দীর্ঘদিন ধরেই জন্মহার একটা জায়গায় আটকে আছে। ফলে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের যে পরিকল্পনা তা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পরিবার পরিকল্পনা কর্মসূচি বর্তমানে খারাপ অবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।
তারা পরামর্শ দিয়েছেন, দারিদ্রতা ও অঞ্চলভিত্তিক এ কর্মসূচিকে জোরদার করার। নীতি বাস্তবায়নকারীরা বলছেন, জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য নানা কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছে সরকার। খান আলামিনের ধারাবাহিক প্রতিবেদনের প্রথম পর্বে থাকছে তারই বিস্তারিত।
রাজধানীর অদূরে কেরানীগঞ্জের একটি প্রত্যন্ত গ্রাম। একটি পরিবারের মনোভাব, পরিবার পরিকল্পনা কর্মসূচির প্রচার ও এর প্রভাব স্পষ্ট করে তুলে। স্বামী-স্ত্রী দু’জন ঠিক বিপরীতমুখী।
এমন প্রতিবন্ধকতার মধ্য দিয়েই পরিবার পরিকল্পনা কর্মসূচি একটি সফল রূপ পেয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের সময় ১৫ থেকে ৪৯ বছর বয়সী একজন বিবাহিত নারী যেখানে ছয়টির বেশি সন্তান জন্ম দিতেন, সেখানে সংখ্যাটা এখন দুইয়ের কিছু বেশি।
তবে আশঙ্কা হচ্ছে, দীর্ঘদিন ধরে এখানেই আটকে আছে পরিবার পরিকল্পনা কর্মসূচি। বাংলাদেশ জনমিতি ও স্বাস্থ্য জরিপ সে কথাই বলছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পরিবার পরিকল্পনা কর্মসূচি এখন খারাপ অবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে যার প্রভাব পড়েছে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচিতে।
পরিবার পরিকল্পনা কর্মসূচিকে দেশব্যাপী ছড়িয়ে দেয়ার বদলে অঞ্চল ও দারিদ্রতার নিরিখে ভাগ করে গুরুত্ব দেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন কয়েকটি বেসরকারি সংস্থার কর্মকর্তারা।
দুটি সন্তানের ধারণা নিয়ে পরিবার পরিকল্পনা কর্মসূচি অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন অধিদপ্তরের আইইএম বিভাগের পরিচালক। কিশোরী মা’দের সন্তান জন্ম দেয়ার হার নিয়ন্ত্রিত রাখতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সচেতনতামূলক কাজ চালু রেখেছে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর।
ডি/এসএস