• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
logo
রিকশাচালকদের সরিয়ে দিলো সেনাবাহিনী, যানচলাচল শুরু
মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে সকাল থেকে বিক্ষোভ করে যান চলাচল বন্ধ করে দেন অটোরিকশা চালকরা। মহাখালীতে যান চলাচল বন্ধের পাশাপাশি রেললাইনে বসে ট্রেন চলাচলও বন্ধ করে দেন তারা। এ অবস্থায় তাদেরকে ধাওয়া দিয়ে সরিয়ে দিয়েছেন সেনা সদস্যরা। বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) দুপুরে মহাখালী রেলক্রসিং এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। সরেজমিনে দেখা যায়, মহাখালী রেলক্রসিং এলাকায় অবস্থান করে অটোরিকশা চালকদের আন্দোলনের ফলে তীব্র যানজট লেগে জনগণের ভোগান্তির সৃষ্টি হয়। এসময় পুলিশ তাদেরকে সরে যেতে অনুরোধ করলে তারা উল্টো পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছোড়ে। এ অবস্থায় সেখান থেকে তাদেরকে সরিয়ে দিতে সেনাবাহিনীর সদস্যরা ধাওয়া দিলে তারা ছত্রভঙ্গ হয়ে পালিয়ে যায়। এদি সকাল থেকে আগারগাঁও, বসিলা, গাবতলী, ডেমরা, মিরপুর ও মহাখালী এলাকায় সড়ক অবরোধ করেন অটোরিকশাচালকরা। এতে ওইসব এলাকায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সৃষ্টি হয় ব্যাপক যানজট। ভোগান্তিতে পড়েছেন অফিসগামীরা। ঢাকা জেলার রেলওয়ে পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন বলেন, ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকেরা রেললাইনের ওপর আড়াআড়ি করে রিকশা রেখে অবরোধ করেছেন। সড়কেও তারা অবরোধ করেছেন। এতে আশপাশের সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। এদিকে আগারগাঁওয়ে চার রাস্তার মোড়ে শত শত ব্যাটারিচালিত রিকশাচালক সড়ক অবরোধ করেছেন। রিকশা চালানোর দাবিতে তারা মিছিল করছেন। শেরেবাংলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আজম বলেন, এতে আশপাশের সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। এর আগে, বুধবারও (২০ নভেম্বর) রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন রিকশাচালকরা। মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি মাহমুদুর রাজীর হাইকোর্ট বেঞ্চ ঢাকা মহানগর এলাকায় তিন দিনের মধ্যে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল বন্ধের আদেশ দিয়েছিলেন। এতে স্বরাষ্ট্র সচিব, স্থানীয় সরকার সচিব, আইজিপি, ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার, ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্টদের আদালতের এ আদেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে। প্যাডেলচালিত রিকশা সংগঠন মালিক ঐক্যজোটের সভাপতি জহুরুল ইসলাম মাসুম ও সাধারণ সম্পাদক মো. মমিন আলী এ বিষয়ে রিট পিটিশনটি দায়ের করেছিলেন। রাজধানীতে বর্তমানে প্রায় ১২ লাখ রিকশা চলাচল করছে। যার বড় একটি অংশ ব্যাটারিচালিত। আরটিভি/এসএপি-টি
ঢাকার বিভিন্ন সড়কে অটোরিকশা চালকদের অবস্থান, তীব্র যানজট
আজ ১২ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না যেসব এলাকায়
সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কামালের ৩ সহযোগী গ্রেপ্তার 
আলোচিত সন্ত্রাসী ‘কাইল্লা সুমন’ গ্রেপ্তার
রণক্ষেত্র সায়েন্সল্যাব, এখনও নিয়ন্ত্রণে আসেনি পরিস্থিতি 
ঢাকা ও সিটি কলেজের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে সায়েন্সল্যাব। তিন ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলছে সংঘর্ষ। পুলিশ, সেনাবাহিনীর সদস্যরা টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে দুপক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে দিলেও এখন পর্যন্ত পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি পরিস্থিতি। ফলে সায়েন্সল্যাব মোড়ের আশপাশের সড়কে যান চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে এখনও। বুধবার (২০ নভেম্বর) বিকেল পৌনে ৫টার দিকে পুলিশ টিয়ারশেল নিক্ষেপ করলে কলেজের ভেতরে ঢুকে পড়েন সিটি কলেজের শিক্ষার্থীরা। ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়েন ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরাও। কিছুক্ষণের মধ্যে ঢাকা কলেজের কিছু শিক্ষার্থী সিটি কলেজে প্রধান ফটকে এসে ভাঙচুর শুরু করেন। নিচ থেকে সিটি কলেজের ভবন লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়তে শুরু করেন। ক্ষুব্ধ হয়ে ভবনের ভেতরে আটকাপড়া শিক্ষার্থীরা ওপর থেকে বৃষ্টির মতো ইটপাটকেল ছুড়ছেন। এতে কলেজটির সামনে থাকা পুলিশ, সেনাবাহিনীর সদস্য, গণমাধ্যমকর্মী, অভিভাবক ও উৎসুক অনেকে আহত হয়েছেন। এ সময় পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা কলেজের ভেতরে ঢুকতে চাইলেও শিক্ষার্থীরা তাদের প্রবেশ করতে দেননি। জানা গেছে, দুপুর আড়াইটার দিকে সায়েন্সল্যাব এলাকায় ঢাকা কলেজের ছাত্ররা একটি বাস ভাঙচুর করেন। এর পরপরই সিটি কলেজের শিক্ষার্থীরা প্রতিক্রিয়া জানিয়ে তাদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় দুই কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি হয় এবং সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ ঘটনার পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে, তবে এখনও উত্তেজনা অব্যাহত রয়েছে। ঠিক কী নিয়ে এ সংঘর্ষ, সেই বিষয়ে ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজ কর্তৃপক্ষের কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য পাওয়া যায়নি। ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, সায়েন্সল্যাব মোড়ে সিটি কলেজ শিক্ষার্থীরা তাদের কলেজের বাসে হামলা ও ভাঙচুর চালিয়েছেন। অন্যদিকে সিটি কলেজের শিক্ষার্থীরা অভিযোগ অস্বীকার করে দাবি করছেন, ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থীরা তাদের কলেজে ঢুকে অতর্কিত হামলা চালিয়েছেন। আরটিভি/এসএইচএম/এস  
খিলক্ষেতে ট্রেনে কাটা পড়ে সাবেক সেনা সদস্য নিহত
রাজধানীর খিলক্ষেত এলাকায় রেললাইন পার হওয়ার সময় ট্রেনে কাটা পড়ে এস এম আব্দুর রহমান (৬০) নামে এক সাবেক সেনা সদস্য নিহত হয়েছেন। বুধবার (২০ নভেম্বর) দুপুরে তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায় রেলওয়ে থানা পুলিশ। নিহত আব্দুর রহমানের ছেলে আশিক বলেন, আমার বাবা একজন অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য। গতকাল (মঙ্গলবার) তিনি নিকুঞ্জে একটি কাজে বাসা থেকে বের হন। জানতে পেরেছি গতকাল সন্ধ্যা ৭টা থেকে সাড়ে ৭টার দিকে রেললাইন পার হওয়ার সময় ঢাকাগামী কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনে কাটা পড়ে ঘটনাস্থলে নিহত হন। পরে খবর পেয়ে আমরা ঘটনা স্থলে আসি। তিনি জানান, তারা কাওলা এলাকায় থাকেন। বাড়ি গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর থানার ঘারুলঘাটি গ্রামে। বিমানবন্দর রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) তারা মিয়া জানান, আমরা খবর পেয়ে রাত ৯টার দিকে ঘটনাস্থলে যাই। সেখানে রেললাইনের পাশে ট্রেনে কাটা মরদেহ পাই। পরে আমরা তার পরিবারকে খবর দিই। ওই মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের মার্গে পাঠানো হয়েছে। তিনি আরও বলেন, জানতে পেরেছি অসাবধানতাবশত তিনি রেললাইন পার হচ্ছিলেন। এ সময় ঢাকাগামী কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেসের ট্রেনে কাটা পড়ে ঘটনাস্থলে তার মৃত্যু হয়। আরটিভি/একে/এস
সায়েন্সল্যাবে ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ
রাজধানীর সায়েন্সল্যাব মোড়ে ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে পুলিশ। বুধবার (২০ নভেম্বর) বিকেল ৩টার দিকে এ সংঘর্ষ শুরু হয়। সেখানে উত্তেজনা বিরাজ করছে এবং আশেপাশের এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। জানা গেছে, সায়েন্সল্যাব এলাকায় ঢাকা কলেজের ছাত্ররা একটি বাস ভাঙচুর করে। এর পরপরই সিটি কলেজের শিক্ষার্থীরা প্রতিক্রিয়া জানিয়ে তাদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় দুই কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি হয় এবং সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ ঘটনার পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে, তবে এখনও উত্তেজনা অব্যাহত রয়েছে।  ঠিক কী নিয়ে এ সংঘর্ষ, সেই বিষয়ে ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজ কর্তৃপক্ষের কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে পুলিশের তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।    এর আগে, ২৮ অক্টোবর ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ-উপাধ্যক্ষের পদত্যাগসহ  ৭ দফা দাবিতে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন শুরু করেন। তারা অভিযোগ করেন, ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কাজী মোহাম্মদ নিয়ামুল হক ও উপাধ্যক্ষ মো. মোখলেছুর রহমান নানা স্বেচ্ছাচারিতা, বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে শিক্ষার্থীদের থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায় এবং বিভিন্ন অনিয়ম করে আসছেন। সেজন্য এসব বিষয়ে যৌক্তিক সমাধান চেয়ে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দেন তারা। সেই ছাত্র আন্দোলন ঠেকাতে দীর্ঘ ২০ দিন বন্ধ রাখার পর ১৯ নভেম্বর কলেজের একাডেমিক কার্যক্রম চালু হয়।   আরটিভি/কেএইচ-টি
রাজধানীতে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের সঙ্গে সংঘর্ষে ২ পুলিশ আহত
রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর দয়াগঞ্জ মোড়ে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালক ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে ২ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। বুধবার (২০ নভেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধের নির্দেশ দেওয়ায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালকরা। একপর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ান তারা। এ বিষয়ে যাত্রাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফারুক আহম্মেদ বলেন, দয়াগঞ্জ মোড়ে মূল সড়কে ব্যাটারিচালিত রিকশা চালানোর দাবিতে অবরোধ করে রিকশাচালকরা। এতে সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হলে তাদেরকে সড়ক ছেড়ে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়। তবে তারা পুলিশের অনুরোধ না শুনে উল্টো পুলিশের ওপর আক্রমণ চালায়। এতে দুই পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি বলেন, ব্যাটারিচালিত রিকশাচলকরা দুপুর ১টার দিকে সড়ক ছেড়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এর আগে, ঢাকা মহানগর এলাকায় তিন দিনের মধ্যে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি মাহমুদুর রাজীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এতে স্বরাষ্ট্র সচিব, স্থানীয় সরকার সচিব, আইজিপি, ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার, ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্টদের আদালতের এ আদেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে। প্যাডেলচালিত রিকশা সংগঠন ‌বৃহত্তর ঢাকা সিটি করপোরেশন প্যাডেল চালিত রিকশা মালিক ঐক্যজোটের সভাপতি জহুরুল ইসলাম মাসুম ও সাধারণ সম্পাদক মো. মমিন আলী এ বিষয়ে রিট পিটিশনটি দায়ের করেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার এইচ এম সানজিদ সিদ্দিকী ও ব্যারিস্টার তাহসিনা তাসনিম মৃদু। প্রসঙ্গত, রাজধানীতে বর্তমানে প্রায় ১২ লাখ রিকশা চলাচল করছে। যার বড় একটি অংশ ব্যাটারিচালিত। ঢাকা মহানগরের প্রায় সর্বত্র ব্যাটারিচালিত রিকশার চলাচল রয়েছে। পুরাতন প্যাডেলচালিত অনেক রিকশায় ব্যাটারি লাগিয়ে যান্ত্রিক করা হচ্ছে। তবে রিকশাচালকদের কোনো রকম প্রশিক্ষণ ও নিবন্ধন ব্যবস্থা নেই। এ কারণে রাজধানীতে নিয়মিত ঘটছে দুর্ঘটনা। এতে অনেকে আহত হচ্ছেন, প্রাণহানির ঘটনাও ঘটছে। ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন কয়েক দফা অভিযান চালালেও থেমে নেই অবৈধ ব্যাটারিচালিত রিকশার দৌরাত্ম্য। আরটিভি/এসএপি
পুরান ঢাকায় সড়ক অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
ঢাকা মহানগর এলাকায় ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল বন্ধের নির্দেশ দেওয়ার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করছে রিকশাচালকরা।  বুধবার (২০ নভেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রাজধানীর পুরান ঢাকার দয়াগঞ্জ মোড়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন তারা।   এর আগে, ঢাকা মহানগর এলাকায় তিন দিনের মধ্যে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি মাহমুদুর রাজীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এতে স্বরাষ্ট্র সচিব, স্থানীয় সরকার সচিব, আইজিপি, ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার, ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্টদের আদালতের এ আদেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে। প্যাডেলচালিত রিকশা সংগঠন ‌বৃহত্তর ঢাকা সিটি করপোরেশন প্যাডেল চালিত রিকশা মালিক ঐক্যজোটের সভাপতি জহুরুল ইসলাম মাসুম ও সাধারণ সম্পাদক মো. মমিন আলী এ বিষয়ে রিট পিটিশনটি দায়ের করেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার এইচ এম সানজিদ সিদ্দিকী ও ব্যারিস্টার তাহসিনা তাসনিম মৃদু।  প্রসঙ্গত, রাজধানীতে বর্তমানে প্রায় ১২ লাখ রিকশা চলাচল করছে। যার বড় একটি অংশ ব্যাটারিচালিত। ঢাকা মহানগরের প্রায় সর্বত্র ব্যাটারিচালিত রিকশার চলাচল রয়েছে। পুরাতন প্যাডেলচালিত অনেক রিকশায় ব্যাটারি লাগিয়ে যান্ত্রিক করা হচ্ছে। তবে রিকশাচালকদের কোনো রকম প্রশিক্ষণ ও নিবন্ধন ব্যবস্থা নেই। এ কারণে রাজধানীতে নিয়মিত ঘটছে দুর্ঘটনা। এতে অনেকে আহত হচ্ছেন, প্রাণহানির ঘটনাও ঘটছে। ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন কয়েক দফা অভিযান চালালেও থেমে নেই অবৈধ ব্যাটারিচালিত রিকশার দৌরাত্ম্য।  আরটিভি/কেএইচ-টি 
১২ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না যেসব এলাকায়
রাজধানীর লালবাগ ডিপিডিসি সাব-স্টেশন সংলগ্ন এলাকাসহ আশপাশের কয়েকটি এলাকায় বৃহস্পতিবার ১২ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না। বুধবার (২০ নভেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ। এতে বলা হয়েছে, গ্যাস পাইপলাইনের জরুরি প্রতিস্থাপন কাজের জন্য বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত মোট ১২ ঘণ্টা ইসলামবাগ, রহমতগঞ্জ, লালবাগ ডিপিডিসি সাব-স্টেশন সংলগ্ন এলাকা, লাকশাম বাজার, চান্দিরঘাট এলাকাসহ আশপাশের এলাকায় বিদ্যমান সব শ্রেণির গ্রাহকের গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে। ওই সময়ে আশপাশের এলাকায় গ্যাসের স্বল্পচাপ বিরাজ করতে পারে। গ্রাহকদের সাময়িক অসুবিধার জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ। আরটিভি/এসএপি-টি
অন্তর্বর্তী সরকারের ১০০ দিনের ওপর পর্যবেক্ষণ দিলো টিআইবি 
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) কর্তৃত্ববাদী সরকার পতনের ১০০ দিনের ওপর পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেছে। সংস্থাটি মনে করে, অন্তর্বর্তী সরকার অনেক সময়োচিত এবং গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছে, যা ‘নতুন বাংলাদেশ’র অভীষ্ট অর্জনের সহায়ক। তবে একইসঙ্গে সরকারকে কিছু ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার কথাও বলা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এমন মন্তব্য করেছে সংস্থাটি। সংবাদ সম্মেলনে আশা প্রকাশ করা হয়, রাষ্ট্র সংস্কারের চলমান প্রক্রিয়া অটলভাবে চলমান থাকার। বলা হয়, ছাত্র-জনতার নজিরবিহীন আত্মত্যাগের বিনিময়ে কর্তৃত্ববাদী সরকারের পতনের মাধ্যমে অর্জিত নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের জন্য। সংবাদ সম্মেলনে টিআইবির সিনিয়র রিসার্চ ফেলো শাহজাদা এম আকরাম গবেষণার পর্যবেক্ষণ উপস্থাপন করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান, নির্বাহী ব্যবস্থাপনা অধ্যাপক ড. সুমাইয়া খায়ের, গবেষণা ও পলিসি বিভাগের পরিচালক মুহাম্মদ বদিউজ্জামান। টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, কর্তৃত্ববাদের সৃষ্ট বিশাল চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে ১০০ দিনে অন্তর্বর্তী সরকার অসংখ্য সময়োচিত এবং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ইতিবাচক পদক্ষেপ নিয়েছে, পাশাপাশি কয়েকটি ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ থাকলেও নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের পথে অগ্রগতি দৃশ্যমান। বিশেষ করে, কর্তৃত্ববাদী সরকারকর্তৃক সংঘটিত নির্বিচার হত্যাকাণ্ড ও বহুমাত্রিক মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিচারপ্রক্রিয়া শুরু, আন্দোলনে আহতদের ক্ষতিপূরণ ও চিকিৎসা সেবা প্রদানের উদ্যোগ, যদিও এক্ষেত্রে অপ্রাপ্তি ও অসন্তোষ রয়েছে; সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্টের মতো নিপীড়নমূলক আইন বাতিল, গুমবিরোধী আন্তর্জাতিক কনভেনশনে সই, গুমবিষয়ক তদন্ত কমিশন গঠন, রাষ্ট্র সংস্কারের মূল খাতগুলোকে চিহ্নিত করে সংস্কার কমিশনগুলো গঠন, আর্থিক খাতে দৃশ্যমান পরিবর্তনের সূচনা, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা ও আন্দোলনের চিরস্থায়ী স্বীকৃতি ও সম্মানের দৃষ্টান্ত হিসেবে গণভবনকে জাদুঘরে রূপান্তরের পদক্ষেপ। একই সঙ্গে পতিত সরকারের মন্ত্রী-এমপিসহ কর্তৃত্ববাদের দোসরদের দুর্নীতির জবাবদিহি প্রক্রিয়া ও পাচারকৃত অর্থ ফিরিয়ে আনতে কৌশলগত পদক্ষেপের অগ্রগতি দৃশ্যমান। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে প্রত্যাশিত অর্জন সম্ভব হয়নি। একইভাবে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অগ্রগতিতেও ঘাটতি দৃশ্যমান। বিদ্যমান সিন্ডিকেটের শেকড় অনেক গভীরে এবং অনেক ক্ষেত্রে ব্যক্তির পরিবর্তন হলেও চর্চার পরিবর্তন সময়সাপেক্ষ বলে জানান ড. ইফতেখারুজ্জামান। অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর অর্পিত রাষ্ট্র সংস্কার ও নতুন রাজনৈতিক সমঝোতার অভীষ্ট অর্জনের অবকাঠামো তৈরির বিশাল দায়িত্ব মন্তব্য করে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, যা পালনে যথাসময়ে প্রয়োজনীয় কৌশল ও রোডম্যাপ প্রণয়ন না করা, শিক্ষাখাত ও ব্যক্তি মালিকানাধীন খাতকে সংস্কার উদ্যোগে অন্তর্ভুক্ত না করা, প্রশাসনিক সিদ্ধান্তগ্রহণে অ্যাড-হক প্রবণতা লক্ষণীয়। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হলো—বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে রাজনৈতিক দলগুলো এবং তাদের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি সংস্কারের উদ্যোগ আমরা দেখিনি। তাছাড়া, পার্বত্য চট্টগ্রামে একচ্ছত্র কর্তৃত্ব সত্ত্বেও শান্তিশৃঙ্খলা নিশ্চিতে প্রত্যাশিত পর্যায়ে সেনাবাহিনীর ভূমিকার ঘাটতি রয়েছে। প্রথম আলোর দিকে ইঙ্গিত করে বলেন, কোনো কোনো গণমাধ্যমের ওপর উদ্দেশ্যপ্রণোদিত আক্রমণ ও হুমকি-হামলাসহ বন্ধ করার তৎপরতায় উদ্বেগ রয়েছে। রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন খাতে সংস্কার ও নির্বাচনের সময় প্রসঙ্গে ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, শুধুমাত্র সরকার পরিবর্তনের জন্য ছাত্র-জনতার আন্দোলন হয়নি, হয়েছে রাষ্ট্র সংস্কার ও নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের জন্য। রাষ্ট্র সংস্কারের উদ্দেশ্যে গঠিত কমিশনগুলোর প্রতিবেদন ও বিভিন্ন ইতিবাচক পদক্ষেপের ভিত্তিতে যদি রাষ্ট্র সংস্কার না হয় এবং যদি এ লক্ষ্যে আইনি ও প্রাতিষ্ঠানিক সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টি না করে দ্রুত নির্বাচন আয়োজন করা হয়, তাহলে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মূল চেতনা ও অভীষ্ট বাস্তবায়নে ঝুঁকি থেকে যাবে। সরকারের দায়িত্ব হবে অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করে অর্পিত দায়িত্ব পালনে কৌশলগত রোডম্যাপ তৈরি করা। ‘নতুন বাংলাদেশ: কর্তৃত্ববাদী সরকার পতন-পরবর্তী ১০০ দিনের ওপর পর্যবেক্ষণ’ শীর্ষক টিআইবির গবেষণা প্রতিবেদনে আরও উঠে এসেছে, একদিকে রাষ্ট্র সংস্কার ও নতুন রাজনৈতিক ও সামাজিক বন্দোবস্তের মাধ্যমে ‘নতুন বাংলাদেশ’ গড়ার অভূতপূর্ব সুযোগ তৈরি হয়েছে, যেখানে অন্তর্বর্তী সরকারের ক্ষমতার বহুমাত্রিক ভিত্তি ও অংশীজনের ভূমিকা রূপান্তরে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। অন্যদিকে চলার পথে বহুমুখী চ্যালেঞ্জ ও ঝুঁকি রয়েছে। অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক বহুবিধ চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হওয়া সত্ত্বেও অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর ১০০ দিনে সংস্কার, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি, গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত অপরাধের তদন্ত ও বিচার, আর্থিক খাত, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ ইত্যাদি ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক উদ্যোগ ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে, যা একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়ার অংশ। তবে অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর অর্পিত দায়িত্ব বাস্তবায়নে যথাসময়ে প্রয়োজনীয় কৌশল ও রোডম্যাপ প্রণয়নের সুযোগ নেওয়া হয়নি, যা এখনো অনুপস্থিত। আবার, আন্দোলনে সংঘটিত সহিংসতার বিচারের উদ্যোগ নেওয়া হলেও রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে সুনির্দিষ্ট ও তথ্য-প্রমাণ ভিত্তিক মামলা দায়ের করার উদ্যোগের ঘাটতি রয়েছে। এ ছাড়া ঢালাওভাবে শত শত মামলায় শত শত ব্যক্তিকে আসামি করার ফলে মূল অপরাধীর উপযুক্ত বিচারের সম্ভাবনা নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে। রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান, বিশেষ করে নির্বাচন কমিশন, দুদক, মানবাধিকার কমিশন, তথ্য কমিশন পুনর্গঠনে চ্যালেঞ্জ অব্যাহত রয়েছে বলেও মনে করা হয় প্রতিবেদনে। সংস্থাটির মতে, সরকারের সিদ্ধান্ত গ্রহণে অ্যাড-হক প্রবণতা, উপদেষ্টা পরিষদ গঠন ও দায়িত্ব বণ্টনসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত বিতর্কিত হয়েছে। প্রশাসন পরিচালনায় সরকারের দক্ষতা ও কর্মপরিকল্পনার ঘাটতি এবং সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে সরকারের দায়িত্বশীলদের মধ্যে সমন্বয়হীনতা প্রকাশ পেয়েছে। এমনকি, কোনো কোনো ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর পরিবর্তন করা হয়েছে। প্রশাসনিক ও প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারের ক্ষেত্রে দলীয়করণের শেকড় অনেক গভীরে প্রোথিত বিধায় সুশাসনের চ্যালেঞ্জ ও ঝুঁকি বাড়ছে বলে শঙ্কা রয়েছে। এ ছাড়া প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রে দখল ও আধিপত্য বিস্তারের সংস্কৃতি এখনো চলমান—একটি স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী ও দলীয়করণের পরিবর্তে আরেকটি গোষ্ঠীর প্রতিস্থাপন বা হাতবদল হয়েছে বলে লক্ষ করা যায়। কর্তৃত্ববাদ পতনের ক্ষেত্রে আন্দোলনের চূড়ান্ত পর্বে ইতিবাচক ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকলেও পরবর্তী সময়ে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বিশেষ করে পার্বত্য চট্টগ্রামে কেন্দ্রীয় কর্তৃত্ব সত্ত্বেও শান্তি-শৃঙ্খলা নিশ্চিতে প্রত্যাশিত পর্যায়ে সেনাবাহিনীর ভূমিকার ঘাটতি লক্ষ করা যায়। গবেষণায় আরও উঠে এসেছে, রাজনৈতিক দলসহ বিভিন্ন অংশীজনের পক্ষ থেকে সংস্কারের ক্ষেত্রে সরকারকে প্রয়োজনীয় সময় দেওয়ার প্রশ্নে ধৈর্যের ঘাটতি লক্ষণীয়। রাজনৈতিক দলের অভ্যন্তরীণ সংস্কার নিয়ে এখনো কোনো উদ্যোগ লক্ষ করা যায়নি, যা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন ও রাষ্ট্র সংস্কারের মূল চেতনা ধারণ করার ক্ষেত্রে ব্যর্থতার বহিঃপ্রকাশ বলে চিহ্নিত করা যায়। এ ছাড়া ধর্মভিত্তিক রাজনীতির অভূতপূর্ব বিকাশ ও প্রভাব লক্ষ করা যায়। গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে কর্তৃত্ববাদী সরকারের পতনে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ভূমিকা অসাধারণ। তাদের সীমাহীন ত্যাগ ও সাহস না থাকলে এই অভূতপূর্ব অর্জন কোনোভাবেই সম্ভব হতো না। তবে আন্দোলনকারী ছাত্রদের অগ্রাধিকার রাষ্ট্র সংস্কার হলেও কোনো কোনো ক্ষেত্রে অনড় অবস্থান ও রাজনৈতিক সহনশীলতার ঘাটতি রয়েছে। গণমাধ্যমের ওপর উদ্দেশ্যপ্রণোদিত আক্রমণ ও হুমকি-হামলাসহ কোনো কোনো গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানকে বন্ধ করার তৎপরতা গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ওপর হুমকি হিসেবে দেখা দিচ্ছে। কোনো কোনো মহলের অতিক্ষমতায়ন ও তার অপব্যবহার এবং চাপিয়ে দেওয়ার প্রবণতা অসাম্প্রদায়িক সম-অধিকার ভিত্তিক ও বৈষম্যহীন নতুন বাংলাদেশের অভীষ্টের পথে অন্তরায়। সহিংসতা ও বলপ্রয়োগের কারণে জেন্ডার, ধর্মীয়, সাংস্কৃতিক ও নৃতাত্ত্বিক বৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়েছে। তা ছাড়া, ভারত কর্তৃক কর্তৃত্ববাদ পতনের বাস্তবতা মেনে নিয়ে নিজেদের ভুল স্বীকারে ব্যর্থতা ও তার কারণে অপতৎপরতার ফলে ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কে টানাপোড়েনে সরকার ও দেশের জন্য ঝুঁকি বেড়েছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি মনোভাব ইতিবাচক হলেও প্রস্তাবিত অর্থনৈতিক সহায়তা, বিশেষ করে বিশ্বব্যাংক, এডিবি ও আইএমএফের মতো সংস্থার ঋণ সহায়তা-সংশ্লিষ্ট শর্তাবলি ও বিশেষ করে ইতোমধ্যে সুদসহ ঋণ পরিশোধের অতিরিক্ত দায় সৃষ্টি করবে বলে আশঙ্কা রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয় টিআইবির গবেষণা প্রতিবেদনে। আরটিভি/এএইচ