• ঢাকা বুধবার, ০৮ জানুয়ারি ২০২৫, ২৪ পৌষ ১৪৩১
logo

আবেদ আলীর অ্যাকাউন্টে ৪১ কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেন

আরটিভি নিউজ

  ০৫ জানুয়ারি ২০২৫, ১৬:২১
আবেদ আলীর একাউন্টে ৪১ কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেন
ছবি: সংগৃহীত

এক সময় কুলির কাজ করা আলোচিত গাড়িচালক সৈয়দ আবেদ আলী এবং তার পরিবারের অ্যাকাউন্টে ৪১ কোটি ২৯ লাখ টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের তথ্য পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তার ১২টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ২০ কোটি ৮৮ লাখ টাকা জমা এবং ২০ কোটি ৪১ লাখ টাকা উত্তোলন করার মাধ্যমে এই লেনদেন হয়েছে।

রোববার (৫ জানুয়ারি) ৩ কোটি ৭২ লাখ ৯৯ হাজার ৯৯৭ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) গাড়িচালক সৈয়দ আবেদ আলীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুদক। এ ছাড়া আবেদ আলীর স্ত্রী শাহরিন আক্তার শিল্পী ও ছেলে সৈয়দ সোহানুর রহমান সিয়ামের বিরুদ্ধেও পৃথক মামলা দায়ের করা হয়েছে।

আবেদ আলীর স্ত্রী শাহরিন আক্তার শিল্পীর বিরুদ্ধে ১ কোটি ২৬ লাখ ৬৩ হাজার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে। তার দুটি ব্যাংক হিসাবে ১ কোটি ৭৮ লাখ ৭৬ হাজার ৬৩৬ টাকা জমা ও ১ কোটি ৭৭ লাখ ৬৪ হাজার ৯৫ টাকা উত্তোলনসহ মোট ৩ কোটি ৫৬ লাখ ৪০ হাজার ৭৩১ টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের অভিযোগ আনা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪-এর ২৭(১) ধারা তৎসহ মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।

অন্যদিকে, আবেদ আলীর ছেলে সৈয়দ সোহানুর রহমান সিয়ামের বিরুদ্ধে ৩ কোটি ৩০ লাখ টাকার জ্ঞাত আয়ের উৎস বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারায় মামলা করেছে দুদক।

গত বছরের জুলাই মাসে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (বিপিএসসি) প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় বিপিএসসির সাবেক চেয়ারম্যানের গাড়িচালক সৈয়দ আবেদ আলীসহ ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। তখন তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে নামে দুদক।

এর আগে ২০১৪ সালে প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় চাকরি থেকে আবেদ আলীক বরখাস্ত করা হয়েছিল। নন-ক্যাডারে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সহকারী মেইনটেন্যান্স ইঞ্জিনিয়ার পদের লিখিত পরীক্ষা ২০১৪ সালে ২২ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হয়। তখন এক পরীক্ষার্থীকে সংশ্লিষ্ট প্রশ্নের অবৈধ উত্তরসহ চারটি লিখিত উত্তরপত্র হাতেনাতে আটক করা হয়। ওই মামলার তদন্তে সৈয়দ আবেদ আলীর সক্রিয়ভাবে সম্পৃক্ত থাকার তথ্য প্রমাণ মেলে। এরপর তাকে বরখাস্ত করা হয়।

আবেদ আলী গাড়িচালক হিসেবে পিএসসিতে চাকরি নিয়ে প্রশ্ন ফাঁস চক্রে জড়িয়ে পড়েন এবং কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিজ এলাকায় শিল্পপতি বনে যান। এ ছাড়া বাংলাদেশ রেলওয়ের উপ-সহকারী প্রকৌশলী পদে নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রে জড়িত অভিযোগে আবেদ আলী ও তার ছেলে সৈয়দ সোহানুর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়। ৯ জুলাই রাজধানীর শেওড়াপাড়ার ওয়াসা রোডের নিজ ফ্ল্যাট থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। একই অভিযানে পিএসসির দুজন উপ-পরিচালক, একজন সহকারী পরিচালকসহ আরও ১৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

আরটিভি/কেএইচ/এআর

মন্তব্য করুন

Bangal
rtv Drama
Radhuni
  • বাংলাদেশ এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার (৬ জানুয়ারি)
নেটওয়ার্ক সমস্যায় ডিএসইর লেনদেন সাময়িক বন্ধ  
পিএসসিতে আরও ৬ সদস্য নিয়োগ
১৩৪ কোটি টাকা লেনদেন: মুন্নী সাহা ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে দুদক