমর স্ক্যানার।
তাদের অনুসন্ধানে দেখা যায়, গোলাম মাওলা রনি ‘আবু সাঈদ মারা যায়নি, ফ্রান্সে আছে। ড. ইউনূস তাকে ফ্রান্সে পাঠিয়ে দিয়েছে’ শীর্ষক কোনো মন্তব্য করেননি বরং তার ভিন্ন একটি মন্তব্যের ভিডিও ক্লিপের সাথে ‘আবু সাঈদ জীবিত গোপন তথ্য ফাঁস হয়ে গেল Golam Maula Rony’ শীর্ষক বাক্য বসিয়ে ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় ভিডিওটি তৈরি করা হয়েছে।
রিউমর স্ক্যানারের পর্যবেক্ষণে উঠে এসেছে, ভিডিওটির ব্যাকগ্রাউন্ডে গোলাম মাওলা রনির অস্পষ্ট ও খণ্ডিত কণ্ঠস্বর ব্যবহার করা হয়েছে। তবে ভিডিওতে দাবিটির পক্ষে কোনো সুনির্দিষ্ট প্রমাণ উপস্থাপন করা হয়নি। মূলধারার গণমাধ্যম বা কোনো নির্ভরযোগ্য সূত্রেও গোলাম মাওলা রনির এ ধরনের মন্তব্যের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি।
তাছাড়া গোলাম মাওলা রনির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ এবং ইউটিউব চ্যানেলেও আবু সাঈদকে নিয়ে এমন কোনো মন্তব্যের সন্ধান মেলেনি। বরং গত ১৬ জুলাই তার ফেসবুক পেজে একটি পোস্টে আবু সাঈদকে শহীদ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
আরটিভি/একে/এস
আগুনের সূত্রপাত কোথা থেকে, জানালেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানিয়েছেন, সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনের ৬ তলায় আগুন লেগে তা উপরের দিকে ছড়িয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পর সচিবালয়ের সামনে সাংবাদিকদের এ কথা জানান উপদেষ্টা। এ সময় গৃহায়ন ও গণপূর্ত এবং শিল্প মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান উপস্থিত ছিলেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, তিন চার জায়গায় নয়, আগুনটা ছয়তলায় লেগেছে এবং সাত, আট উপরের দিকে গেছে। নিচে আর আসতে পারেনি। কি হচ্ছে তা আমরা এখন দেখবো। পুরোটা সার্চ করার পরে কিছু পাওয়া যায় কিনা আমরা জানাবো।
তিনি বলেন, সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনে রাত ১টা ৫০ মিনিটে ছয়তলায় আগুন ধরে। ১টা ৫২ মিনিটে খবর দেওয়া হয়। ১টা ৫৪ মিনিট থেকে তারা তাদের কাজ শুরু করে। সকাল ৮টা ৫ মিনিটে আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আসে।
নয় তলা বিশিষ্ট ৭ নম্বর ভবনটির ৬ তলায় যুব ও ক্রীড়া এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, ৭ তলায় স্থানীয় সরকার বিভাগ, ৮ তলায় পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ, ৯ তলায় রয়েছে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ রয়েছে।
সচিবালয়ের সামনে এখনো সেনাবাহিনী, বিজিবি, র্যাবসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন। ঘটনার পর সচিবালয়ের এক ও দুই নম্বর গেইট বন্ধ রয়েছে। সকাল ৯টার আগেই প্রবেশের জন্য বিপুল সংখ্যক কর্মকর্তা-কর্মচারী সচিবালয়ের গেটগুলোর সামনে অপেক্ষা করতে থাকেন। পরে প্রেসক্লাবের দিকে ৫ নম্বর গেইট দিয়ে সীমিত পরিসরে কর্মকর্তা কর্মচারীদের প্রবেশ করানো হচ্ছে।
আরটিভি/এসএপি-টি
সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের সম্ভাব্য কারণ জানা গেল
ইন্টেরিয়র ডেকোরেশন থেকে সচিবালয়ে আগুন লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জাহেদ কামাল।
বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) সকালে সচিবালয়ের সামনে ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন তিনি।
ফায়ার সার্ভিস মহাপরিচালক বলেন, সচিবালয়ের আগুন লাগার কারণ সম্ভবত ইন্টেরিয়র ডেকোরেশন ছিল। এক জায়গা আগুন ধরলে বিদ্যুৎ লাইনের মাধ্যমে সব জায়গা ছড়িয়ে পড়ে। এটা হতে পারে।
তিনি বলেন, সচিবালয়ে লাগা আগুনের প্রাথমিক কারণ এখনও আমরা বের করতে পারিনি। আগুন নেভানোর পর আমরা যখন সব জায়গা তল্লাশি করব, তখন হয়তো আপনাদেরকে একটা ধারণা দিতে পারব।
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জাহেদ কামাল বলেন, আমরা যতটুকু জানতে পেরেছি, তিনটি জায়গায় একসাথে আগুন দেখা গেছে। যখন স্পার্কিং হয়, যদি বিদ্যুৎ লাইনের শর্ট সার্কিট হয়-এটা হতে পারে। তবে এটা এখনই নিশ্চিত বলব না; যতক্ষণ পর্যন্ত না তদন্ত শেষ করছি।
এর আগে, বুধবার দিবাগত রাত ১টা ৫২ মিনিটে সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনে আগুন লাগে। সচিবালয়ে অবস্থিত ফায়ার সার্ভিসের ইউনিটটি আগুন নিয়ন্ত্রণে চেষ্টা করে রাত ১টা ৫৪ মিনিট থেকে। এরপর আগুনের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় পর্যায়ক্রমে ১৮ ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। পরে ইউনিটের সংখ্যা বাড়ানো হয়। সবশেষ ফায়ার সার্ভিসের ১৯টি ইউনিটের চেষ্টায় বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা ৫ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
সচিবালয়ের সামনে এখনো সেনাবাহিনী, বিজিবি, র্যাবসহ বিভিন্ন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন। ঘটনার পর সচিবালয়ের এক ও দুই নম্বর গেইট বন্ধ রয়েছে। সকাল ৯টার আগেই প্রবেশের জন্য বিপুল সংখ্যক কর্মকর্তা-কর্মচারী সচিবালয়ের গেটগুলোর সামনে অপেক্ষা করতে থাকেন। পরে প্রেসক্লাবের দিকে ৫ নম্বর গেইট দিয়ে সীমিত পরিসরে কর্মকর্তা কর্মচারীদের প্রবেশ করানো হচ্ছে।
আরটিভি/এসএপি-টি