টেস্টে দর্শক ফেরানোর কায়দা জানেন টেন্ডুলকার

স্পোর্টস ডেস্ক, আরটিভি অনলাইন

রোববার, ০৪ ডিসেম্বর ২০১৬ , ০২:৫২ পিএম


টেস্টে দর্শক ফেরানোর কায়দা জানেন টেন্ডুলকার

দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে টি-২০ ক্রিকেট। আবার ওয়ানডের চাহিদাও রয়েছে বেশ। এসবের ভিড়ে ক্রমশই জনপ্রিয়তা হারাচ্ছে টেস্ট ক্রিকেট। ক্রিকেটের দীর্ঘ পরিসরের দর্শক কমছেই।এরই মধ্যে মাঠে দর্শক টানতে দিবা-রাত্রির টেস্টের আশ্রয় নিয়েছে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা-আইসিসি। তাতেও কাজ হচ্ছে না। এ নিয়ে আইসিসি ও ক্রিকেটবোদ্ধাদের দুশ্চিন্তার শেষ নেই। তবে আর চিন্তা নয়, টেস্ট ক্রিকেটে দর্শক ফিরিয়ে আনতে যাদুকরী উপায় বাতলে দিলেন ভারতীয় ক্রিকেট ইশ্বর শচীন টেন্ডুলকার।

বিজ্ঞাপন

বললেন, টেস্ট ক্রিকেটে ফের দর্শক ফিরিয়ে আনতে দরকার ইমরান খান-সুনীল গাভাস্কার, জেফ থমসন-ভিভ রিচার্ডস, কার্টলি অ্যামব্রোস-স্টিভ ওয়াহ, ব্রায়ান লারা-গ্লেন ম্যাকগ্রাদের মতো ‘দ্বৈরথ’। তাদের মধ্যে ব্যাট-বলের যুদ্ধ হতো। তা দেখতে দর্শক হুমড়ি খেয়ে ফিরতো। ৫ দিনের ক্রিকেট বাঁচাতে এরকম দ্বৈরথ দরকার।

লিটল মাস্টার খ্যাত ব্যাটসম্যান আরো বলেন, ৭০-৮০’র দশকে বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারানোর জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করতো প্রত্যেকটি দল। ৯০’র দশকে নতুন যুগের সূচনা হয়। এসময় অস্ট্রেলিয়া একক আধিপত্য বিস্তার করে। তাদেরকে হারানোটাও ছিল গর্বের। কিন্তু এখন আর সেটি নেই। তাই টেস্ট কিছুটা বিবর্ণ রূপ ধারণ করেছে।

বিজ্ঞাপন

শনিবার হিন্দুস্তান টাইমসের এক সম্মেলনে ব্যাটিং জিনিয়াস বলেন, টেস্ট ক্রিকেট এখনো মরেনি। কেবল দর্শকের মনোভাবের পরিবর্তন ঘটেছে। আগে এক ক্রিকেটার আরেক ক্রিকেটারকে, প্রতিটি দল ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও অস্ট্রেলিয়াকে হারাতে চাইতো। তাই তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতো। মাঠে দর্শকও ভিড় জমাতো। এখন এসব না থাকায় খেলাটি সৌন্দর্য হারাচ্ছে।

টেন্ডুলকার মনে করেন, হালের কিশোরেরা টি-২০ দেখে বড় হয়। এজন্যই দর্শকদের চরিত্রগত পরিবর্তন হয়েছে। কিশোরেরা এখন আর টেস্ট দেখে না। তাই তারা টি-২০ ঘরানার শট খেলা শেখে। মূলত এ কারণেই আধুনিক ক্রিকেটের চরিত্র দ্রুত বদলে যাচ্ছে।

আন্তর্জাতিক ম্যাচের মনোমুগ্ধকর ইনিংস, অসাধারণ বোলিং স্পেল অথবা একক কীর্তি আজীবন মনে রাখে দর্শক। এমন কথা জানিয়ে ব্যাটিং মায়েস্ত্রো উল্লেখ করেন, ২০১৫ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে পাকিস্তানের ওয়াহাব রিয়াজ ও অস্ট্রেলিয়ার শেন ওয়াটসন’র ব্যাট-বলের লড়াই মনে রাখার মতো। বিশেষ করে আমার কাছে তাই মনে হয়। এছাড়া ১৯৮৭ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে  সুনীল গাভাস্কার’র ৯৬ রানের ইনিংসও স্মরণযোগ্য। যদিও টেস্টটি ১৬ রানে হেরে যায় ভারত।

বিজ্ঞাপন

টেস্ট ক্রিকেটের পুররুজ্জীবনে আইসিসি ও ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডকে (বিসিসিআই) একসঙ্গে কাজ করারও পরামর্শ দেন  টেস্ট ও ওয়ানডে ক্রিকেটে সর্বোচ্চ রানের মালিক।

ডিএইচ

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন

Loading...


© All Rights Reserved 2016-2025 | RTV Online | It is illegal to use contents, pictures, and videos of this website without authority's permission