৩ বছর আগে ২০১৪ সালের এদিনে অনুষ্ঠিত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট বিজয়ী হয়। এরপই তৃতীয়বারের মত সরকার গঠন করে। এ সময়ের মধ্যে বিশ্বজুড়ে দশটির বেশি পুরস্কার ও সম্মাননা অর্জন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি রাজনীতিতে নারী পুরুষের বৈষম্য কমানোর ক্ষেত্রে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় নেতৃস্থানীয় ভূমিকা পালনের জন্য ডব্লিউআইপি (ওম্যান ইন পার্লামেন্ট) গ্লোবাল অ্যাওয়ার্ড লাভ করেন। ২০১৪ সালের ২৫ মার্চ ইথিওপিয়ার রাজধানী আদ্দিস আবাবায় তাকে এ পুরস্কার দেয়া হয়।
২০১৪ সালে নারী ও শিশু শিক্ষা উন্নয়নে বিশেষ অবদানের জন্য ইউনেস্কো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘শান্তিবৃক্ষ পদকে’ ভূষিত করেন।
খাদ্য উৎপাদন ও তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব সাফল্যের জন্য ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের কর্নেল ইউনিভার্সিটি প্রধানমন্ত্রীকে এ সম্মাননা প্রদান করে। ২০১৪ তে সমুদ্রসীমা জয়ের জন্য তিনি সাউথ সাউথ পুরস্কার লাভ করেন৷
২০১৫ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ ৭০তম অধিবেশনে পরিবেশ বিষয়ক সর্বোচ্চ পুরস্কার 'চ্যাম্পিয়নস অব দ্য আর্থ' লাভ করেন ৷
এছাড়া তিনি ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে অনন্য অবদানের জন্য আইসিটি টেকসই উন্নয়ন পুরস্কার পান।
রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা বিশ্বের শীর্ষ ১শ’ চিন্তাবিদের একজন। যুক্তরাষ্ট্রের সাময়িকী ফরেন পলিসির ২০১৫ সালের ওই তালিকায় তার নাম ১৩তম অবস্থানে উঠে আসে।
২০১৬ সালে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় সাফল্যের জন্য ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব রেডক্রস অ্যান্ড রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিশেষ সম্মাননা প্রদান করেন।
একইবছর ২৪ মার্চ আমেরিকার খ্যাতনামা ফরচুন ম্যাগাজিনের বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় প্রভাবশালী নেতাদের তালিকায় দশম স্থানে উঠে আসেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফরচুন ম্যাগাজিন তাকে ওআইসি' সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে একমাত্র নারী নেতা আখ্যায়িত করেন।
মার্কিন অপর খ্যাতনামা সাময়িকী ফোর্বস ম্যাগাজিনের ২০১৬ সালের ৬ জুন প্রকাশিত বিশ্বের ক্ষমতাধর ১শ’ নারীর তালিকায় ৩৬ নম্বরে উঠে আসেন রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা।
নারীর ক্ষমতায়নে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ ২০১৬ সালে জাতিসংঘের ইউএন উইমেন এর প্ল্যানেট ফিফটি-ফিফটি চ্যাম্পিয়ন অ্যাওয়ার্ড এবং গ্লোবাল পার্টনারশিপ ফোরামের এজেন্ট অব চেঞ্জ অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেন।
এসজে /এসজেড /এসএস