মুছাকে ডিবি ধরে নিয়ে গেছে, দাবি স্ত্রীর

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট|চট্টগ্রাম

শুক্রবার, ০১ জুলাই ২০১৬ , ১১:৫৫ এএম


মুছাকে ডিবি ধরে নিয়ে গেছে, দাবি স্ত্রীর

মাহমুদা খানম (মিতু) হত্যার অন্যতম সন্দেহভাজন কামরুল শিকদার ওরফে মুছাকে ডিবি পুলিশ ধরে নিয়ে গেছে বলে দাবি করেছেন তার স্ত্রী পান্না আক্তার। তিনি বললেন, ২২ জুন চট্টগ্রামের বন্দর এলাকায় এক আত্মীয়ের বাসা থেকে মুছাকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় হত্যাকাণ্ডের আরেক সন্দেহভাজন নূর নবীও ডিবি পরিচয়ধারী লোকগুলোর সঙ্গে ছিলেন।

বিজ্ঞাপন

মুছার স্ত্রী পান্না আক্তার বৃহস্পতিবার বিকেলে মুঠোফোনে এ কথা বলেন। ঘটনার পর থেকে মুছার পরিবার তাদের চট্টগ্রাম শহরের বাসায় অবস্থান করছে না।

এদিকে পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদাকে হত্যার পর ঘটনাস্থলে পাওয়া গুলির খোসার বিস্ফোরক (ব্যালিস্টিক) পরীক্ষার জন্য গতকাল চট্টগ্রাম সিআইডির কাছে পাঠানো হয়েছে। গ্রেপ্তার এহতেশামুল হক ওরফে ভোলার কাছ থেকে উদ্ধার করা অস্ত্র দিয়েই এ গুলি ছোঁড়া হয়েছিল কি না, তা ব্যালিস্টিক পরীক্ষায় নিশ্চিত হওয়া যাবে।

বিজ্ঞাপন

ওই হত্যা মামলায় এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার দু’জন আনোয়ার হোসেন ও ওয়াসিম তাদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে বলেছেন, মাহমুদা খানম হত্যার পুরো বিষয়টির সমন্বয় করেছিলেন মুছা। আর মাহমুদাকে পেছন থেকে ছুরি মারেন নবী। হত্যাকাণ্ডের আগের দিন মুছার বাসায় সবাই আলোচনায় বসেছিলেন। তবে গতকাল মুছার স্ত্রী পান্না আক্তার দাবি করেন, মাহমুদা হত্যার আগের দিন তাদের বাসায় কেউ আসেনি।

পুলিশ বলছে, মুছা ও নূর নবী তাদের হেফাজতে নেই। তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। মুছাকে ধরে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে গতকাল বিকেলে চট্টগ্রাম নগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ ও অভিযান) দেবদাস ভট্টাচার্য বলেন, মুছা পুলিশি হেফাজতে নেই। তাকে হন্যে হয়ে পুলিশ খুঁজছে। ডিবি পুলিশ তাকে কখনো আটক করেনি কিংবা হেফাজতে নেয়নি।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা চট্টগ্রাম মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী কমিশনার মো. কামরুজ্জামান বললেন, মুছাসহ পাঁচ আসামিকে পুলিশ খুঁজছে। অন্য চারজন মো. কালু (২৮), মো. রাশেদ (২৯), নূর নবী (২৮) ও শাহজাহান (২৯)। তাদের বাড়ি রাঙ্গুনিয়া উপজেলায়।

বিজ্ঞাপন

জানতে চাইলে রাঙ্গুনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবির গতকাল বিকেলে বলেন, মাহমুদা হত্যা মামলার পলাতক পাঁচ আসামির গ্রামের বাড়ি রাঙ্গুনিয়া হলেও তারা এখানে নেই। তাদের খোঁজা হচ্ছে।

পান্না আক্তার বলেন, ২২ জুন ডিবির একটি দল বন্দর এলাকার ওই আত্মীয়ের বাসায় নূর নবীকে নিয়ে আসে। পান্নার সামনেই তারা মুছাকে ধরে নিয়ে যায়। এরপর আট দিন হয়ে গেলেও মুছার কোনো খোঁজ মিলছে না। তিনি বলেন, চারপাশে যে রকম কথাবার্তা চলছে, তাতে তিনি মুছার প্রাণহানির আশঙ্কা করছেন।

কান্নাজড়িত কণ্ঠে পান্না বলেন, ‘আমার স্বামী দোষী হলে আইনের মধ্যে বিচার হোক। গুম করা হলো কেন?’

স্বামীর খোঁজ না মেলায় থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন কি না জানতে চাইলে পান্না আক্তার বলেন, পুলিশ তার স্বামীকে আদালতে চালান দেবে ভেবেছিলেন। যে কারণে জিডি করেননি। এখন বিভিন্ন আত্মীয়স্বজনের বাসায় থাকেন তিনি। ভয়ে বাইরে বের হন না।

এইচটি/ এস

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন

Loading...


© All Rights Reserved 2016-2025 | RTV Online | It is illegal to use contents, pictures, and videos of this website without authority's permission