ডাকাতের হাতে জিম্মি রুপালি ব্যাংকের শাখা, ঘিরে রেখেছে র্যাব-পুলিশ
ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে চুনকটিয়া রুপালি ব্যাংকের শাখা ডাকাতের হাতে জিম্মির খবর পাওয়া গেছে।
বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, দুপুরের দিকে ব্যাংকের ভেতরে ডাকাত ঢুকেছে খবর পেয়ে লোকজন জড়ো হতে শুরু করে। এর মধ্যে পুলিশ, সেনাবাহিনী ও র্যাব এসে উপস্থিত হয়। ব্যাংকের গেটের ভেতর থেকে দরজা লাগিয়ে রাখা হয়েছে। ভেতরে গ্রাহক থাকতে পারেন বলেও ধারণা করা হচ্ছে। ভেতর থেকে একটি গুলির আওয়াজও পাওয়া গেছে। ব্যাংকের ভেতরে কর্মকর্তা–কর্মচারীসহ উপস্থিত সবাইকে ডাকাত দল জিম্মি করে রেখেছে। ব্যাংক ঘিরে রেখেছে পুলিশ, সেনাবাহিনী ও র্যাব।
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল ইসলাম বলেন, ব্যাংকের ভেতরে দুই থেকে তিনজন ডাকাত অবস্থান করছে।
আরটিভি/এসএপি
মন্তব্য করুন
রণক্ষেত্র সায়েন্সল্যাব, এখনও নিয়ন্ত্রণে আসেনি পরিস্থিতি
ঢাকা ও সিটি কলেজের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে সায়েন্সল্যাব। তিন ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলছে সংঘর্ষ। পুলিশ, সেনাবাহিনীর সদস্যরা টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে দুপক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে দিলেও এখন পর্যন্ত পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি পরিস্থিতি। ফলে সায়েন্সল্যাব মোড়ের আশপাশের সড়কে যান চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে এখনও।
বুধবার (২০ নভেম্বর) বিকেল পৌনে ৫টার দিকে পুলিশ টিয়ারশেল নিক্ষেপ করলে কলেজের ভেতরে ঢুকে পড়েন সিটি কলেজের শিক্ষার্থীরা। ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়েন ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরাও। কিছুক্ষণের মধ্যে ঢাকা কলেজের কিছু শিক্ষার্থী সিটি কলেজে প্রধান ফটকে এসে ভাঙচুর শুরু করেন। নিচ থেকে সিটি কলেজের ভবন লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়তে শুরু করেন।
ক্ষুব্ধ হয়ে ভবনের ভেতরে আটকাপড়া শিক্ষার্থীরা ওপর থেকে বৃষ্টির মতো ইটপাটকেল ছুড়ছেন। এতে কলেজটির সামনে থাকা পুলিশ, সেনাবাহিনীর সদস্য, গণমাধ্যমকর্মী, অভিভাবক ও উৎসুক অনেকে আহত হয়েছেন। এ সময় পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা কলেজের ভেতরে ঢুকতে চাইলেও শিক্ষার্থীরা তাদের প্রবেশ করতে দেননি।
জানা গেছে, দুপুর আড়াইটার দিকে সায়েন্সল্যাব এলাকায় ঢাকা কলেজের ছাত্ররা একটি বাস ভাঙচুর করেন। এর পরপরই সিটি কলেজের শিক্ষার্থীরা প্রতিক্রিয়া জানিয়ে তাদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় দুই কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি হয় এবং সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ ঘটনার পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে, তবে এখনও উত্তেজনা অব্যাহত রয়েছে।
ঠিক কী নিয়ে এ সংঘর্ষ, সেই বিষয়ে ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজ কর্তৃপক্ষের কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য পাওয়া যায়নি। ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, সায়েন্সল্যাব মোড়ে সিটি কলেজ শিক্ষার্থীরা তাদের কলেজের বাসে হামলা ও ভাঙচুর চালিয়েছেন। অন্যদিকে সিটি কলেজের শিক্ষার্থীরা অভিযোগ অস্বীকার করে দাবি করছেন, ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থীরা তাদের কলেজে ঢুকে অতর্কিত হামলা চালিয়েছেন।
আরটিভি/এসএইচএম/এস
কাওরান বাজার এলাকায় উত্তেজনা, টিয়ারশেল নিক্ষেপ
কাওরান বাজার এলাকায় দৈনিক প্রথম আলোর সামনে অবস্থানরত বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
রোববার (২৪ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দিতে পুলিশ টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহার করেছে।
একজন সংবাদকর্মী জানান, কাওরান বাজার এলাকায় বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
এদিকে আজ দুপুরে রাজধানীর কাওরান বাজারে প্রথম আলো কার্যালয়ের সামনে ভারতীয় আগ্রাসনের প্রতিবাদে কর্মসূচি শুরু করে বিক্ষোভকারীরা।
বিক্ষোভকারীরা জানান, প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার ভারতীয় আগ্রাসনে সহায়তা করছে। ফলে তাদের তওবা করার জন্য এ জিয়াফত কর্মসূচি করা হচ্ছে। এখানেই রান্না করে সবাইকে খাওয়ানো হবে।
এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) মো. ইসরাইল হাওলাদার বলেন, সন্ধ্যার পর প্রথম আলো অফিসের সামনে একটি ঝামেলা হয়েছিল। তবে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে।
আরটিভি/এমএ-টি
সনাতন জাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস আটক
বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ও চট্টগ্রামের পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে রাজধানীর বিমানবন্দর এলাকা থেকে আটক করা হয়েছে।
সোমবার (২৫ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে তাকে আটকের কথা জানিয়েছেন ডিবির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার রেজাউল করিম মল্লিক।
তিনি বলেন, একটি অভিযোগের রিক্যুইজিশনের ভিত্তিতে তাকে আটক করা হয়েছে। সে অনুযায়ী তাকে নির্ধারিত থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হবে। তার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের বিষয় তাৎক্ষণিকভাবে কিছু জানাতে পারেননি এই গোয়েন্দা কর্মকর্তা।
এদিকে বিকালে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে পুলিশ নিয়ে যায় বলে পুণ্ডরীক ধামের ফেইসবুক পেজে অভিযোগ করা হয়।
পোস্টে চিন্ময় কৃষ্ণ ব্রহ্মচারীর ছবি দিয়ে লেখা হয়, ঢাকা বিমানবন্দর থেকে চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে ডিবি পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
গত ৫ আগস্টের পর দেশে সনাতন ধর্মাবলম্বীর নামে কয়েক দফা সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সেসব সমাবেশ থেকে চিন্ময় কৃষ্ণ দাস বর্তমান সরকারের উদ্দেশে নানান হুমকি-ধমকিমূলক বক্তব্য রাখেন। তবে আগে থেকে তিনি আলোচনায় থাকলেও গত ২৫ অক্টোবর বিকেলে চট্টগ্রাম নগরের লালদীঘি মাঠে ৮ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে সমাবেশে বেশি আলোচনায় আসেন।
ওই সমাবেশ করা হয় বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চের নামে। সমাবেশে এই চিন্ময় কৃষ্ণ দাসই বাংলাদেশের হিন্দুদের মঠ-মন্দিরে হামলা বাড়িঘরে লুট, অগ্নিসংযোগসহ নানান অভিযোগ করেন। অথচ, তার বিরুদ্ধেই দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার অভিযোগ রয়েছে। বিভিন্ন সময় তিনি উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে থাকেন।
উল্লেখ্য, গত ৩০ অক্টোবর চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়। জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগে রাষ্ট্রদ্রোহ আইনে এ মামলা দায়ের হয়। এ ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তারা হলেন রাজেশ চৌধুরী ও হৃদয় দাস।
মো. ফিরোজ খান নামে এক ব্যক্তি বাদী হয়ে চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালি থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার আসামিরা হলেন ইসকনের চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও পুণ্ডরীক ধাম মন্দিরের অধ্যক্ষ চন্দন কুমার ধর প্রকাশ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী (৩৮), চট্টগ্রামের হিন্দু জাগরণ মঞ্চের সমন্বয়ক অজয় দত্ত (৩৪), নগরীর প্রবর্তক ইসকন মন্দিরের অধ্যক্ষ লীলা রাজ দাস ব্রহ্মচারী (৪৮), গোপাল দাশ টিপু(৩৮), ডা. কথক দাস (৪০), প্রকৌশলী অমিত ধর (৩৮), রনি দাশ (৩৮), রাজীব দাস (৩২), কৃষ্ণ কুমার দত্ত (৫২), জিকু চৌধুরী (৪০), নিউটন দে ববি (৩৮), তুষার চক্রবর্তী রাজীব (২৮), মিথুন দে (৩৫), রুপন ধর (৩৫), রিমন দত্ত (২৮), সুকান্ত দাশ (২৮), বিশ্বজিৎ গুপ্ত (৪২), রাজেশ চৌধুরী (২৮) এবং হৃদয় দাস (২৫)। একই মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ১৫ থেকে ২০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলায় অভিযোগে বলা হয়েছে, ৫ অগাস্ট গণঅভুত্থানের পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা নিউমার্কেট মোড়ে একটি জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে। গত ২৫ অক্টোবর লালদীঘি ময়দানে সনাতনীদের সমাবেশের দিন ওই পতাকার ওপর ইসকনের গেরুয়া রঙের ধর্মীয় পতাকা স্থাপন করে দেওয়া হয়, যা রাষ্ট্রের অখণ্ডতাকে অস্বীকার করার শামিল।
এজাহারে আরও বলা হয়েছে, জাতীয় পতাকার ওপর ধর্মীয় পাতাকা উত্তোলন করে আসামিরা দেশের ভেতর অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করে দেশকে অকার্যকর করার রাষ্ট্রদোহ কাজে লিপ্ত আছে।
দণ্ডবিধির ১২০(খ), ১২৪(ক), ১৫৩(ক), ১০৯ ও ৩৪ ধারায় মামলাটি দায়ের হয়।
আরটিভি/একে-টি
শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ, বৈঠকের প্রস্তাবে দুই অধ্যক্ষের অসম্মতি
রাজধানীর বিভিন্ন কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে চলমান উত্তেজনা প্রশমনে তিন কলেজের অধ্যক্ষকে বৈঠকে বসার আমন্ত্রণ জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। তবে তাতে অসম্মতি জানিয়েছেন কবি নজরুল সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মোহম্মদ হাবিবুর রহমান ও শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কাকলী মুখোপাধ্যায়।
সোমবার (২৫ নভেম্বর) রাত ১০টায় তিন কলেজের অধ্যক্ষকে বৈঠকে বসার আমন্ত্রণ জানান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক তরিকুল ইসলাম।
বৈঠকের বিষয়ে কবি নজরুলের অধ্যক্ষ হাবিবুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, গত দুদিন ধরে চলমান সংঘর্ষে কারা ইন্ধন দিয়েছে এটা খুঁজে বের করতে হবে। এত দূর থেকে হাজার হাজার শিক্ষার্থী এসে কীভাবে হামলা চালায়? তাদের অস্ত্র ও অর্থ কারা সরবরাহ করেছে? এসব বিষয় স্পষ্ট করে বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমি বৈঠকে বসতে চাচ্ছি না।
তিনি বলেন, সমন্বয়ক পরিচয়ে আমাকে দুজন ফোন দিয়ে বৈঠকের কথা বলেছেন, আমি তাদের ‘না’ করে দিয়েছি। আমি তাদেরকে ঠিক মত চিনি না, জানি না; তারা কি সমাধান করবেন? সরকারের দায়িত্বশীল জায়গা থেকে এর সুষ্ঠু সমাধান হোক।
শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের অধ্যক্ষ ড. কাকলী মুখোপাধ্যায় বলেন, সমন্বয়ক তারিকুল ইসলাম আমাকে ফোন করে রাত ১০টায় রাজধানীর রূপায়ন টাওয়ারে একটি বৈঠকের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। সেখানে কলেজের সিনিয়র শিক্ষক ও শিক্ষার্থী প্রতিনিধিদেরও থাকার জন্য বলেছেন। তিনি আমাকে বলছেন এ বৈঠকের মাধ্যমে চলমান সমস্যার সমাধান হতে পারে।
তিনি বলেন, কবি নজরুলের অধ্যক্ষ যেহেতু যাচ্ছেন না, তাই আমিও সেখানে যাচ্ছি না। আমার শিক্ষার্থীরাও ওইখানে যেতে রাজি না। আজকে আমাদের ২৫-৩০ জন শিক্ষার্থী আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি। তাদের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে আমরা বৈঠকে বসতে পারি না।
ডেমরার ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের অধ্যক্ষ ওবায়দুল্লাহ নয়ন বৈঠকে যাচ্ছেন কি না জানতে ফোন করা হলে তিনি ধরেননি। এ ছাড়া বৈঠকের বিষয়ে জানতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক তরিকুল ইসলামকে ফোন করলেও সাড়া পাওয়া যায়নি।
প্রসঙ্গত, পুরান ঢাকার ন্যাশনাল মেডিকেলে মাহাবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের শিক্ষার্থী অভিজিৎ হাওলাদারের মৃত্যুর ঘটনায় রোববার ঘেরাও কর্মসূচি দেওয়া হয়। পূর্বঘোষিত সেই ‘সুপার সানডে’ কর্মসূচির মধ্যে ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল এবং পাশের সোহরাওয়ার্দী কলেজে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট চালায় মাহাবুবুর রহমান মোল্লা কলেজসহ কয়েকটি কলেজের শিক্ষার্থীরা।
এই ঘটনার প্রতিবাদে সোমবার ‘মেগা মানডে’ কর্মসূচির ডাক দেন সোহরাওয়ার্দী কলেজ ও কবি নজরুল সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীরা। এদিন তারা ডেমরা সড়ক সংলগ্ন মোল্লা কলেজে গেলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়। এ ঘটনায় মোল্লা কলেজে ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়।
আরটিভি/এফএ
শাহবাগে লোকজন জড়ো করার চেষ্টা, আরেক সংগঠক গ্রেপ্তার
রাজধানীর শাহবাগে জনসভার পর ‘বিনা সুদে লাখ টাকা ঋণ’ দেওয়ার কথা বলে মানুষ জড়ো করার দায়ে অহিংস গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশের অন্যতম সংগঠক মাহবুবুল আলম চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করেছে কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইমের (সিটিটিসি) সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ডিভিশন।
সোমবার (২৫ নভেম্বর) রাতে রাজধানীর শান্তিনগর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে নিশ্চিত করেন ডিএমপি মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান।
তিনি জানান, মাহবুবুল আলম চৌধুরী অহিংস গণঅভ্যুত্থানের কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব এবং অন্যতম আহ্বায়ক। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেপ্তার করা। পরে তাকে শাহবাগ থানায় হস্তান্তর করা হয়। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
এরআগে, শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ খলিল মনসুর অহিংস গণঅভ্যুত্থানের আহ্বায়ক আ ব ম মোস্তফা আমীনকে আটকের তথ্য নিশ্চিত করেছিলেন।
প্রসঙ্গত, ‘বিদেশে পাচার করা অর্থ দেশে ফিরিয়ে জনপ্রতি এক লাখ টাকা ঋণ দেওয়া হবে, এ জন্য শাহবাগে বিশাল সমাবেশে জড়ো হতে হবে’ এমন কথা বলে রাজধানীর শাহবাগে লক্ষাধিক মানুষের সমাবেশের চেষ্টা করা হয়। সমাবেশের মাধ্যমে ‘অহিংস গণঅভ্যুত্থান’ নামের সংগঠনের বিরুদ্ধে দেশের পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করার অভিযোগ উঠেছে ।
আরটিভি/কেএইচ-টি
৯ দফা দাবিতে সচিবালয়ে বিক্ষোভ, নিরাপত্তা জোরদার
নয় দফা দাবিতে সচিবালয়ে বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি চলছে। এ অবস্থায় অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
বুধবার (২৭ নভেম্বর) সকাল থেকে সচিবালয়ের ভেতরে এ কর্মসূচি পালন করছেন কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদ। যা এখনও চলমান।
জানা গেছে, কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের ব্যানারে নয় দফা দাবিতে সচিবালয়ের ভেতরে বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনার জন্য চাপ সৃষ্টি করতেই মূলত তারা এ কর্মসূচি পালন করছে।
সবশেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, সচিবালয়ে প্রবেশে সবগুলো পথ বন্ধ রাখা হয়েছে। এছাড়া এ কর্মসূচি ঘিরে সচিবালয় এলাকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
আরটিভি/আইএম
ঢাকায় জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত ৮ রোগী শনাক্ত
রাজধানী ঢাকায় গত তিন মাসে জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত ৮ জন রোগী শনাক্ত হয়েছেন। ডেঙ্গুর জন্য দায়ী এডিস মশা থেকেই এ ভাইরাস ছাড়ায় বলে জানা গেছে। গত বছরও এ ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী পাঁচজন শনাক্ত হয়েছিলেন। চিকিৎসা নেওয়ার পর তারা এখন ঝুঁকিমুক্ত।
বুধবার (২৭ নভেম্বর) রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক তাহমিনা শিরীন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, দেশে প্রথম জিকা ভাইরাস শনাক্ত হয় ২০১৪ সালে। জিকার কোনো সুনির্দিষ্ট চিকিৎসা নেই, এর চিকিৎসা উপসর্গভিত্তিক।
গবেষকরা বলছেন, জিকার পাশাপাশি ঢাকা শহরে এখন চিকুনগুনিয়ায়ও অনেক মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন। সেইসঙ্গে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে প্রায় প্রতিদিনই ঘটছে মৃত্যু। ডেঙ্গু, জিকা, চিকুনগুনিয়া- এ তিনটি রোগই ছড়ায় এডিস মশার মাধ্যমে।
আইইডিসিআর জানায়, জিকার কোনো সুনির্দিষ্ট চিকিৎসা নেই, এর চিকিৎসা উপসর্গভিত্তিক। আক্রান্ত ব্যক্তিকে বিশ্রাম নিতে হবে, প্রচুর পানি ও তরল জাতীয় খাবার খেতে হবে, জ্বর ও ব্যথার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শমতো ওষুধ খেতে হবে। রোগীর অবস্থার অবনতি হলে কাছের সরকারি হাসপাতালে যোগাযোগ করতে হবে বা রোগীকে ভর্তি করাতে হবে।
জিকা ভাইরাসের দুটি ধরন আছে বলে বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন। একটি আফ্রিকান, অন্যটি এশিয়ান। ঢাকায় যারা আক্রান্ত হয়েছেন, তাদের সবার শরীরে জিকা ভাইরাসের এশিয়ান ভ্যারিয়েন্টিই পাওয়া গেছে বলে জানা গেছে আইইডিসিআর সূত্রে।
আরটিভি/এসএইচএম-টি