এমপি লিটন হত্যায় জড়িত সন্দেহে ১৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তথ্য উদঘাটনের কাজ করছে গোয়েন্দা বাহিনী। সন্ত্রাসীদের অচিরেই ধরে ফেলবো। আসল অপরাধী ধরা পড়বে। বললনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
রোববার মন্ত্রণালয়ে নিজ কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।.
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সন্ত্রাসীদের কঠিন হাতে দমন করা হবে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
তিনি বলেন, এটি সন্ত্রাসীদের নতুন ডাইমেনশন কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। হঠাৎ করে এ ধরনের সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা সন্ত্রাসীদের নতুন অধ্যায় হতে পারে। এর আগেও আমরা সন্ত্রাসীদের কঠিন হাতে দমন করেছি। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ অনুযায়ী এ বিষয়ে আমরা জিরো টলারেন্স নীতিতে আছি।
তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে তিনি বলেন, গোয়েন্দা বাহিনী এ বিষয় নিয়ে কাজ করছে। তাদের প্রতি আমাদের বিশ্বাস আছে। এটি সন্ত্রাসীদের কৌশল হতে পারে। কারণ এ ধরনের ঘটনা গেলো সাত-আট বছরেও হয়নি। এটি প্রথম। সবকিছু সামনে রেখে কাজ করছি। পুলিশ অনেক ভালো কাজ করছে।
কামাল আরো বলেন, কারো ভবিষ্যতবাণীতে আমাদের কিছুই যায় আসে না। আমাদের গোয়েন্দা বাহিনী কী তথ্য দিচ্ছে সেটিই বড় বিষয়।
একজন এমপিকে বাসায় ঢুকে মেরে ফেলার ঘটনা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার ক্ষেত্রে ব্যর্থতা প্রমাণ করেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা ব্যর্থতা না। লিটন অত্যন্ত দরদী মানুষ ছিলেন। মানুষের সঙ্গে, জনগণের সঙ্গে মিলে মিশে কাজ করেছেন। সে কারণেই সন্ত্রাসীরা এ সুযোগটা নিয়েছে।
গাইবান্ধা-১ আসনের সংসদ সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনকে শনিবার সন্ধ্যা ( ৩১ ডিসেম্বর) তার নিজ বাড়িতে গুলি করে দুর্বৃত্তরা। পরে রংপুর মেডিক্যালে তিনি মারা যান।
এসজে/ জেএইচ