• ঢাকা সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১
logo

বদলে গেল বঙ্গবন্ধু রেলসেতুর নাম

আরটিভি নিউজ

  ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৫:১৮
বদলে গেলো বঙ্গবন্ধু রেলসেতুর নাম
ফাইল ছবি

বদলে গেছে যমুনা নদীতে নির্মিত রেলসেতুর নাম। সরিয়ে ফেলা হয়েছে বঙ্গবন্ধুর নাম; পরিবর্তন করে সেতুটির নতুন নামকরণ করা হয়েছে ‘যমুনা রেলসেতু’। শুরুতে এর পুরো নাম ছিল জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রেলসেতু।

রোববার (২২ ডিসেম্বর) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. আফজাল হোসেন।

তিনি বলেন, যমুনা নদীতে নির্মিত রেলসেতুর নাম বঙ্গবন্ধু রেলসেতু থাকছে না আর। এটি এখন যমুনা রেলসেতু নামেই উদ্বোধন করা হবে। ২০২৫ সালের জানুয়ারি মাসে এই রেলসেতু উদ্বোধন করা হতে পারে।

মো. আফজাল হোসেন জানান, এখন যমুনার বঙ্গবন্ধু বহুমুখী সেতুতে মিটারগেজের যে রেলসংযোগ রয়েছে, তাতে সর্বোচ্চ ৪৩ দশমিক ৭০ কিলো-নিউটন/মিটার ওজন বহনের অনুমতি রয়েছে। ট্রেনে বেশি বগি যুক্ত করার সুযোগ নেই, সঙ্গে রয়েছে এক লাইনের সীমাবদ্ধতা। এই সেতুতে ঘণ্টায় মাত্র ২০ কিলোমিটার গতিতে ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার সেতু পার হতে একেকটি ট্রেনের ২৫ মিনিটের মতো সময় লেগে যায়। সেতুর ওপর একটি লাইন হওয়ায় দুই পাড়ের স্টেশনে সিগন্যালের জন্য অপেক্ষা করতে হচ্ছে দীর্ঘসময়। সব মিলিয়ে মাত্র ৫ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে লাগছে এক ঘণ্টার বেশি।

এই দুর্ভোগ থেকে যাত্রীদের মুক্তি দিতে বিগত সরকার ২০২০ সালের ৩ মার্চ বঙ্গবন্ধু বহুমুখী সেতুর সমান্তরালে ডুয়েলগেজ ডাবল ট্র্যাকের ৪ দশমিক ৮০ কিলোমিটার দীর্ঘ রেলসেতু নির্মাণের পরিকল্পনা অনুমোদন করে। প্রকল্প ব্যয় ধরা হয় ১৬ হাজার ৭৮০ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে বরাদ্দ দেওয়া হয় ৪ হাজার ৬৩১ কোটি টাকা এবং বাকি ১২ হাজার ১৪৯ কোটি টাকা অর্থায়ন করে জাপানের জাইকা।

সেতুর প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, ডব্লিউডি-১ ও ডব্লিউডি-২ নামে দুটি প্যাকেজে জাপানি পাঁচটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। ডব্লিউডি-১ প্যাকেজটি বাস্তবায়ন করছে জাপানি আন্তর্জাতিক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ওবাইসি, টোআ করপোরেশন ও জেইসি (ওটিজে) জয়েন্ট ভেঞ্চার। সেতুর উভয় প্রান্তের দুই স্টেশনে সিগন্যালিং সিস্টেম স্থাপনে ডব্লিউডি-৩ প্যাকেজের কাজ করছে জাপানের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ইয়াশিমা।

নতুন এই রেলসেতুর বিষয়ে প্রকল্প পরিচালক আল ফাত্তাহ মো. মাসউদুর রহমান জানিয়েছেন, নতুন এই রেলসেতু দিয়ে ব্রডগেজ ট্রেন প্রতি ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার ও মিটারগেজ ট্রেন ১০০ কিলোমিটার গতিতে পরিচালনার পরিকল্পনা রয়েছে। কিন্তু সিবিআইএসের কাজের অগ্রগতি হয়েছে ৪০ শতাংশ। সেতু চালু হওয়ার পরে আরও দুই-তিন মাস সময় লাগতে পারে সিবিআইএস চালু করতে। সিবিআইএস চালু না হওয়ায় মূল সেতুতে না হলেও রেলের গতি কমবে সেতুর কানেক্টিং দুই স্টেশনে। নন-ইন্টারলিংক সিস্টেম চালু থাকায় স্টেশনের লুপ লাইনে যখন ট্রেন প্রবেশ করবে, তখন তার গতি কমিয়ে আনতে হবে ১৬ কিলোমিটারে। তবে, লুপ লাইন পেরিয়ে মূল সেতুতে রেল পুরো গতিতে চলাচল করতে পারবে। রেললাইন ও ব্রিজের সেই সক্ষমতা রয়েছে।

যমুনার পুরোনো সেতু দিয়ে বর্তমানে দিনে ৩৮টি ট্রেন চলাচল করছে। নতুন সেতু চালুর পরে আন্তঃনগর, লোকাল, কমিউটার ও মালবাহী ট্রেনসহ ৮৮টি ট্রেন পরিচালনার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছিল রেলওয়ে। তবে, রেলের মহাপরিচালক আফজাল হোসেন বলেন, রেলে ইঞ্জিনের সংকট রয়েছে। চাইলেও নতুন ট্রেন দিতে পারছি না। অবশ্য রাষ্ট্রপতি অনুরোধ করেছিলেন, পাবনাবাসীর জন্য কোনো নতুন ট্রেন পরিচালনা করা যায় কী না। সেটি বিবেচনা করা হচ্ছে।

আরটিভি/এসএইচএম/এআর

মন্তব্য করুন

Bangal
rtv Drama
Radhuni
  • বাংলাদেশ এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
স্বরাষ্ট্র সচিব হলেন ড. নাসিমুল গনি
এমপিওভুক্ত মাদরাসা শিক্ষকদের বদলি নীতিমালা জারি
বদলে যাচ্ছে শিল্পকলার সাত মিলনায়তনের নাম
ভারতের বদলে বিকল্প পর্যটনে ঝুঁকছেন বাংলাদেশি ভ্রমণ পিপাসুরা